নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাংবাদিকতা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সন্দেহ ও নজরদারি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারা যাবে—এ ধারণা থেকে স্ত্রীকে হত্যার পরে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন আশরাফ হোসেন কামাল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার রাতে সাভার থেকে সাংবাদিক ছদ্মবেশে পলাতক হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলেও ১২ দিন পর শ্বশুরেরই সহায়তায় জামিন পায় সে। জামিন পাওয়ার পরপরই হঠাৎ একদিন আত্মগোপনে চলে যায় কামাল। আত্মগোপনকালে কখনোই সে তাঁর সন্তান ও আত্মীয়-পরিজন কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি।’
র্যাবের মুখপাত্র জানান, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জর সোনারগাঁ থানা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আশরাফ হোসেন কামালকে (৪৭) গ্রেপ্তারের জন্য অনুরোধ করা হয় র্যাবের কাছে। তাঁদের অনুরোধের ভিত্তিতে মামলায় দেওয়া একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে বরিশালে অভিযান চালানো হয়। মোবাইল নম্বরটি আসামির নামেই রেজিস্ট্রেশন করা, কিন্তু ব্যবহার করছেন অন্যজন। আসামি দীর্ঘদিন ধরে নম্বরটি ব্যবহার না করায় কর্তৃপক্ষ সিমটি অপর ব্যক্তির কাছে রিপ্লেসমেন্ট সিম হিসেবে বিক্রি করে। তাই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় না। পরে র্যাব সাইবার পেট্রলিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আসামির ফুটপ্রিন্ট শনাক্ত করে। পরে আসামির শ্বশুরের কাছ থেকে তাঁর ছবি শনাক্ত করলে জানা যায় কামালই প্রকৃত আসামি। পরে মাঠপর্যায়ে তথ্য যাচাইবাছাই করে গতকাল রাতে কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আল মঈন আরও জানান, ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে পারিবারিক কলহের জেরে কামাল তাঁর শিশুপুত্রের সামনেই স্ত্রী সানজিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গোপন করতে মরদেহ ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়। পরে তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, সানজিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে সোনারগাঁ থানার পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। মামলার তদন্তে জানা যায়, সিলিং ফ্যানের নিচে খাট ছিল। খাটের ওপর থেকে সিলিং ফ্যানের উচ্চতা খুবই কম ছিল। এমতাবস্থায়, সিলিং ফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা সম্ভব নয়। পরে সোনারগাঁ থানার পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করলে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
র্যাবের মুখপাত্র আরও জানান, আশরাফ হোসেন কামাল ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। ২০০৩ সালে সানজিদাকে বিয়ে করে কোম্পানির স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস শুরু করেন। সানজিদাকে হত্যার পর তিনি ছদ্মবেশে আশুলিয়ায় বসবাস শুরু করেন এবং প্রথম স্ত্রীর ঘটনা গোপন করে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। পাশাপাশি গ্রেপ্তার এড়াতে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।
কামাল ২০০৬ সালে আশুলিয়ায় সাপ্তাহিক মহানগর বার্তার সহকারী সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। ২০০৯ সালে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য হন। পরে সংবাদ প্রতিক্ষণ পত্রিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। এমনকি ২০১৩-১৪ মেয়াদে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জয়ী এবং ২০১৫-১৬ মেয়াদে সহসম্পাদক পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ২০২০ সালে দৈনিক সময়ের বাংলা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং সর্বশেষ ‘স্বদেশ বিচিত্রা’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যুক্ত হন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন গার্মেন্টস ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করতেন তিনি। এ ছাড়া নিজের একটি কনসালটেন্সি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ফার্মটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিবেশ যাচাইয়ে নিরীক্ষার কনসালটেন্সি করত।
সাংবাদিকতা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সন্দেহ ও নজরদারি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারা যাবে—এ ধারণা থেকে স্ত্রীকে হত্যার পরে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন আশরাফ হোসেন কামাল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার রাতে সাভার থেকে সাংবাদিক ছদ্মবেশে পলাতক হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলেও ১২ দিন পর শ্বশুরেরই সহায়তায় জামিন পায় সে। জামিন পাওয়ার পরপরই হঠাৎ একদিন আত্মগোপনে চলে যায় কামাল। আত্মগোপনকালে কখনোই সে তাঁর সন্তান ও আত্মীয়-পরিজন কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি।’
র্যাবের মুখপাত্র জানান, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জর সোনারগাঁ থানা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আশরাফ হোসেন কামালকে (৪৭) গ্রেপ্তারের জন্য অনুরোধ করা হয় র্যাবের কাছে। তাঁদের অনুরোধের ভিত্তিতে মামলায় দেওয়া একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে বরিশালে অভিযান চালানো হয়। মোবাইল নম্বরটি আসামির নামেই রেজিস্ট্রেশন করা, কিন্তু ব্যবহার করছেন অন্যজন। আসামি দীর্ঘদিন ধরে নম্বরটি ব্যবহার না করায় কর্তৃপক্ষ সিমটি অপর ব্যক্তির কাছে রিপ্লেসমেন্ট সিম হিসেবে বিক্রি করে। তাই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় না। পরে র্যাব সাইবার পেট্রলিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আসামির ফুটপ্রিন্ট শনাক্ত করে। পরে আসামির শ্বশুরের কাছ থেকে তাঁর ছবি শনাক্ত করলে জানা যায় কামালই প্রকৃত আসামি। পরে মাঠপর্যায়ে তথ্য যাচাইবাছাই করে গতকাল রাতে কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আল মঈন আরও জানান, ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে পারিবারিক কলহের জেরে কামাল তাঁর শিশুপুত্রের সামনেই স্ত্রী সানজিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গোপন করতে মরদেহ ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়। পরে তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, সানজিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে সোনারগাঁ থানার পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। মামলার তদন্তে জানা যায়, সিলিং ফ্যানের নিচে খাট ছিল। খাটের ওপর থেকে সিলিং ফ্যানের উচ্চতা খুবই কম ছিল। এমতাবস্থায়, সিলিং ফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা সম্ভব নয়। পরে সোনারগাঁ থানার পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করলে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
র্যাবের মুখপাত্র আরও জানান, আশরাফ হোসেন কামাল ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। ২০০৩ সালে সানজিদাকে বিয়ে করে কোম্পানির স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস শুরু করেন। সানজিদাকে হত্যার পর তিনি ছদ্মবেশে আশুলিয়ায় বসবাস শুরু করেন এবং প্রথম স্ত্রীর ঘটনা গোপন করে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। পাশাপাশি গ্রেপ্তার এড়াতে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।
কামাল ২০০৬ সালে আশুলিয়ায় সাপ্তাহিক মহানগর বার্তার সহকারী সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। ২০০৯ সালে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য হন। পরে সংবাদ প্রতিক্ষণ পত্রিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। এমনকি ২০১৩-১৪ মেয়াদে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জয়ী এবং ২০১৫-১৬ মেয়াদে সহসম্পাদক পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ২০২০ সালে দৈনিক সময়ের বাংলা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং সর্বশেষ ‘স্বদেশ বিচিত্রা’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যুক্ত হন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন গার্মেন্টস ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করতেন তিনি। এ ছাড়া নিজের একটি কনসালটেন্সি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ফার্মটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিবেশ যাচাইয়ে নিরীক্ষার কনসালটেন্সি করত।
নীলফামারীর সৈয়দপুরের পচানালা খাল বিভিন্ন কল-কারখানার বর্জ্যে দূষিত ও আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ কারণে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে একদিকে যেমন দূষিত পানিতে মশার বংশ বিস্তারসহ বিভিন্ন রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তেমনি প্রায় ৫০০ হেক্টর কৃষিজমিতে সেচ দেওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
৫ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের নতুনগাঁও এলাকায় ইট-বালুর ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পঞ্চসার ইউনিয়নের নতুনগাঁও মধ্যপাড়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এর আগে আজ শুক্রবার সকাল থেকে নদের তীরের ইজতেমা মাঠের টিনশেড মসজিদে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের ‘জোড়’ ইজতেমা (ইজতেমার আগে প্রস্তুতিমূলক সমাবেশ)।
২৬ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে সংহতি জানিয়ে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা
৪১ মিনিট আগে