শরীয়তপুর প্রতিনিধি
জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরে যুবলীগের পদ প্রত্যাশী দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় পথচারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। বর্তমানে শহর জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার জেলা সদরের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বর্ধিত সভার আয়োজন করে যুবলীগ। বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই যুবলীগের পদ প্রত্যাশী একাধিক পক্ষ জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। এ সময় নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে শহরে শোডাউন করতে গেলে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শোডাউনে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের মনোহরবাজার থেকে কোটাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জেলা শহরের কোটাপাড়া, বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল মোড়, উত্তর বাজার ও মনোহরবাজার এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকেরা অর্ধশতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী থেমে থেমে চলমান সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ।
সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি শিশু পরিবারের দুই শিক্ষক চয়ন বিশ্বাস ও শামীম মিয়াকে মারধর এবং তাঁদের বহনকারী মোটরসাইকেল ভাঙচুরেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কোনো পক্ষের সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছ তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি হামলার শিকার ওই দুই শিক্ষক। এ ছাড়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আরও ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সংঘর্ষ চলাকালে জেলা শহরের পালং বাজারে সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন অভিভাবকেরা। এ সময় চরম ভোগান্তিতে পরে শহরের চলাচলকারী সাধারণ মানুষজন।
জেলা যুবলীগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার ও গত সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ২টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন শরীয়তপুর ০১ আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও অপরপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। সবশেষ ২০০৫ সালে জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বর্ধিত সভার আয়োজন করে জেলা যুবলীগ। আজ সকালে জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী বর্তমান সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু সমর্থিত শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচ্চু ব্যাপারী, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া ও সাবেক সাংসদ বিএম মোজাম্মেল হক সমর্থিত পৌরসভার বর্তমান মেয়র পারভেজ রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মেয়র পারভেজ রহমান ও ছিদ্দিকুর রহমান সমর্থকেরা বর্ধিত সভায় যোগ দিতে আসতে চাইলে বাধা দেয় কাউন্সিলর বাচ্চু ব্যাপারী ও বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়ার সমর্থকেরা। এ নিয়েই দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় সকাল ১০টায় নির্ধারিত সময়ে বর্ধিত সভা শুরু করা যায়নি। পরবর্তীতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ শওকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বুচ্চু ব্যাপারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে মিছিল, শোভাযাত্রা, জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমার সমর্থকেরা শান্তিপূর্ণভাবে শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিল। পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা মিছিল বের করে এবং আপত্তিকর স্লোগান দিতে থাকলে আমার সমর্থকেরা প্রতিবাদ করে। এ সময় প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ছোরা বোমার আঘাতে আমার ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুবলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত বর্ধিত সভায় আমার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আসতে দেওয়া হয়নি। সভাস্থলে আসতে না পেরে আমার সমর্থকেরা শহরের কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছিল। এ সময় বিনা উসকানিতে বাচ্চু ব্যাপারীর সমর্থকেরা আমার সমর্থকদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। তাদের ধারালো অস্ত্র ও বোমার আঘাতে আমার ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন জানান, বর্ধিত সভা সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাস্থলে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। সভাস্থলের বাইরে যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তারা যুবলীগের কেউ না। বিশৃঙ্খলাকারীদের যুবলীগের মতো একটি সুশৃঙ্খল ও ঐতিহ্যবাহী দলে কোন স্থান নেই।
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ শোডাউন ও জনসমাগমের চেষ্টা করে। পুলিশের পক্ষ থেকে সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষই বেশ কিছু ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সংগ্রহ করে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো কোন পক্ষ মামলার আবেদন করেননি। নতুন করে বিশৃঙ্খলতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরে যুবলীগের পদ প্রত্যাশী দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় পথচারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। বর্তমানে শহর জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার জেলা সদরের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বর্ধিত সভার আয়োজন করে যুবলীগ। বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই যুবলীগের পদ প্রত্যাশী একাধিক পক্ষ জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। এ সময় নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে শহরে শোডাউন করতে গেলে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শোডাউনে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের মনোহরবাজার থেকে কোটাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জেলা শহরের কোটাপাড়া, বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল মোড়, উত্তর বাজার ও মনোহরবাজার এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকেরা অর্ধশতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী থেমে থেমে চলমান সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ।
সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি শিশু পরিবারের দুই শিক্ষক চয়ন বিশ্বাস ও শামীম মিয়াকে মারধর এবং তাঁদের বহনকারী মোটরসাইকেল ভাঙচুরেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কোনো পক্ষের সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছ তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি হামলার শিকার ওই দুই শিক্ষক। এ ছাড়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আরও ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সংঘর্ষ চলাকালে জেলা শহরের পালং বাজারে সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন অভিভাবকেরা। এ সময় চরম ভোগান্তিতে পরে শহরের চলাচলকারী সাধারণ মানুষজন।
জেলা যুবলীগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার ও গত সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ২টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন শরীয়তপুর ০১ আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও অপরপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। সবশেষ ২০০৫ সালে জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বর্ধিত সভার আয়োজন করে জেলা যুবলীগ। আজ সকালে জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী বর্তমান সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু সমর্থিত শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচ্চু ব্যাপারী, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া ও সাবেক সাংসদ বিএম মোজাম্মেল হক সমর্থিত পৌরসভার বর্তমান মেয়র পারভেজ রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মেয়র পারভেজ রহমান ও ছিদ্দিকুর রহমান সমর্থকেরা বর্ধিত সভায় যোগ দিতে আসতে চাইলে বাধা দেয় কাউন্সিলর বাচ্চু ব্যাপারী ও বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়ার সমর্থকেরা। এ নিয়েই দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় সকাল ১০টায় নির্ধারিত সময়ে বর্ধিত সভা শুরু করা যায়নি। পরবর্তীতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ শওকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বুচ্চু ব্যাপারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে মিছিল, শোভাযাত্রা, জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমার সমর্থকেরা শান্তিপূর্ণভাবে শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিল। পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা মিছিল বের করে এবং আপত্তিকর স্লোগান দিতে থাকলে আমার সমর্থকেরা প্রতিবাদ করে। এ সময় প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ছোরা বোমার আঘাতে আমার ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুবলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত বর্ধিত সভায় আমার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আসতে দেওয়া হয়নি। সভাস্থলে আসতে না পেরে আমার সমর্থকেরা শহরের কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছিল। এ সময় বিনা উসকানিতে বাচ্চু ব্যাপারীর সমর্থকেরা আমার সমর্থকদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। তাদের ধারালো অস্ত্র ও বোমার আঘাতে আমার ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন জানান, বর্ধিত সভা সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাস্থলে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। সভাস্থলের বাইরে যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তারা যুবলীগের কেউ না। বিশৃঙ্খলাকারীদের যুবলীগের মতো একটি সুশৃঙ্খল ও ঐতিহ্যবাহী দলে কোন স্থান নেই।
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ শোডাউন ও জনসমাগমের চেষ্টা করে। পুলিশের পক্ষ থেকে সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষই বেশ কিছু ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সংগ্রহ করে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো কোন পক্ষ মামলার আবেদন করেননি। নতুন করে বিশৃঙ্খলতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লার হোমনায় সৎ মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মোফাজ্জল হোসেন বেনু (৩৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার শ্রীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ মোফাজ্জলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
৩ মিনিট আগেধর্ম উপদেষ্টা বলেন, প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ আইনের শাসন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দেশ ও জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারতেন। কিন্তু তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
৮ মিনিট আগেরাজশাহীর বাগমারায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে এক কিশোরকে (১৫) হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
৪৪ মিনিট আগেবরিশালের হিজলায় পরিত্যক্ত ঘর থেকে রাজিব বাবুর্চি (২৮) নামের এক কৃষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কোড়ালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে