প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া
লকডাউনের কারণে বিপাকে পড়েছেন কুষ্টিয়ার বেশির ভাগ দুগ্ধ খামারি। উৎপাদিত দুধ কোনোভাবেই কাজে লাগাতে পারছেন না তাঁরা। ফলে বাধ্য হয়ে দুধ বিলিয়ে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, `গেল বছরও করোনার সময় দুধ বেচতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত গত ফেব্রুয়ারিতে একটি মিষ্টির কারখানা ও বিক্রির দোকান দিই। নিজের খামারের দুধ ছাড়াও অন্য খামারিদের দুধও ক্রয় করতাম। ব্যবসাও ভালো চলছিল। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে মিষ্টির দোকান। এ কারণে বন্ধ রাখতে হচ্ছে মিষ্টির কারখানাও।’ জাকিরুল আরও বলেন, ‘প্রথমে কিছুদিন ছানা বানিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতাম। এতেও কোনো লাভ হচ্ছে না। তাই এলাকার মানুষদের ডেকে দুধ দিয়ে দিচ্ছি।'
জাকিরুল জানান, শুধু তাঁর একার নয় সব খামারির অবস্থাই খারাপ। কেউই দুধ কাজে লাগাতে পারছেন না। হয় মানুষকে দিয়ে দিচ্ছেন, না হয় গাভির বাছুর দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন। দুধ বেচতে না পারলেও খামার চালানোর খরচ সবারই হচ্ছে। এ কারণে বিপুল লোকসানের মুখে পড়ছেন খামারিরা। কৃষি খামারের অংশ হিসেবে মিষ্টির দোকানগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনের কিছু সময় খোলা রাখার অনুমতি চান তাঁরা।
খামারি রাসেল মৃধা জনান, জাকিরের দুগ্ধ খামার দেখেই তিনি উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। এখন তাঁর খামারে গরু রয়েছে ২৫০টি। প্রতিদিন ১৫০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। আগে দুধ বিক্রি করতেন জাকিরের মিষ্টির কারখানায়। কিন্তু লকডাউন আসার পর থেকে দুধ বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে।
রাসেল বলেন, `জাকির নিজের দুধেরই কোনো গতি করতে পারছেন না। এখন আমার দুধ নিয়ে কী করবেন। তবে মাঝেমধ্যে দুই–এক কেজি দুধ প্রতিবেশীদের কাছে বিক্রি হলেও বাকি সব নষ্ট হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো একটা ব্যবস্থা না করলে আমরা শেষ।'
শহরতলির মঙ্গলবাড়িয়ার জামান মুন্না বলেন, `লকডাউনের কারণে দুধ বিক্রি করতে পারছি না। তাই গাভির খাবার দেওয়া কমিয়ে দিয়েছি। রোজানু (প্রতিদিন) হিসেবে কিছু লোককে দুধ দিচ্ছি। আগে ৬০ টাকা লিটার দাম পাওয়া গেলেও ক্রেতারা এখন ৪০ টাকার বেশি দিতে চাচ্ছেন না।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মানুষ এখন দুধ কম খায়। দুধের ৮০ শতাংশ ক্রেতাই মিষ্টি প্রস্তুতকারী। যেহেতু মিষ্টির দোকান বন্ধ, তাই খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের যে সহযোগিতা করা হয়েছে তা যৎসামান্য। মিষ্টির দোকানগুলো খুলে দিলে খামারিদের জন্য ভালো হয়।
লকডাউনের কারণে বিপাকে পড়েছেন কুষ্টিয়ার বেশির ভাগ দুগ্ধ খামারি। উৎপাদিত দুধ কোনোভাবেই কাজে লাগাতে পারছেন না তাঁরা। ফলে বাধ্য হয়ে দুধ বিলিয়ে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, `গেল বছরও করোনার সময় দুধ বেচতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত গত ফেব্রুয়ারিতে একটি মিষ্টির কারখানা ও বিক্রির দোকান দিই। নিজের খামারের দুধ ছাড়াও অন্য খামারিদের দুধও ক্রয় করতাম। ব্যবসাও ভালো চলছিল। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে মিষ্টির দোকান। এ কারণে বন্ধ রাখতে হচ্ছে মিষ্টির কারখানাও।’ জাকিরুল আরও বলেন, ‘প্রথমে কিছুদিন ছানা বানিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতাম। এতেও কোনো লাভ হচ্ছে না। তাই এলাকার মানুষদের ডেকে দুধ দিয়ে দিচ্ছি।'
জাকিরুল জানান, শুধু তাঁর একার নয় সব খামারির অবস্থাই খারাপ। কেউই দুধ কাজে লাগাতে পারছেন না। হয় মানুষকে দিয়ে দিচ্ছেন, না হয় গাভির বাছুর দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন। দুধ বেচতে না পারলেও খামার চালানোর খরচ সবারই হচ্ছে। এ কারণে বিপুল লোকসানের মুখে পড়ছেন খামারিরা। কৃষি খামারের অংশ হিসেবে মিষ্টির দোকানগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনের কিছু সময় খোলা রাখার অনুমতি চান তাঁরা।
খামারি রাসেল মৃধা জনান, জাকিরের দুগ্ধ খামার দেখেই তিনি উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। এখন তাঁর খামারে গরু রয়েছে ২৫০টি। প্রতিদিন ১৫০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। আগে দুধ বিক্রি করতেন জাকিরের মিষ্টির কারখানায়। কিন্তু লকডাউন আসার পর থেকে দুধ বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে।
রাসেল বলেন, `জাকির নিজের দুধেরই কোনো গতি করতে পারছেন না। এখন আমার দুধ নিয়ে কী করবেন। তবে মাঝেমধ্যে দুই–এক কেজি দুধ প্রতিবেশীদের কাছে বিক্রি হলেও বাকি সব নষ্ট হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো একটা ব্যবস্থা না করলে আমরা শেষ।'
শহরতলির মঙ্গলবাড়িয়ার জামান মুন্না বলেন, `লকডাউনের কারণে দুধ বিক্রি করতে পারছি না। তাই গাভির খাবার দেওয়া কমিয়ে দিয়েছি। রোজানু (প্রতিদিন) হিসেবে কিছু লোককে দুধ দিচ্ছি। আগে ৬০ টাকা লিটার দাম পাওয়া গেলেও ক্রেতারা এখন ৪০ টাকার বেশি দিতে চাচ্ছেন না।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মানুষ এখন দুধ কম খায়। দুধের ৮০ শতাংশ ক্রেতাই মিষ্টি প্রস্তুতকারী। যেহেতু মিষ্টির দোকান বন্ধ, তাই খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের যে সহযোগিতা করা হয়েছে তা যৎসামান্য। মিষ্টির দোকানগুলো খুলে দিলে খামারিদের জন্য ভালো হয়।
বিরামপুর উপজেলা থেকে বিশনী পাহান (৫৩) নামের এক সাঁওতাল নারীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। আজ শনিবার সকালে কাটলা ইউনিয়নের দাউদপুর ময়নার মোড়ের অদূরে ধান খেত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
১৫ মিনিট আগেমাহিদ হাসান শিশির বলেন, ‘পেছনের বাস থেকে হঠাৎ করে ডাক চিৎকার করে বলছে, ‘‘তোমাদের কাছে পানি আছে দ্রুত পানি দাও। আমাদের বাসে আগুন লাগছে। পানি দাও
১৬ মিনিট আগেমাছ বিক্রেতার স্ত্রী তিনি। স্বামীর মাছ বিক্রির লাভের টাকায় টেনেটুনে দিন চলত। সংসারে অভাব লেগেই থাকত। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। একটা অভাব মিটলে, নতুন করে হাজির হতো আরেকটি। ধারদেনা করেই চলতে হতো।
২৭ মিনিট আগেনীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা করে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান বিমানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আজ শনিবার সকালে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত...
৩৬ মিনিট আগে