কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিন মাসের শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে অংশ নিয়েছেন ফারজানা আফরোজ লিমু। সে উপজেলার দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের নিয়মিত ছাত্রী। আজ রোববার কলারোয়া উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ৪৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৩ হাজার ৯০৭ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ।
জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হলেও করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাই যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের হার সহনীয় মাত্রায় পৌঁছানোয় পুনর্বিন্যাস করা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এসএসসি কলারোয়া গার্লস পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলারোয়া সরকারি জিকেএমকে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও খোর্দ্দো মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২ হাজার ৭৯৩ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ২ জন ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল।
কেড়াগাছি ইউনিয়নের পাঁচপোতা এলাকা থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিতে আসা অভিভাবক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষগুলো চিন্তা করেন কামলা খেটে যা রোজগার হয় তা দিয়ে কোনোরকম সংসার চালানোর পাশাপাশি সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব নয়। এর মধ্যে করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাঁরা সন্তানকে দিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। অপরদিকে, শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ বাবা-মাকে ভুলভাল বুঝিয়ে স্মার্ট মোবাইল কিনে নিয়ে গেম ও অনলাইনে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ স্কুল বন্ধ থাকায় অধিকাংশ মেয়েদের গোপনে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ মাসের শিশু সন্তান নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক পরীক্ষার্থী।
দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আব্দুর রহিম বলেন, এ বছর ৫৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক অসচেতন অভিভাবক তাঁদের স্কুলপড়ুয়া সন্তানকে বিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষকেরা জানতে পারলে বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়ে যাবে এ ভয়ে খুব গোপনে বিয়েগুলো দেওয়া হয় ৷ বাল্যবিবাহ হবে জানা মাত্র প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে সেখানকার অর্ধেকের বেশি মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। গোপনে বিয়ে হয়ে যাওয়া ছাত্রীরাও পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে অভিভাবকদের তুলনামূলক সচেতন হতে হবে।
এ বিষয়ে আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের ভকেশনাল কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করা ৪৩৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ জন অনুপস্থিত ছিল। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় মোট ৬৫৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন ছাত্র ও ১৮ জন ছাত্রী অনুপস্থিত রয়েছে। মোট ৩ হাজার ৮৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৪৩ জনের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি।
পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি নিয়ে আব্দুল হামিদ বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে গ্রামীণ পর্যায়ে মানুষ পারিবারিক অর্থনৈতিক অস্বচ্ছতা ও অজ্ঞতার কারণে শিক্ষকদের অগচরে অনেক অভিভাবক স্কুলপড়ুয়া অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। অনেকে সংসার করছে আবার অনেকে সংসারে পাশাপাশি লেখাপড়াও করছে। তবে বাল্যবিবাহ থেকে বিরত থাকতে হবে তা না হলে শিশুদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। এ জন্য অভিভাবক ও সমাজের সকলকে সচেতন হতে হবে।
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিন মাসের শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে অংশ নিয়েছেন ফারজানা আফরোজ লিমু। সে উপজেলার দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের নিয়মিত ছাত্রী। আজ রোববার কলারোয়া উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ৪৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৩ হাজার ৯০৭ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ।
জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হলেও করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাই যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের হার সহনীয় মাত্রায় পৌঁছানোয় পুনর্বিন্যাস করা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এসএসসি কলারোয়া গার্লস পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলারোয়া সরকারি জিকেএমকে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও খোর্দ্দো মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২ হাজার ৭৯৩ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ২ জন ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল।
কেড়াগাছি ইউনিয়নের পাঁচপোতা এলাকা থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিতে আসা অভিভাবক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষগুলো চিন্তা করেন কামলা খেটে যা রোজগার হয় তা দিয়ে কোনোরকম সংসার চালানোর পাশাপাশি সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব নয়। এর মধ্যে করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাঁরা সন্তানকে দিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। অপরদিকে, শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ বাবা-মাকে ভুলভাল বুঝিয়ে স্মার্ট মোবাইল কিনে নিয়ে গেম ও অনলাইনে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ স্কুল বন্ধ থাকায় অধিকাংশ মেয়েদের গোপনে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ মাসের শিশু সন্তান নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক পরীক্ষার্থী।
দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আব্দুর রহিম বলেন, এ বছর ৫৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক অসচেতন অভিভাবক তাঁদের স্কুলপড়ুয়া সন্তানকে বিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষকেরা জানতে পারলে বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়ে যাবে এ ভয়ে খুব গোপনে বিয়েগুলো দেওয়া হয় ৷ বাল্যবিবাহ হবে জানা মাত্র প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে সেখানকার অর্ধেকের বেশি মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। গোপনে বিয়ে হয়ে যাওয়া ছাত্রীরাও পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে অভিভাবকদের তুলনামূলক সচেতন হতে হবে।
এ বিষয়ে আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের ভকেশনাল কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করা ৪৩৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ জন অনুপস্থিত ছিল। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় মোট ৬৫৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন ছাত্র ও ১৮ জন ছাত্রী অনুপস্থিত রয়েছে। মোট ৩ হাজার ৮৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৪৩ জনের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি।
পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি নিয়ে আব্দুল হামিদ বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে গ্রামীণ পর্যায়ে মানুষ পারিবারিক অর্থনৈতিক অস্বচ্ছতা ও অজ্ঞতার কারণে শিক্ষকদের অগচরে অনেক অভিভাবক স্কুলপড়ুয়া অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। অনেকে সংসার করছে আবার অনেকে সংসারে পাশাপাশি লেখাপড়াও করছে। তবে বাল্যবিবাহ থেকে বিরত থাকতে হবে তা না হলে শিশুদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। এ জন্য অভিভাবক ও সমাজের সকলকে সচেতন হতে হবে।
গাজীপুরের শ্রীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) প্রো-ভিসি অধ্যাপক রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘দুর্ঘটনা তো আর বলে-কয়ে আসে না। এটা হঠাৎ ঘটে গেছে। এখন আমি মনে করব, কাউকে দোষ দেওয়ার চেয়ে ঘটনা উত্তরণে সবাইকে কাজ করতে হবে।
৫ মিনিট আগেবিরামপুর উপজেলা থেকে বিশনী পাহান (৫৩) নামের এক সাঁওতাল নারীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। আজ শনিবার সকালে কাটলা ইউনিয়নের দাউদপুর ময়নার মোড়ের অদূরে ধানখেত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২৫ মিনিট আগেমাহিদ হাসান শিশির বলেন, ‘পেছনের বাস থেকে হঠাৎ করে ডাক চিৎকার করে বলছে, ‘‘তোমাদের কাছে পানি আছে দ্রুত পানি দাও। আমাদের বাসে আগুন লাগছে। পানি দাও
২৬ মিনিট আগেমাছ বিক্রেতার স্ত্রী তিনি। স্বামীর মাছ বিক্রির লাভের টাকায় টেনেটুনে দিন চলত। সংসারে অভাব লেগেই থাকত। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। একটা অভাব মিটলে, নতুন করে হাজির হতো আরেকটি। ধারদেনা করেই চলতে হতো।
৩৭ মিনিট আগে