ইবিতে সেশনজটের গ্যাঁড়াকলে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩, ২২: ০৮

আবারও সেশনজটের গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আট বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। এসব বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীরা অনার্সের চার বছর শেষ করেও চতুর্থ বর্ষে উঠতে পারেনি। এ সময়ে মাত্র পাঁচটি সেমিস্টার শেষ করেছে ওই সব বিভাগ। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

তবে ভিন্ন কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানা মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সেশন জ্যাম নেই। আমরা এসব বিভাগে কথা বলে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করব। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করব।’ 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময় সেশনজটের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে সেই দুর্নাম কাটিয়ে উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিভাগ রয়েছে ৩৬ টি। এর মধ্যে আটটি বিভাগ পড়েছে তীব্র সেশনজটে। এসব বিভাগের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪৭০ জন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বিভাগ এক সেমিস্টার পিছিয়ে আছে। 

সেশনজটের কারণগুলো হলো-সময়মতো পরীক্ষা না নেওয়া, ফল প্রকাশে ধীর গতি, সন্ধ্যাকালীন ব্যাচ ও করোনা পরবর্তী একাডেমি রোডম্যাপ না করা। 

সেশনজটে থাকা বিভাগগুলো হলো-বাংলা, ইংরেজি, আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত এবং পরিসংখ্যান বিভাগ। 

এর মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ২য় সেমিস্টার পরীক্ষা চলমান। আর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবস্থা আরও নাজুক। ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা চার বছর পার করে এখনো তৃতীয় বর্ষের ১ম সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি। 

অন্যদিকে সেশনজটে থাকা আটটি বিভাগের বাংলা, ইংরেজি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত এই পাঁচটি বিভাগেই সান্ধ্যকালীন ব্যাচ চালু আছে। এসব ব্যাচে ক্লাস, পরীক্ষা ও রেজাল্ট নিয়মিত হচ্ছে। 

বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনার পরে প্রতিটি সেমিস্টার শেষ করতে ছয় মাস বা তারও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু করে ২০২৩ সালের জুন মাসে এসে ষষ্ঠ সেমিস্টারের ক্লাস করছি। চার বছরে মাত্র পাঁচ সেমিস্টার শেষ হয়েছে। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক মুঈদ রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুরোনো বিভাগকে স্বয়ংসম্পূর্ণ না করে, নতুন বিভাগ খোলার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। শিক্ষকেরা যদি আন্তরিক হন, যে আগামী তিন সপ্তাহে সিলেবাস শেষ করবে। সেটা সম্ভব। আমার সামনে আমার স্টুডেন্ট কান্না করবে, এটা আমি শিক্ষক হয়ে সহ্য করব, সেটা বেমানান।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত