খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) নির্মাণ করতে পুরোনো চিকিৎসাকেন্দ্র ও পুরোনো গ্যারেজসংলগ্ন জায়গার গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই স্থাপনা নির্মাণ করতে ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের প্রায় ১৪০টি গাছ কাটা হবে। এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশি গাছ কাটা হয়ে গেছে এবং বাকিগুলো দ্রুত কাটা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর গাছ কাটার টেন্ডারের দরপত্র কিনে নেয় মাছুম এন্টারপ্রাইজ। ১৪০টি গাছের দরপত্রের দাম ভ্যাটসহ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এসব গাছের মধ্যে ছিল ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের মেহগনি, জাম, নারকেল, সুপারি, কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়াগাছ।
এদিকে গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হাদি চত্বরে গাছের ডালপালায় ‘আমি বাঁচতে চাই’ সাদা কাপড়ে লেখা দেখা যায়। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রশাসনের এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়াও তাঁরা এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশব্যাপী বৃক্ষনিধনের যে মহোৎসব চলছে তারও প্রতিবাদ করেছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীরা গাছ কাটার বিরুদ্ধে আলোচনা-সমালোচনা করছেন।
শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, বিকল্প জায়গায় টিএসসি নির্মাণ করলে এত গাছ কাটা পড়ত না। অপরদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্যাম্পাসে জায়গা-সংকটের কারণে বিভিন্ন ভবন নির্মাণে মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে অপরিকল্পিত যেসব জায়গায় গাছ ছিল সেসব গাছ কেটে টিএসসি নির্মাণ করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের ফাঁকা জায়গায় গাছ রোপণ করে ক্ষতি পুষিয়ে সবুজায়ন করা হবে।
ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছে। অতীতেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন ঘৃণ্য কাজের নজির রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাস বৃক্ষহীন হয়ে যাবে। কয়েকটা অট্টালিকা ছাড়া আর কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসসংলগ্ন ২০৩ একর খালি জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের যে উদ্যোগ নিয়ে রেখেছে সেটি দ্রুত সম্পাদনের ব্যবস্থা করে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো (শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, টিএসসিসহ নতুন ভবনগুলো) সেখানে বাস্তবায়ন করতে পারত। অথচ সেদিকে তাদের পর্যাপ্ত দৃষ্টি নেই বলেই মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন ভবন নির্মাণ যেমন একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল, প্রশাসনিক ভবন, জিমনেসিয়াম ও টিএসসি নির্মাণ মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী করা হয়েছে এবং করা হচ্ছে। এগুলো নির্মাণ করতে গিয়ে আগে থেকে অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে ওঠা গাছগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের প্রয়োজনে কেটে ফেলা হচ্ছে। তবে মাস্টারপ্ল্যানের বাইরে যেসব ফাঁকা জায়গা রয়েছে পরিকল্পনানুযায়ী সেখানে গাছ রোপণ করে ক্ষতি পুষিয়ে সবুজায়ন করা হবে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কীভাবে সুন্দর রাখা যায়, সেটা আমাদের চিন্তাভাবনায় সব সময় রয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া, পুরোনো মেডিকেল ও কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭২ বর্গফুট আয়তনের টিএসসি ভবন নির্মাণের মোট চুক্তিমূল্য ৫৪ কোটি ৫৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৪০ টাকা। এর মধ্যে শুধু অডিটরিয়ামের আয়তন হবে ৩২ হাজার ৮০৯ বর্গফুট। সেখানে ১ হাজার ৭১০টি আসন ব্যবস্থা থাকবে।
টিএসসি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে দুই বছর। চারতলাবিশিষ্ট এ ভবনে সাধারণ বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পাশাপাশি জেনারেটর এবং ৫ কিলোওয়াট সক্ষমতাসম্পন্ন সোলার সিস্টেম, সিসি টিভি, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও ৫টি লিফট-সুবিধা থাকবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) নির্মাণ করতে পুরোনো চিকিৎসাকেন্দ্র ও পুরোনো গ্যারেজসংলগ্ন জায়গার গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই স্থাপনা নির্মাণ করতে ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের প্রায় ১৪০টি গাছ কাটা হবে। এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশি গাছ কাটা হয়ে গেছে এবং বাকিগুলো দ্রুত কাটা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর গাছ কাটার টেন্ডারের দরপত্র কিনে নেয় মাছুম এন্টারপ্রাইজ। ১৪০টি গাছের দরপত্রের দাম ভ্যাটসহ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এসব গাছের মধ্যে ছিল ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের মেহগনি, জাম, নারকেল, সুপারি, কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়াগাছ।
এদিকে গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হাদি চত্বরে গাছের ডালপালায় ‘আমি বাঁচতে চাই’ সাদা কাপড়ে লেখা দেখা যায়। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রশাসনের এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়াও তাঁরা এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশব্যাপী বৃক্ষনিধনের যে মহোৎসব চলছে তারও প্রতিবাদ করেছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীরা গাছ কাটার বিরুদ্ধে আলোচনা-সমালোচনা করছেন।
শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, বিকল্প জায়গায় টিএসসি নির্মাণ করলে এত গাছ কাটা পড়ত না। অপরদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্যাম্পাসে জায়গা-সংকটের কারণে বিভিন্ন ভবন নির্মাণে মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে অপরিকল্পিত যেসব জায়গায় গাছ ছিল সেসব গাছ কেটে টিএসসি নির্মাণ করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের ফাঁকা জায়গায় গাছ রোপণ করে ক্ষতি পুষিয়ে সবুজায়ন করা হবে।
ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছে। অতীতেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন ঘৃণ্য কাজের নজির রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাস বৃক্ষহীন হয়ে যাবে। কয়েকটা অট্টালিকা ছাড়া আর কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসসংলগ্ন ২০৩ একর খালি জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের যে উদ্যোগ নিয়ে রেখেছে সেটি দ্রুত সম্পাদনের ব্যবস্থা করে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো (শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, টিএসসিসহ নতুন ভবনগুলো) সেখানে বাস্তবায়ন করতে পারত। অথচ সেদিকে তাদের পর্যাপ্ত দৃষ্টি নেই বলেই মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন ভবন নির্মাণ যেমন একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল, প্রশাসনিক ভবন, জিমনেসিয়াম ও টিএসসি নির্মাণ মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী করা হয়েছে এবং করা হচ্ছে। এগুলো নির্মাণ করতে গিয়ে আগে থেকে অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে ওঠা গাছগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের প্রয়োজনে কেটে ফেলা হচ্ছে। তবে মাস্টারপ্ল্যানের বাইরে যেসব ফাঁকা জায়গা রয়েছে পরিকল্পনানুযায়ী সেখানে গাছ রোপণ করে ক্ষতি পুষিয়ে সবুজায়ন করা হবে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কীভাবে সুন্দর রাখা যায়, সেটা আমাদের চিন্তাভাবনায় সব সময় রয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া, পুরোনো মেডিকেল ও কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭২ বর্গফুট আয়তনের টিএসসি ভবন নির্মাণের মোট চুক্তিমূল্য ৫৪ কোটি ৫৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৪০ টাকা। এর মধ্যে শুধু অডিটরিয়ামের আয়তন হবে ৩২ হাজার ৮০৯ বর্গফুট। সেখানে ১ হাজার ৭১০টি আসন ব্যবস্থা থাকবে।
টিএসসি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে দুই বছর। চারতলাবিশিষ্ট এ ভবনে সাধারণ বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পাশাপাশি জেনারেটর এবং ৫ কিলোওয়াট সক্ষমতাসম্পন্ন সোলার সিস্টেম, সিসি টিভি, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও ৫টি লিফট-সুবিধা থাকবে।
রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি। ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেযশোর টেকনিক্যাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ১৪ বছর ধরে কর্মস্থলে না গিয়ে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। স্ত্রীকে হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে
২ ঘণ্টা আগে২ মার্চকে ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ২ মার্চ পতাকা দিবস ঘোষণার দাবিতে ‘হৃদয়ে পতাকা ২ মার্চ’ আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এই আহ্বা
২ ঘণ্টা আগেদেশের বিশিষ্ট সম্পাদক এবং প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রেস উইং।
৩ ঘণ্টা আগে