নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দরিদ্র পরিবারের সন্তান আলিফ হোসেন (১০)। প্রতিদিনের মতো আজ মঙ্গলবার দুপুরেও বাবার সঙ্গে ট্রলি থেকে ইট নামাচ্ছিল সে। হঠাৎ বিদ্যালয় থেকে বাবার মোবাইল ফোনে কল এল। জানানো হলো আলিফ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে উপজেলায় হয়েছে তৃতীয়। আশপাশের লোকজন সবাই অবাক! এ যেন আঁধার ঘরে চাঁদের আলো!
শৈশবেই আলিফ বুঝে গেছে দারিদ্র্য কী জিনিস। আলিফের বড় দুই বোনের বিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক কষ্টে। এখন বাবা-মাসহ তিন সদস্যের পরিবারে আলিফের লেখাপড়া চলছে নিজের মনের জোরেই। কিন্তু তিন বেলা ঠিকমতো খেতে হলে বাবাকে সহযোগিতা করা ছাড়া উপায় নেই তাঁর। তাই বাধ্য হয়ে ট্রলিচালক বাবাকে প্রায়ই সহযোগিতা করে থাকে আলিফ।
নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে থেকেও চমক দেখিয়ে দরিদ্র পরিবারের খুদে এই শিক্ষার্থী পেয়েছে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি। শুধু তাই নয়, নালিতাবাড়ী উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়াদের মধ্যে মেধাক্রম অনুসারে আলিফের স্থান হয়েছে তৃতীয়!
আলিফের পরিবার ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৬১ জন ট্যালেন্টপুলে এবং ১২৭ জন সাধারণে বৃত্তি পেয়েছে। এদের মধ্য একজন উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের হাতিপাগার গ্রামের ট্রলিচালক আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আলিফ হোসেনও।
আলিফ হাতিপাগার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। বৃত্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ১৪৬। উপজেলা থেকে এ বছর ৬১ জন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়াদের মধ্যে মেধাক্রম অনুসারে আলিফের স্থান হয়েছে তৃতীয়। উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চল থেকে এমন অসাধারণ ফলাফলে আনন্দিত আলিফের শিক্ষক, পরিবার ও এলাকাবাসী।
তবে দারিদ্র্যের বাধায় আলিফের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত! কারণ বাবার সঙ্গে কাজ করার কারণে প্রায়ই বিদ্যালয়ে যাওয়া হয় না তার। যদিও এ জন্য মনটা খারাপ থাকে আলিফের। তবুও পড়ালেখাটা চালিয়ে যেতে চায় আলিফ। বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন আলিফের।
হাতিপাগার গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সত্যি অবাক হয়েছি আলিফের এমন সাফল্য দেখে। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা আলিফের পাশে যদি বিত্তবানরা দাঁড়ান তাহলে সে ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু করতে পারবে।’
নিজের এই সাফল্য নিয়ে আলিফ হোসেন বলে, ‘আমি তো বাবার সঙ্গে ট্রলি থেকে ইট নামাইতাছিলাম। বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্ট দিব জানতাম। হঠাৎ স্কুল থাইক্কা কল দিয়া বাবারে জানাইছে আমি বৃত্তি পাইছি। আমার খুব ইচ্ছা বড় হইয়া ডাক্তার হমু আর গরিব মানুষের চিকিৎসা করমু।’
আলিফের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘পেটের তাগিদেই কাজে ছেলের সহযোগিতা নেওয়া লাগে। ছেলেটারে প্রাইভেট পড়াইতে পারি নাই। ঠিকমতো স্কুলেও পাঠাইতে পারি নাই। নিজের চেষ্টায় বাপধন এই রেজাল্ট করছে।’
হাতিপাগার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলম বলেন, ‘আলিফ দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাকে জোর করে আমরা স্কুলে নিয়ে আসতাম। আমরাই ফোনে তার রেজাল্ট জানিয়েছি। ছেলেটার পড়াশোনার প্রতি খুব আগ্রহ। সহযোগিতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে ভবিষ্যতে আলিফ ভালো কিছু করবে।’
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দরিদ্র পরিবারের সন্তান আলিফ হোসেন (১০)। প্রতিদিনের মতো আজ মঙ্গলবার দুপুরেও বাবার সঙ্গে ট্রলি থেকে ইট নামাচ্ছিল সে। হঠাৎ বিদ্যালয় থেকে বাবার মোবাইল ফোনে কল এল। জানানো হলো আলিফ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে উপজেলায় হয়েছে তৃতীয়। আশপাশের লোকজন সবাই অবাক! এ যেন আঁধার ঘরে চাঁদের আলো!
শৈশবেই আলিফ বুঝে গেছে দারিদ্র্য কী জিনিস। আলিফের বড় দুই বোনের বিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক কষ্টে। এখন বাবা-মাসহ তিন সদস্যের পরিবারে আলিফের লেখাপড়া চলছে নিজের মনের জোরেই। কিন্তু তিন বেলা ঠিকমতো খেতে হলে বাবাকে সহযোগিতা করা ছাড়া উপায় নেই তাঁর। তাই বাধ্য হয়ে ট্রলিচালক বাবাকে প্রায়ই সহযোগিতা করে থাকে আলিফ।
নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে থেকেও চমক দেখিয়ে দরিদ্র পরিবারের খুদে এই শিক্ষার্থী পেয়েছে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি। শুধু তাই নয়, নালিতাবাড়ী উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়াদের মধ্যে মেধাক্রম অনুসারে আলিফের স্থান হয়েছে তৃতীয়!
আলিফের পরিবার ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৬১ জন ট্যালেন্টপুলে এবং ১২৭ জন সাধারণে বৃত্তি পেয়েছে। এদের মধ্য একজন উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের হাতিপাগার গ্রামের ট্রলিচালক আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আলিফ হোসেনও।
আলিফ হাতিপাগার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। বৃত্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ১৪৬। উপজেলা থেকে এ বছর ৬১ জন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়াদের মধ্যে মেধাক্রম অনুসারে আলিফের স্থান হয়েছে তৃতীয়। উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চল থেকে এমন অসাধারণ ফলাফলে আনন্দিত আলিফের শিক্ষক, পরিবার ও এলাকাবাসী।
তবে দারিদ্র্যের বাধায় আলিফের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত! কারণ বাবার সঙ্গে কাজ করার কারণে প্রায়ই বিদ্যালয়ে যাওয়া হয় না তার। যদিও এ জন্য মনটা খারাপ থাকে আলিফের। তবুও পড়ালেখাটা চালিয়ে যেতে চায় আলিফ। বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন আলিফের।
হাতিপাগার গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সত্যি অবাক হয়েছি আলিফের এমন সাফল্য দেখে। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা আলিফের পাশে যদি বিত্তবানরা দাঁড়ান তাহলে সে ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু করতে পারবে।’
নিজের এই সাফল্য নিয়ে আলিফ হোসেন বলে, ‘আমি তো বাবার সঙ্গে ট্রলি থেকে ইট নামাইতাছিলাম। বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্ট দিব জানতাম। হঠাৎ স্কুল থাইক্কা কল দিয়া বাবারে জানাইছে আমি বৃত্তি পাইছি। আমার খুব ইচ্ছা বড় হইয়া ডাক্তার হমু আর গরিব মানুষের চিকিৎসা করমু।’
আলিফের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘পেটের তাগিদেই কাজে ছেলের সহযোগিতা নেওয়া লাগে। ছেলেটারে প্রাইভেট পড়াইতে পারি নাই। ঠিকমতো স্কুলেও পাঠাইতে পারি নাই। নিজের চেষ্টায় বাপধন এই রেজাল্ট করছে।’
হাতিপাগার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলম বলেন, ‘আলিফ দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাকে জোর করে আমরা স্কুলে নিয়ে আসতাম। আমরাই ফোনে তার রেজাল্ট জানিয়েছি। ছেলেটার পড়াশোনার প্রতি খুব আগ্রহ। সহযোগিতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে ভবিষ্যতে আলিফ ভালো কিছু করবে।’
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস...
৩ মিনিট আগেক্ষোভ প্রকাশ করে জাকির হোসেন বলেন, ‘এমন ছোট্ট সংযোগ সড়কে বিআরটিসির দোতলা বাসে কী করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পিকনিকে নিয়ে এল। সড়কের সামান্য ওপরে বৈদ্যুতিক তার। সেই তারে ছোট পরিবহন চলাচল যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ। সেই সড়কে কী করে বিআরটিসির দোতলা বাস চলাচল করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে
১৩ মিনিট আগেসুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা...
২৪ মিনিট আগেনিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক
১ ঘণ্টা আগে