নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের অব্যাহতি চেয়ে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’র ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেন ডাবলু সরকারের ভাই নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ সরকার সেডু।
হামলায় ডাবলু সরকারের আরেক ভাই মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকারও অংশ নেন। এ ছাড়াও হামলায় অংশ নেন নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপন্ন সরকার ও নগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুনসহ ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মী। তবে নগর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা ছিলেন না।
মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ডাবলু সরকারের নোংরা ভিডিও রাজনীতিতে অশনিসংকেত ও সমাজের জন্য বিপজ্জনক। অবিলম্বে ডাবলু সরকারকে রাজনীতি থেকে অপসারণ করতে হবে।’
মানববন্ধন শুরুর পর হামলাকারীরা ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। একপর্যায়ে ধাওয়া দিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারী-পুরুষদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ফুল বিক্রেতার টব নিয়েও ধাওয়া দিতে দেখা যায় হামলাকারীদের।
তখন পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ডাবলু সরকারের ভাই সেডু বলেন, ‘মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারির বিরুদ্ধে মানববন্ধন। আপনারা কি করছেন?’ এ সময় হামলাকারীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের গালিগালাজ করেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের সরিয়ে দিয়ে জিরোপয়েন্টে অবস্থান নেন ডাবলু সরকারের দুই ভাই এবং তাঁদের অনুসারীরা। পরে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন তাঁদের সরিয়ে দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া এই মানববন্ধনে কয়েকজন বক্তব্য দেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ছড়িয়ে পড়া একটি আপত্তিকর ভিডিওকে কেন্দ্র করে এই মানববন্ধন ডাকা হয়। ওই ভিডিওতে ডাবলু সরকারের মুখ দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি দেখে মনে হচ্ছে, ডাবলু সরকার ভিডিও কলে কথা বলছেন। পরে বিবস্ত্র অবস্থায় অশালীন কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। ডাবলু সরকার দাবি করেছেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির মুখ তাঁর। তবে শরীরের নিচের অংশ অন্য কারও।
প্রধান আলোচক হিসেবে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আইনজীবী আবু রায়হান মাসুদ বলেন, ‘যখন রাজশাহীকে এই দেশের শ্রেষ্ঠ নগরী হিসেবে দাঁড় করানো গেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কতিপয় হাইব্রিড দুষ্টু নেতার নৈতিক স্খলনের ভিডিও চিত্রকে আমরা তো অভিনন্দন জানাতে পারি না। এই বছর জাতীয় নির্বাচনের বছর। এই বছর এখানে সিটি নির্বাচনও হবে। কাজেই ডাবলু সরকারের এহেন অনৈতিক কর্ম জনমনে যে প্রভাব ফেলছে, এর প্রতি উত্তর মহানগরবাসী ব্যালটের মাধ্যমে দিলে শেখ হাসিনার ক্ষতি, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ক্ষতি। কাজেই প্রতিকারে যেতে হবে। এমন ব্যক্তিকে গ্রহণ করার জন্য রাজশাহীবাসী প্রস্তুত নয়। আমি আশা করব, কাল থেকে আওয়ামী লীগের সকলেই এই ডাবলু সরকারের শাস্তি চেয়ে রাজপথে নেমে আসবে।’
মানববন্ধনের আয়োজকেরা পুলিশের অনুমতি নিয়েছিল। তারপরও হামলার বিষয়ে ঘটনাস্থলে কথা বলতে চাইলে ডাবলু সরকারের ভাই শাহনেওয়াজ সরকার সেডু পরে কথা বলতে চান। পরে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘সামনাসামনি আসেন ভাই, মোবাইলে কথা হবে না।’
রাজশাহী নগর পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের উপকমিশনার আরেফিন জুয়েল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁরা মানববন্ধন করছিল, তাঁরা ভালোভাবেই চলে গেছে। তাঁদেরকে আক্রমণ করতে পারেনি।’ মানববন্ধনের অনুমতি ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে তো প্রায়ই ছোট খাট মানববন্ধন হয়। তাঁরা আমাদের জানিয়েছিলেন যে একটা মানববন্ধন করবেন।’ হামলা হলো কেন সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কারণ তো আপনারা জানেন। আপনারা সেভাবেই নিউজ করেন।’
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের অব্যাহতি চেয়ে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’র ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেন ডাবলু সরকারের ভাই নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ সরকার সেডু।
হামলায় ডাবলু সরকারের আরেক ভাই মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকারও অংশ নেন। এ ছাড়াও হামলায় অংশ নেন নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপন্ন সরকার ও নগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুনসহ ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মী। তবে নগর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা ছিলেন না।
মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ডাবলু সরকারের নোংরা ভিডিও রাজনীতিতে অশনিসংকেত ও সমাজের জন্য বিপজ্জনক। অবিলম্বে ডাবলু সরকারকে রাজনীতি থেকে অপসারণ করতে হবে।’
মানববন্ধন শুরুর পর হামলাকারীরা ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। একপর্যায়ে ধাওয়া দিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারী-পুরুষদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ফুল বিক্রেতার টব নিয়েও ধাওয়া দিতে দেখা যায় হামলাকারীদের।
তখন পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ডাবলু সরকারের ভাই সেডু বলেন, ‘মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারির বিরুদ্ধে মানববন্ধন। আপনারা কি করছেন?’ এ সময় হামলাকারীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের গালিগালাজ করেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের সরিয়ে দিয়ে জিরোপয়েন্টে অবস্থান নেন ডাবলু সরকারের দুই ভাই এবং তাঁদের অনুসারীরা। পরে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন তাঁদের সরিয়ে দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া এই মানববন্ধনে কয়েকজন বক্তব্য দেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ছড়িয়ে পড়া একটি আপত্তিকর ভিডিওকে কেন্দ্র করে এই মানববন্ধন ডাকা হয়। ওই ভিডিওতে ডাবলু সরকারের মুখ দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি দেখে মনে হচ্ছে, ডাবলু সরকার ভিডিও কলে কথা বলছেন। পরে বিবস্ত্র অবস্থায় অশালীন কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। ডাবলু সরকার দাবি করেছেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির মুখ তাঁর। তবে শরীরের নিচের অংশ অন্য কারও।
প্রধান আলোচক হিসেবে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আইনজীবী আবু রায়হান মাসুদ বলেন, ‘যখন রাজশাহীকে এই দেশের শ্রেষ্ঠ নগরী হিসেবে দাঁড় করানো গেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কতিপয় হাইব্রিড দুষ্টু নেতার নৈতিক স্খলনের ভিডিও চিত্রকে আমরা তো অভিনন্দন জানাতে পারি না। এই বছর জাতীয় নির্বাচনের বছর। এই বছর এখানে সিটি নির্বাচনও হবে। কাজেই ডাবলু সরকারের এহেন অনৈতিক কর্ম জনমনে যে প্রভাব ফেলছে, এর প্রতি উত্তর মহানগরবাসী ব্যালটের মাধ্যমে দিলে শেখ হাসিনার ক্ষতি, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ক্ষতি। কাজেই প্রতিকারে যেতে হবে। এমন ব্যক্তিকে গ্রহণ করার জন্য রাজশাহীবাসী প্রস্তুত নয়। আমি আশা করব, কাল থেকে আওয়ামী লীগের সকলেই এই ডাবলু সরকারের শাস্তি চেয়ে রাজপথে নেমে আসবে।’
মানববন্ধনের আয়োজকেরা পুলিশের অনুমতি নিয়েছিল। তারপরও হামলার বিষয়ে ঘটনাস্থলে কথা বলতে চাইলে ডাবলু সরকারের ভাই শাহনেওয়াজ সরকার সেডু পরে কথা বলতে চান। পরে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘সামনাসামনি আসেন ভাই, মোবাইলে কথা হবে না।’
রাজশাহী নগর পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের উপকমিশনার আরেফিন জুয়েল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁরা মানববন্ধন করছিল, তাঁরা ভালোভাবেই চলে গেছে। তাঁদেরকে আক্রমণ করতে পারেনি।’ মানববন্ধনের অনুমতি ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে তো প্রায়ই ছোট খাট মানববন্ধন হয়। তাঁরা আমাদের জানিয়েছিলেন যে একটা মানববন্ধন করবেন।’ হামলা হলো কেন সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কারণ তো আপনারা জানেন। আপনারা সেভাবেই নিউজ করেন।’
রাজশাহীর বাগমারায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে এক কিশোরকে (১৫) হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
৭ মিনিট আগেবরিশালের হিজলায় পরিত্যক্ত ঘর থেকে রাজিব বাবুর্চি (২৮) নামের এক কৃষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কোড়ালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগেবগুড়ায় মাহাদী হাসান (৪) নামের এক নিখোঁজ শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার অভিযোগে তহমিনা নামের এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। তহমিনার ঘর থেকে মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে লেখা একটি চিরকুট জব্দ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ছেলের কাঠের টুকরোর আঘাতে মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নাগাদ উপজেলার পূর্ব চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপুর কুট্টি ভুইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে