এবার সহকর্মীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ আনলেন অভিযুক্ত শিক্ষক

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২২, ১৫: ৫৮
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ১৬: ১৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ইসতিয়াক হোসেন এবার তাঁর সহকর্মীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলেছেন। গত সোমবার একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ইয়ামিন হোসেনের বিরুদ্ধে পরীক্ষার আগে অনলাইন ক্লাসে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তোলেন তিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ইসতিয়াক হোসেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও বিভাগের সভাপতি বরাবরও তিনি একই অভিযোগ দেন। 

এর আগে অধ্যাপক ইসতিয়াক হোসেন নিজেই একটি প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগে ফেসবুকে দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে তাঁকে দুই বছরের জন্য সব ধরনের পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির জন্য বিভাগ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক সহকর্মীর শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ আনলেন ইসতিয়াক। 

লিখিত অভিযোগে ইসতিয়াক উল্লেখ করেন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগে ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কোর্সের শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর একটি অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের কাছে একটি প্রশ্নপত্র শেয়ার করেন। ওই প্রশ্নপত্র দিয়েই ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অল্প কিছু শব্দ ছাড়া দুই প্রশ্নপত্রের মধ্যে কোনো অমিল নেই। 

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এভাবে অনলাইন ক্লাসে প্রশ্ন শেয়ার করা নৈতিকতা বিবর্জিত, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিপন্থী এবং শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা। এ কারণে বিধি মোতাবেক ইয়ামিন হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা বাতিল করার অনুরোধ করেন তিনি। 

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আলমগীর হোসেন সরকার বলেন, ‘আমি লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। অভিযোগ অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে ওই বিভাগ থেকে প্রশ্নপত্র ফেসবুকে দেওয়ার অভিযোগ এসেছিল। ওই ঘটনারও তদন্ত চলছে।’ 

অভিযোগকারী ইসতিয়াক হোসেন জানান, তিনি ভুলবশত যে মডারেটেড প্রশ্ন ফেসবুকে দিয়েছিলেন, সেটা অন্যায় হলে তিনি শাস্তি পেতে রাজি আছেন। প্রশ্নপত্র মডারেশনের ক্ষেত্রে যে অনিয়ম হচ্ছে, সেটা ধরিয়ে দিতেই তিনি অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘আমি অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। আমি ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র ক্লাসে শিক্ষার্থীদের দেখিয়েছিলাম।’ হুবহু প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি মডারেশন বোর্ডের বিষয়।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি মাত্রই আপনার কাছ থেকে শুনলাম।’ তবে প্রশ্নপত্র মডারেশনের বিষয়ে কথা বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে তিনি বিভাগের সভাপতির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। 

ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি এম মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসসংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। তাই আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই না।’ 

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একাধিকবার মোবাইলে কল করেও পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত