কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কৃষি কারিগরি কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দায়িত্বে অবহেলার কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারানোর দায় নিজেদের নিয়ে থানায় জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরামর্শ দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ মোসা. আয়েশা নাজনীন।
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের কৃষি কারিগরি কলেজের কৃষি ডিপ্লোমার ১৭ শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ হারিয়ে ফেলেছে। এর দায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিজ নিজ থানায় জিডি করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। কৃষি ডিপ্লোমার রেজিস্ট্রেশন কার্ড হাতে না পেয়েই নিজেদের দায় নিয়ে থানায় জিডি বা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ করতে নারাজ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী মো. বায়েজিদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অষ্টম সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়া হয়। রেজিস্ট্রেশন কার্ডটি এমএসসি ও চাকরির সময় কাজে লাগে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০১৭-১৮ সেশনের সব শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারিয়ে ফেলেছে। কৃষি ডিপ্লোমার এই রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারানোর দায় কলেজ কর্তৃপক্ষ নেবে না।’
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘আমরা কৃষি ডিপ্লোমার রেজিস্ট্রেশন কার্ড হাতেই পেলাম না, তাহলে কেন আমরা নিজেরা দায় নিয়ে জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব? জিডি আর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে যদি রেজিস্ট্রেশন কার্ডের জন্য কলেজ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে তখন আমরা কী করব? তখন তো কলেজের দায় থাকল না আর কলেজ কর্তৃপক্ষ তো এটাও বলতে পারে যে তোমাদের কাছে থেকে হারিয়েছে বলেই জিডি করেছ।’
জায়েদ বিন সিদ্দিকসহ কয়েকজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিজের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারিয়েছে—এরকম একটি জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কলেজ কর্তৃপক্ষ কাগজ জমা দিতে বলেছে ৷’
ওই শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘দু-একজন ছাড়া সবাই বাইরে থাকে ছোটখাটো কোম্পানির চাকরি করে আবার কেউ কেউ সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিজেরা না হারিয়ে কেন দায় নেব? কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এমনটা হয়েছে বলেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী জানান, চতুর্থ সেমিস্টারের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বোর্ড প্রস্তুত করে কলেজে পাঠিয়ে দেয়। সে সময় আয়েশা নাজনীন ম্যাডাম কলেজে নতুন জয়েন করেন। ওই শিক্ষার্থীর ধারণা, তিনি আসার পরেই রেজিস্ট্রেশন কার্ডটি হারিয়েছে। আয়েশা নাজনীন ম্যাডাম এখন সাবেক প্রিন্সিপাল সালাম স্যারের ওপরে দায় দিচ্ছেন, কিন্তু সাবেক প্রিন্সিপাল সালাম স্যারও তো মারা গেছেন।
কৃষি কারিগরি কলেজে প্রিন্সিপাল (অধ্যক্ষ) মোসা. আয়েশা নাজনীন বলেন, ‘আমি আসার আগে সাবেক প্রিন্সিপাল আব্দুস সালাম স্যারের সময় রেজিস্ট্রেশন কার্ড বোর্ডে প্রস্তুত থাকলেও তিনি সংগ্রহ করেননি। যেহেতু ভবিষ্যতে রেজিস্ট্রেশন কার্ডটি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন হবে, এ জন্য তাদের এভাবে তোলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
কামারখন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছাকমান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষি কারিগরি কলেজ আমাদের আওতায়, তবে আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। কলেজটির সভাপতি ইউএনও ম্যাডাম, তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।’
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কারিগরি কলেজের সভাপতি মেরিনা সুলতানা ট্রেনিংয়ে থাকার কারণে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে বর্তমানে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুমা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম। যদি কলেজ কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারিয়ে ফেলে, তাহলে এটা শিক্ষার্থীদের দায় দেওয়ার মানে হয় না। কলেজ কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিয়ে জিডি করতে হবে। বিষয়টি আমি জানার চেষ্টা করছি এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেব।’
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কৃষি কারিগরি কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দায়িত্বে অবহেলার কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারানোর দায় নিজেদের নিয়ে থানায় জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরামর্শ দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ মোসা. আয়েশা নাজনীন।
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের কৃষি কারিগরি কলেজের কৃষি ডিপ্লোমার ১৭ শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ হারিয়ে ফেলেছে। এর দায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিজ নিজ থানায় জিডি করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। কৃষি ডিপ্লোমার রেজিস্ট্রেশন কার্ড হাতে না পেয়েই নিজেদের দায় নিয়ে থানায় জিডি বা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ করতে নারাজ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী মো. বায়েজিদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অষ্টম সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়া হয়। রেজিস্ট্রেশন কার্ডটি এমএসসি ও চাকরির সময় কাজে লাগে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০১৭-১৮ সেশনের সব শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারিয়ে ফেলেছে। কৃষি ডিপ্লোমার এই রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারানোর দায় কলেজ কর্তৃপক্ষ নেবে না।’
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘আমরা কৃষি ডিপ্লোমার রেজিস্ট্রেশন কার্ড হাতেই পেলাম না, তাহলে কেন আমরা নিজেরা দায় নিয়ে জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব? জিডি আর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে যদি রেজিস্ট্রেশন কার্ডের জন্য কলেজ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে তখন আমরা কী করব? তখন তো কলেজের দায় থাকল না আর কলেজ কর্তৃপক্ষ তো এটাও বলতে পারে যে তোমাদের কাছে থেকে হারিয়েছে বলেই জিডি করেছ।’
জায়েদ বিন সিদ্দিকসহ কয়েকজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিজের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারিয়েছে—এরকম একটি জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কলেজ কর্তৃপক্ষ কাগজ জমা দিতে বলেছে ৷’
ওই শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘দু-একজন ছাড়া সবাই বাইরে থাকে ছোটখাটো কোম্পানির চাকরি করে আবার কেউ কেউ সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিজেরা না হারিয়ে কেন দায় নেব? কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এমনটা হয়েছে বলেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী জানান, চতুর্থ সেমিস্টারের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বোর্ড প্রস্তুত করে কলেজে পাঠিয়ে দেয়। সে সময় আয়েশা নাজনীন ম্যাডাম কলেজে নতুন জয়েন করেন। ওই শিক্ষার্থীর ধারণা, তিনি আসার পরেই রেজিস্ট্রেশন কার্ডটি হারিয়েছে। আয়েশা নাজনীন ম্যাডাম এখন সাবেক প্রিন্সিপাল সালাম স্যারের ওপরে দায় দিচ্ছেন, কিন্তু সাবেক প্রিন্সিপাল সালাম স্যারও তো মারা গেছেন।
কৃষি কারিগরি কলেজে প্রিন্সিপাল (অধ্যক্ষ) মোসা. আয়েশা নাজনীন বলেন, ‘আমি আসার আগে সাবেক প্রিন্সিপাল আব্দুস সালাম স্যারের সময় রেজিস্ট্রেশন কার্ড বোর্ডে প্রস্তুত থাকলেও তিনি সংগ্রহ করেননি। যেহেতু ভবিষ্যতে রেজিস্ট্রেশন কার্ডটি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন হবে, এ জন্য তাদের এভাবে তোলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
কামারখন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছাকমান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষি কারিগরি কলেজ আমাদের আওতায়, তবে আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। কলেজটির সভাপতি ইউএনও ম্যাডাম, তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।’
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কারিগরি কলেজের সভাপতি মেরিনা সুলতানা ট্রেনিংয়ে থাকার কারণে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে বর্তমানে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুমা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম। যদি কলেজ কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারিয়ে ফেলে, তাহলে এটা শিক্ষার্থীদের দায় দেওয়ার মানে হয় না। কলেজ কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিয়ে জিডি করতে হবে। বিষয়টি আমি জানার চেষ্টা করছি এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেব।’
নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক
৪ মিনিট আগেছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, এর মূল কারিগরই ছিলেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা। বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষকদের ন্যায়সংগত সকল দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হবে...
১৪ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
২ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) পিকনিকের দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে