রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া)
বগুড়ার শেরপুরে পালিত হলো ঐতিহ্যবাহী চড়কপূজা। বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরের সান্যালবাড়ি মাঠে এই পূজার আয়োজন করা হয়। সরকারিভাবে ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করা হলেও ধর্মীয় পঞ্জিকা অনুযায়ী চৈত্রসংক্রান্তি পালন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিভিন্ন ধরনের আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সহস্র পুণ্যার্থীর সমাগমে মুখরিত হয়েছিল সম্পূর্ণ এলাকা।
চড়কপূজা চৈত্র মাসের একটি জনপ্রিয় লোক উৎসব। লোকসংস্কৃতি অনুযায়ী শিব ও পার্বতীর বিয়ে উপলক্ষে ভক্তরা এই আয়োজন করে থাকে। এবার রীতি অনুসারে গত মঙ্গলবার শিব-পার্বতীর বিয়ের অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়, আর বুধবার হয়েছে বিয়ে। বৃহস্পতিবার তাদের বাসররাত উপলক্ষে আয়োজন করা হয় নীলপূজা, যা চড়কপূজার বিশেষ অঙ্গ।
একটি বিশাল গাছের কাণ্ডকে ‘চড়কগাছ’ বলা হয়। সারা বছর এটি জলে ডোবানো থাকে। চৈত্রসংক্রান্তির দিন ঢাকঢোল পিটিয়ে তোলা হয় এটি। গাছটি শিবের প্রতীক আর পার্বতীর প্রতীক ভূমি। চড়ক শিব-পার্বতীর মিলনের উৎসব। জমির উর্বরতা বৃদ্ধির কামনা নিয়ে চাষিরা এই উৎসবে মাতেন। পূজার বিশেষ বিশেষ অঙ্গ হলো কুমিরের পূজা, জ্বলন্ত কয়লার ওপর হাঁটা, কাঁটা ও ছুরির ওপর লাফানো, বাণফোঁড়া, অগ্নিনৃত্য, চড়কগাছে ঘোরা ইত্যাদি। একজন ‘সন্ন্যাসী’ এই পূজার পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেন।
তবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা ছাপিয়ে চড়কগাছে ঘোরার দৃশ্যের টানেই ছুটে আসে দর্শনার্থীরা। এর জন্য পুঁতে দেওয়া হয় ২০-২৫ ফুট লম্বা ‘চড়কগাছ’। তাতে আড়াআড়িভাবে যুক্ত করা হয় একটি কাঠ। সন্ন্যাসীদের পিঠে বড়শি গেঁথে চড়ক গাছের কাঠের প্রান্তে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে সন্ন্যাসীরা পাক খেতে থাকেন শূন্যে। সেই অবস্থাতেই এক হাতে লাঠি ঘোরাতে থাকেন, অন্য হাতে সমবেত ভক্তদের উদ্দেশে ছুড়ে দেন বাতাসা, বেল, কাঁচা আম। শিশুদের মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন। এবার পিঠে বড়শি বিঁধে চড়কগাছে ঘোরা দুজন সন্ন্যাসী হলেন স্থানীয় বীরেন চন্দ্র সরকার ও নাটোরের বাবলু চন্দ্র সরকার।
বাবুল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আমি ২৫ বছর ধরে পিঠে বড়শি বিঁধিয়ে চড়কের গাছে ঘুরছি। জীবের কল্যাণে মহাদেবের সন্তুষ্টি লাভের জন্যই এটা করি। এ জন্য আমার কোনো কষ্ট হয় না।’
মেলায় আসা শিক্ষক পার্বতী রানী বলেন, ‘শত শত বছর ধরে চড়কপূজা আমাদের লোকসংস্কৃতির অংশ হিসেবে এখনো টিকে আছে। এগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকিয়ে রাখতে হবে।’
সান্যালবাড়ি মাঠে চড়কপূজার পুরোহিত কানু চন্দ্র সন্ন্যাসী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গত ২০ বছর ধরে সন্ন্যাসীর দায়িত্ব পালন করছি। প্রতিবারের মতো এবার সব আয়োজন থাকলেও জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে হাঁটার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। মহাদেবের কৃপায় পৃথিবীর সব মানুষ সুখী হোক—আমরা এ কামনাই করছি।’
বগুড়ার শেরপুরে পালিত হলো ঐতিহ্যবাহী চড়কপূজা। বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরের সান্যালবাড়ি মাঠে এই পূজার আয়োজন করা হয়। সরকারিভাবে ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করা হলেও ধর্মীয় পঞ্জিকা অনুযায়ী চৈত্রসংক্রান্তি পালন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিভিন্ন ধরনের আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সহস্র পুণ্যার্থীর সমাগমে মুখরিত হয়েছিল সম্পূর্ণ এলাকা।
চড়কপূজা চৈত্র মাসের একটি জনপ্রিয় লোক উৎসব। লোকসংস্কৃতি অনুযায়ী শিব ও পার্বতীর বিয়ে উপলক্ষে ভক্তরা এই আয়োজন করে থাকে। এবার রীতি অনুসারে গত মঙ্গলবার শিব-পার্বতীর বিয়ের অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়, আর বুধবার হয়েছে বিয়ে। বৃহস্পতিবার তাদের বাসররাত উপলক্ষে আয়োজন করা হয় নীলপূজা, যা চড়কপূজার বিশেষ অঙ্গ।
একটি বিশাল গাছের কাণ্ডকে ‘চড়কগাছ’ বলা হয়। সারা বছর এটি জলে ডোবানো থাকে। চৈত্রসংক্রান্তির দিন ঢাকঢোল পিটিয়ে তোলা হয় এটি। গাছটি শিবের প্রতীক আর পার্বতীর প্রতীক ভূমি। চড়ক শিব-পার্বতীর মিলনের উৎসব। জমির উর্বরতা বৃদ্ধির কামনা নিয়ে চাষিরা এই উৎসবে মাতেন। পূজার বিশেষ বিশেষ অঙ্গ হলো কুমিরের পূজা, জ্বলন্ত কয়লার ওপর হাঁটা, কাঁটা ও ছুরির ওপর লাফানো, বাণফোঁড়া, অগ্নিনৃত্য, চড়কগাছে ঘোরা ইত্যাদি। একজন ‘সন্ন্যাসী’ এই পূজার পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেন।
তবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা ছাপিয়ে চড়কগাছে ঘোরার দৃশ্যের টানেই ছুটে আসে দর্শনার্থীরা। এর জন্য পুঁতে দেওয়া হয় ২০-২৫ ফুট লম্বা ‘চড়কগাছ’। তাতে আড়াআড়িভাবে যুক্ত করা হয় একটি কাঠ। সন্ন্যাসীদের পিঠে বড়শি গেঁথে চড়ক গাছের কাঠের প্রান্তে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে সন্ন্যাসীরা পাক খেতে থাকেন শূন্যে। সেই অবস্থাতেই এক হাতে লাঠি ঘোরাতে থাকেন, অন্য হাতে সমবেত ভক্তদের উদ্দেশে ছুড়ে দেন বাতাসা, বেল, কাঁচা আম। শিশুদের মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন। এবার পিঠে বড়শি বিঁধে চড়কগাছে ঘোরা দুজন সন্ন্যাসী হলেন স্থানীয় বীরেন চন্দ্র সরকার ও নাটোরের বাবলু চন্দ্র সরকার।
বাবুল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আমি ২৫ বছর ধরে পিঠে বড়শি বিঁধিয়ে চড়কের গাছে ঘুরছি। জীবের কল্যাণে মহাদেবের সন্তুষ্টি লাভের জন্যই এটা করি। এ জন্য আমার কোনো কষ্ট হয় না।’
মেলায় আসা শিক্ষক পার্বতী রানী বলেন, ‘শত শত বছর ধরে চড়কপূজা আমাদের লোকসংস্কৃতির অংশ হিসেবে এখনো টিকে আছে। এগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকিয়ে রাখতে হবে।’
সান্যালবাড়ি মাঠে চড়কপূজার পুরোহিত কানু চন্দ্র সন্ন্যাসী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গত ২০ বছর ধরে সন্ন্যাসীর দায়িত্ব পালন করছি। প্রতিবারের মতো এবার সব আয়োজন থাকলেও জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে হাঁটার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। মহাদেবের কৃপায় পৃথিবীর সব মানুষ সুখী হোক—আমরা এ কামনাই করছি।’
সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা...
৯ মিনিট আগেনিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক
৩১ মিনিট আগেছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, এর মূল কারিগরই ছিলেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা। বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষকদের ন্যায়সংগত সকল দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হবে...
৪১ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
২ ঘণ্টা আগে