প্রতিনিধি, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবেড় ইউনিয়নের দেওদাপাড়া গ্রামের চেনাকাটা শাখা নদীর ওপর স্থাপিত সেতুটি বন্যায় বিধ্বস্ত। গত চার বছরেও সংস্কার বা নির্মাণ করা হয়নি সেতুটি। ফলে বিধ্বস্ত সেতুর দুই দিকের মুখে (মোখা) নড়বড়ে বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন ১৫ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বিধ্বস্ত ওই সেতুর কারণে কৃষিপণ্য ও গুরুতর রোগী পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী জানায়, ১৯৯২ সালের দিকে ৫০ ফুট দীর্ঘ এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের বন্যায় সেতুটির উত্তর অংশ (মাথা) দেবে (নিচু হয়ে) সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। ফলে স্থানীয় গ্রামবাসী সেতুর উত্তর অংশে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে এবং দক্ষিণ অংশে মাটি দিয়ে ভরাট করে চলাচল উপযোগী করেন। বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করায় সেটিও প্রায় সময় ভেঙে ও নড়বড়ে হয়ে যায়। প্রতি বর্ষা মৌসুমে পারাপার করতে গিয়ে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যানের চালক পানিতে পড়ে এ পর্যন্ত অন্তত ২৫-৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানান দেওদাপাড়া এলাকার হাফিজুল ইসলাম (৪৫)।
সেতুর এলাকার আতোয়ার রহমান (৩০) জানান, এই সেতু হয়ে পাটগ্রাম উপজেলা সদরে যেতে সড়কের দূরত্ব হয় প্রায় ৬ কিলোমিটার। আর সেতু ছাড়া উপজেলা সদরে যেতে কাঁচা সড়কসহ প্রায় ১৬ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। এতে করে জনসাধারণের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। পণ্য পরিবহনে খরচও পরে দ্বিগুণ।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটির উত্তর–দক্ষিণ দিকে ১৫টি গ্রাম রয়েছে। গ্রাম গুলো হল, দেওদাপাড়া, পশ্চিম জগৎবের, সুধিরটারী, হেল্লাপাড়া, মেছপাড়া, ইছারবাড়ি, কোম্মানিরটারী, জলিলের টারী, খাতাপাড়া, ২ নম্বর ভোটহাটখাতা, সফি উদ্দিনেরটারী, মন্তাহাজীরটারী, ইয়াদতগণির টারী। সেতুর উত্তর দিকে দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাটগ্রাম ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন ওই সেতু দিয়ে পারাপার করে থাকে। সেতুর দক্ষিণ দিকে উপজেলা সদরের পাকা সড়কসহ ওই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়, তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা সদরে কৃষিপণ্য পরিবহন ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী চলাচল করেন।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটি কাত হয়ে দক্ষিণ অংশ উঁচু আর উত্তর অংশটি রাস্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। উত্তর দিকে নড়বড়ে বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাঁকোটিও হেলে আছে। দেওদাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল করিম (৬০) বলেন, ভাঙা বাঁশের পুল (সাঁকো) দিয়ে গ্রামের মানুষ কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলার হাট-বাজারে নিতে পারে না। সেতুটি ভালো করা হলে এলাকার ফসল যানবাহনে হাট বাজারে নিতে খরচ কম হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সেতুটি বহুদিন ধরে ভেঙে থাকায় হাজার হাজার গ্রামবাসীর চলাচলে সমস্যা ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন ও যুবকেরাসহ চাঁদা তুলে সেতুর উত্তর দিকে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়। অনেকবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও চার বছর ধরে সেতুটি কেন ভালো করা হচ্ছে না তা জানি না।
জগৎবের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবিবর রহমান বলেন, সেতুটি সংস্কার হওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন এটির (সেতুটির) নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব-উল-আলম জানান, ‘সেতুটি পরিদর্শন করে নির্মাণের জন্য প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জনদুর্ভোগ রোধে দ্রুত নির্মাণ করতে আমরা যোগাযোগ করছি। অনুমতি আসলেই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবেড় ইউনিয়নের দেওদাপাড়া গ্রামের চেনাকাটা শাখা নদীর ওপর স্থাপিত সেতুটি বন্যায় বিধ্বস্ত। গত চার বছরেও সংস্কার বা নির্মাণ করা হয়নি সেতুটি। ফলে বিধ্বস্ত সেতুর দুই দিকের মুখে (মোখা) নড়বড়ে বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন ১৫ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বিধ্বস্ত ওই সেতুর কারণে কৃষিপণ্য ও গুরুতর রোগী পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী জানায়, ১৯৯২ সালের দিকে ৫০ ফুট দীর্ঘ এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের বন্যায় সেতুটির উত্তর অংশ (মাথা) দেবে (নিচু হয়ে) সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। ফলে স্থানীয় গ্রামবাসী সেতুর উত্তর অংশে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে এবং দক্ষিণ অংশে মাটি দিয়ে ভরাট করে চলাচল উপযোগী করেন। বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করায় সেটিও প্রায় সময় ভেঙে ও নড়বড়ে হয়ে যায়। প্রতি বর্ষা মৌসুমে পারাপার করতে গিয়ে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যানের চালক পানিতে পড়ে এ পর্যন্ত অন্তত ২৫-৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানান দেওদাপাড়া এলাকার হাফিজুল ইসলাম (৪৫)।
সেতুর এলাকার আতোয়ার রহমান (৩০) জানান, এই সেতু হয়ে পাটগ্রাম উপজেলা সদরে যেতে সড়কের দূরত্ব হয় প্রায় ৬ কিলোমিটার। আর সেতু ছাড়া উপজেলা সদরে যেতে কাঁচা সড়কসহ প্রায় ১৬ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। এতে করে জনসাধারণের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। পণ্য পরিবহনে খরচও পরে দ্বিগুণ।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটির উত্তর–দক্ষিণ দিকে ১৫টি গ্রাম রয়েছে। গ্রাম গুলো হল, দেওদাপাড়া, পশ্চিম জগৎবের, সুধিরটারী, হেল্লাপাড়া, মেছপাড়া, ইছারবাড়ি, কোম্মানিরটারী, জলিলের টারী, খাতাপাড়া, ২ নম্বর ভোটহাটখাতা, সফি উদ্দিনেরটারী, মন্তাহাজীরটারী, ইয়াদতগণির টারী। সেতুর উত্তর দিকে দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাটগ্রাম ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন ওই সেতু দিয়ে পারাপার করে থাকে। সেতুর দক্ষিণ দিকে উপজেলা সদরের পাকা সড়কসহ ওই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়, তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা সদরে কৃষিপণ্য পরিবহন ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী চলাচল করেন।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটি কাত হয়ে দক্ষিণ অংশ উঁচু আর উত্তর অংশটি রাস্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। উত্তর দিকে নড়বড়ে বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাঁকোটিও হেলে আছে। দেওদাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল করিম (৬০) বলেন, ভাঙা বাঁশের পুল (সাঁকো) দিয়ে গ্রামের মানুষ কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলার হাট-বাজারে নিতে পারে না। সেতুটি ভালো করা হলে এলাকার ফসল যানবাহনে হাট বাজারে নিতে খরচ কম হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সেতুটি বহুদিন ধরে ভেঙে থাকায় হাজার হাজার গ্রামবাসীর চলাচলে সমস্যা ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন ও যুবকেরাসহ চাঁদা তুলে সেতুর উত্তর দিকে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়। অনেকবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও চার বছর ধরে সেতুটি কেন ভালো করা হচ্ছে না তা জানি না।
জগৎবের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবিবর রহমান বলেন, সেতুটি সংস্কার হওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন এটির (সেতুটির) নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব-উল-আলম জানান, ‘সেতুটি পরিদর্শন করে নির্মাণের জন্য প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জনদুর্ভোগ রোধে দ্রুত নির্মাণ করতে আমরা যোগাযোগ করছি। অনুমতি আসলেই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’
রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি। ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেযশোর টেকনিক্যাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ১৪ বছর ধরে কর্মস্থলে না গিয়ে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। স্ত্রীকে হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে
৪ ঘণ্টা আগে২ মার্চকে ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ২ মার্চ পতাকা দিবস ঘোষণার দাবিতে ‘হৃদয়ে পতাকা ২ মার্চ’ আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এই আহ্বা
৪ ঘণ্টা আগেদেশের বিশিষ্ট সম্পাদক এবং প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রেস উইং।
৫ ঘণ্টা আগে