রংপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৩, ১৭: ১৯
আপডেট : ০৮ মে ২০২৩, ১৭: ৫৯

রংপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও পতিতালয়ে বিক্রির ঘটনায় করা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবনসহ একজনের আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় দেন। 

রায়ে আদালত এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা না থাকায় অপর আসামি মানিক মিয়াকে খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামি ইয়াছমিন, তারা মনি ও মানিক মিয়া উপস্থিত থাকলেও ওহিদ পলাতক রয়েছেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী ইয়াছমিন, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লালচাঁদপুর গ্রামের জব্বার শেখের ছেলে আব্দুল ওহিদ এবং বদরগঞ্জ উপজেলার চান্দেরডাঙ্গা গ্রামের এন্তাজুল হকের মেয়ে তারা মনি। 

রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি জাহাঙ্গীর আলম তুহিন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর সকালে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে স্কুল ছুটির পর বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। ওই ছাত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বাবা বদরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরই মধ্যে স্থানীয় ভ্যানচালক আল আমিনের মাধ্যমে জানতে পারেন প্রতিবেশী এন্তাজুলের মেয়ে তারা মনির সঙ্গে তাঁর মেয়ে বদরগঞ্জ উপজেলার আউলিয়াগঞ্জে গেছে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে বদরগঞ্জ থানা-পুলিশ নিখোঁজ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে এবং কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে তাকে উদ্ধার করে। 

এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কমল মোহন চাকী ২০১৬ সালের ১০ মার্চ আদালতে চার্জশিট দেন। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আজ সোমবার আদালতের বিচারক আসামি ইয়াসমিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, ধর্ষণের ঘটনায় আব্দুল ওহিদকে দুটি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং তারা মনি শিশু হওয়ায় তাকে আট বছরের আটকাদেশ দেন।

পিপি জাহাঙ্গীর আলম তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুলের বান্ধবী তারা মনি ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ওহিদের কাছে তুলে দেয়। ওহিদ ওই ছাত্রীকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে রেলস্টেশন এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ধর্ষণ করেন এবং মামলার আসামি ইয়াসমিনের কাছে বিক্রি করে দেন। ইয়াসমিন ওই ছাত্রীকে কিশোরগঞ্জ ভৈরব এলাকার একটি পতিতালয়ে থাকতে বাধ্য করেন।’ 

জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘এর কিছুদিন পর ইয়াসমিন ওই ছাত্রীকে অন্য জায়গায় বিক্রির চেষ্টা করলে কৌশলে ওই ছাত্রী পালিয়ে যায়। বাসযাত্রী এক নারীকে ওই ছাত্রী পুরো বিষয়টি খুলে বলে। পরে ওই নারী পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এ মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজন শিশু হওয়ায় তাকে আট বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হলেও আসামি মানিককে দেওয়া অব্যাহতির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণে ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত