নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঋণ দিতে অনেক শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এসব শর্তের এখনো বেশ কিছু অপূর্ণ রয়েছে। এরই মধ্যে শঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে, শর্ত পূরণে ব্যর্থতায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া অনিশ্চিত। তবে অনেক শর্ত অপূর্ণ থাকলেও আপাতত দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানায় সংস্থাটি। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবারের বৈঠকে এ সবই আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র।
জানা যায়, ঋণ ছাড় নিয়ে আইএমএফ ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে ব্যাপক দর-কষাকষি হয়। একপর্যায়ে আইএমএফ সদস্যদের কাছে ঋণ ছাড়ের জন্য জোর দাবি জানালে তাঁরা বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি ডলার রেট বাজারভিত্তিক করা, ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত, ব্যাংকের খেলাপি এবং রিজার্ভ বাড়াতে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করেন তাঁরা। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন, তাঁরা আইএমএফের পরামর্শ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইএমএফের বৈঠককালে এসব আলোচনা হয়। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রমের ওপর আইএমএফ সদস্যরা মতামত দিয়ে গৃহীত পদক্ষেপের ওপর চুলচেরা বিশ্লেষণ দেয়। তাঁরা রিজার্ভ বাড়াতে জোর তাগাদা দেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে দায়ী করে নিজেদের পদক্ষেপের কথা জানায়।
আরও জানানো হয়, মোট ৪৭টি শর্তের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পূরণ করা হয়েছে। কিছু শর্তের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। হয়তোবা বেঁধে দেওয়ার সময়ের চেয়ে বেশি লাগতে পারে। তবে শর্ত বাস্তবায়নের অনেক ধাপ এগিয়েছে। এ অবস্থায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করলে রিজার্ভ আর একটু বাড়বে। তখন আইএমএফের সদস্যরা ঋণ ছাড়ের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন, তবে কবেনাগাদ ছাড় হবে সে সময় উল্লেখ করেননি। তাঁরা জানান, নিয়ম মেনে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ঋণ ছাড় করা হয়। সে ক্ষেত্রে আইএমএফের বোর্ডের কাছে তথ্য-উপাত্ত পাঠানো হবে। তবে ঋণ না পাওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।
অন্য একটি সূত্র জানায়, আইএমএফ সদস্যরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব আয়-ব্যয়, মুদ্রাব্যবস্থাপনা, সাইবার সিকিউরিটি, খেলাপি, রাজস্ব, পুঁজিবাজার, বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ হিসাবের বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলোচনাও করেছেন।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত অনুযায়ী সংস্থাটির সদস্যরা বৈঠক করছেন। তাঁরা রিজার্ভ, বাজারভিত্তিক ডলারের রেট, ঋণখেলাপি, রাজস্ব সংস্কার, তারল্য ব্যবস্থাপনাসহ ৪৭টি শর্তে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিতে রাজি হন। বাংলাদেশ অধিকাংশ শর্ত পূরণ করতে পেরেছে; কিন্তু রিজার্ভে উন্নতি, কর-জিডিপি অনুপাত এবং বাজারভিত্তিক ডলার রেট করতে ব্যর্থ হয়। এসব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বাস্তবতার আলোকে শর্ত পূরণে আরও সময় বাড়াতে পারে।
আইএমএফের শর্তানুযায়ী, সেপ্টেম্বরে নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভের (এনআইআর) পরিমাণ ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার রাখার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে গতকাল ছিল ২১ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। আর সেখান থেকে অন্যান্য দায় বাদ দিলে রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে সফল আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে আগের উপস্থাপিত পরামর্শ অর্জনও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
ঋণ দিতে অনেক শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এসব শর্তের এখনো বেশ কিছু অপূর্ণ রয়েছে। এরই মধ্যে শঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে, শর্ত পূরণে ব্যর্থতায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া অনিশ্চিত। তবে অনেক শর্ত অপূর্ণ থাকলেও আপাতত দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানায় সংস্থাটি। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবারের বৈঠকে এ সবই আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র।
জানা যায়, ঋণ ছাড় নিয়ে আইএমএফ ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে ব্যাপক দর-কষাকষি হয়। একপর্যায়ে আইএমএফ সদস্যদের কাছে ঋণ ছাড়ের জন্য জোর দাবি জানালে তাঁরা বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি ডলার রেট বাজারভিত্তিক করা, ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত, ব্যাংকের খেলাপি এবং রিজার্ভ বাড়াতে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করেন তাঁরা। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন, তাঁরা আইএমএফের পরামর্শ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইএমএফের বৈঠককালে এসব আলোচনা হয়। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রমের ওপর আইএমএফ সদস্যরা মতামত দিয়ে গৃহীত পদক্ষেপের ওপর চুলচেরা বিশ্লেষণ দেয়। তাঁরা রিজার্ভ বাড়াতে জোর তাগাদা দেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে দায়ী করে নিজেদের পদক্ষেপের কথা জানায়।
আরও জানানো হয়, মোট ৪৭টি শর্তের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পূরণ করা হয়েছে। কিছু শর্তের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। হয়তোবা বেঁধে দেওয়ার সময়ের চেয়ে বেশি লাগতে পারে। তবে শর্ত বাস্তবায়নের অনেক ধাপ এগিয়েছে। এ অবস্থায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করলে রিজার্ভ আর একটু বাড়বে। তখন আইএমএফের সদস্যরা ঋণ ছাড়ের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন, তবে কবেনাগাদ ছাড় হবে সে সময় উল্লেখ করেননি। তাঁরা জানান, নিয়ম মেনে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ঋণ ছাড় করা হয়। সে ক্ষেত্রে আইএমএফের বোর্ডের কাছে তথ্য-উপাত্ত পাঠানো হবে। তবে ঋণ না পাওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।
অন্য একটি সূত্র জানায়, আইএমএফ সদস্যরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব আয়-ব্যয়, মুদ্রাব্যবস্থাপনা, সাইবার সিকিউরিটি, খেলাপি, রাজস্ব, পুঁজিবাজার, বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ হিসাবের বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলোচনাও করেছেন।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত অনুযায়ী সংস্থাটির সদস্যরা বৈঠক করছেন। তাঁরা রিজার্ভ, বাজারভিত্তিক ডলারের রেট, ঋণখেলাপি, রাজস্ব সংস্কার, তারল্য ব্যবস্থাপনাসহ ৪৭টি শর্তে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিতে রাজি হন। বাংলাদেশ অধিকাংশ শর্ত পূরণ করতে পেরেছে; কিন্তু রিজার্ভে উন্নতি, কর-জিডিপি অনুপাত এবং বাজারভিত্তিক ডলার রেট করতে ব্যর্থ হয়। এসব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বাস্তবতার আলোকে শর্ত পূরণে আরও সময় বাড়াতে পারে।
আইএমএফের শর্তানুযায়ী, সেপ্টেম্বরে নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভের (এনআইআর) পরিমাণ ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার রাখার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে গতকাল ছিল ২১ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। আর সেখান থেকে অন্যান্য দায় বাদ দিলে রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে সফল আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে আগের উপস্থাপিত পরামর্শ অর্জনও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
আমি জানি আপনারা অনেক কষ্টে আছেন। তবে এটাও বলতে চাই যে-আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ, চিনি এবং তেলের দাম কিছুটা কমে এসেছে...
১ ঘণ্টা আগেভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানিকে ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটরেরা। এর পরপরই কেনিয়ায় গ্রুপটির দুটি বড় প্রকল্প বাতিল হয়ে গেছে। যদিও আদানি গ্রুপ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২ ঘণ্টা আগেভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের গৌতম আদানি ও তাঁর ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগপত্র দাখিল ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনটাই ধারণা করছেন ঢাকার জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের আদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এমন এক
৪ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৮ ঘণ্টা আগে