জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সরকারের ঋণ গ্রহণ বৃদ্ধি এবং বিদেশি ঋণ কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোতে তারল্যসংকট বেড়েছে। শরিয়াহ পরিচালিত ৭টি ব্যাংকসহ প্রায় দুই ডজন ব্যাংক নিরাপত্তা সঞ্চিতি রক্ষা করতে পারছে না। পাশাপাশি গ্রাহকের নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে এসব ব্যাংক রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
এ জন্য নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চড়া সুদে স্বল্পকালীন ঋণ নিচ্ছে। আর ব্যাংক খাতের আস্থা ধরে রাখতে সম্প্রতি ঋণের জন্য নিলামে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদামতো শতভাগ তারল্যসুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাত্র দুই দিনে নিলামে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলো কলমানি থেকে ধার করেছে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। আর রোববার সেই পরিমাণ ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। এসব স্বল্পকালীন ঋণের সুদের হার আগে ছিল সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ শতাংশ। গত দুই দিনে সর্বোচ্চ হার ছিল ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঋণে অনিয়ম, খেলাপি বৃদ্ধি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যাংকে তারল্যসংকট বেড়েছে। বাড়তি চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো। এ জন্য বাধ্য হয়ে অনেক ব্যাংক চড়া সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে। আর গ্রাহকের আস্থা ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক শতভাগ তারল্যসহায়তা দিচ্ছে। এটা স্বল্প মেয়াদে ভালো মনে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাংকের সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর শেষে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে খাতটিতে সরকারের ঋণ ছিল ২ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এ সময়ে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। আবার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৩১ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিশোধ করেছে ৩২ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকার বেশি ঋণ নিয়েছে। এতে ব্যাংকে তারল্যসংকট বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, চলতি বছরের আগস্টে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আবার ব্যাংকগুলোর ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও মেয়াদি আমানত (টাইম ডিপোজিট) ও চাহিদা আমানত (ডিমান্ড ডিপোজিট) লক্ষণীয়ভাবে কমছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ; যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এ বছরের জুলাইয়ে আমানতের প্রবৃদ্ধির হার দেখা গেছে ৮ শতাংশ, অথচ ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া ডলার বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বাজার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে যাচ্ছে। তা ছাড়া ঋণের সুদহার না বাড়ানোর কারণে অনেকে সহজে ঋণ নিয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে।’
উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সরকারের ঋণ গ্রহণ বৃদ্ধি এবং বিদেশি ঋণ কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোতে তারল্যসংকট বেড়েছে। শরিয়াহ পরিচালিত ৭টি ব্যাংকসহ প্রায় দুই ডজন ব্যাংক নিরাপত্তা সঞ্চিতি রক্ষা করতে পারছে না। পাশাপাশি গ্রাহকের নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে এসব ব্যাংক রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
এ জন্য নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চড়া সুদে স্বল্পকালীন ঋণ নিচ্ছে। আর ব্যাংক খাতের আস্থা ধরে রাখতে সম্প্রতি ঋণের জন্য নিলামে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদামতো শতভাগ তারল্যসুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাত্র দুই দিনে নিলামে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলো কলমানি থেকে ধার করেছে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। আর রোববার সেই পরিমাণ ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। এসব স্বল্পকালীন ঋণের সুদের হার আগে ছিল সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ শতাংশ। গত দুই দিনে সর্বোচ্চ হার ছিল ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঋণে অনিয়ম, খেলাপি বৃদ্ধি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যাংকে তারল্যসংকট বেড়েছে। বাড়তি চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো। এ জন্য বাধ্য হয়ে অনেক ব্যাংক চড়া সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে। আর গ্রাহকের আস্থা ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক শতভাগ তারল্যসহায়তা দিচ্ছে। এটা স্বল্প মেয়াদে ভালো মনে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাংকের সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর শেষে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে খাতটিতে সরকারের ঋণ ছিল ২ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এ সময়ে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। আবার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৩১ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিশোধ করেছে ৩২ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকার বেশি ঋণ নিয়েছে। এতে ব্যাংকে তারল্যসংকট বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, চলতি বছরের আগস্টে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আবার ব্যাংকগুলোর ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও মেয়াদি আমানত (টাইম ডিপোজিট) ও চাহিদা আমানত (ডিমান্ড ডিপোজিট) লক্ষণীয়ভাবে কমছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ; যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এ বছরের জুলাইয়ে আমানতের প্রবৃদ্ধির হার দেখা গেছে ৮ শতাংশ, অথচ ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া ডলার বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বাজার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে যাচ্ছে। তা ছাড়া ঋণের সুদহার না বাড়ানোর কারণে অনেকে সহজে ঋণ নিয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে।’
আমি জানি আপনারা অনেক কষ্টে আছেন। তবে এটাও বলতে চাই যে-আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ, চিনি এবং তেলের দাম কিছুটা কমে এসেছে...
৪ ঘণ্টা আগেভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানিকে ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটরেরা। এর পরপরই কেনিয়ায় গ্রুপটির দুটি বড় প্রকল্প বাতিল হয়ে গেছে। যদিও আদানি গ্রুপ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
৫ ঘণ্টা আগেভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের গৌতম আদানি ও তাঁর ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগপত্র দাখিল ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনটাই ধারণা করছেন ঢাকার জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের আদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এমন এক
৭ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
২১ ঘণ্টা আগে