জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার হ্রাস-বৃদ্ধি অন্যতম হাতিয়ার (টুল)। যা মনিটরি পলিসি স্টেটমেন্টে উল্লেখ থাকে। গত জুনে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, পরবর্তী মুদ্রানীতি ডিসেম্বরে ঘোষণা করা হবে। তবে নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় নির্বাচনের পরে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে বলে গভর্নরসংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানা গেছে। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সুদের হার নিয়ন্ত্রণপ্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার কলমানি, বিল, বন্ড ও স্মার্ট সুদের হার দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, যা গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, মুদ্রানীতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে গভর্নর বিষয়টি জানুয়ারিতে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী মুদ্রানীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা আগাচ্ছেন। তবে নির্বাচনের কারণে যে এটা পেছাচ্ছে, তা গভর্নর স্বীকার না করলেও এটিই স্পস্ট যুক্তি।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, নির্ধারিত বন্ড ও ট্রেজারির মাধ্যমে কলমানির রেপো সুদহার (ওভারনাইট বা স্বল্পকালীন ধারের ক্ষেত্রে পলিসি রেট) বিদ্যমান ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরি পলিসি বিভাগ।
পাশাপাশি নীতি সুদহার করিডরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদহার বিদ্যমান ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) সুদহার বিদ্যমান শতকরা ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নিয়মিত ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে সব খাতে ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় সুদহারের ভিত্তিতে স্মার্ট সুদের হার ৭ দশমিক ৪৩ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৬৮ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পুনর্গঠিত মুদ্রানীতি বা মনিটরি পলিসি কমিটির (এমপিসি) প্রথম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি সুদহার করিডর পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি পলিসি রেট বা ওভারনাইট রেপো সুদহার, নীতি সুদহার করিডরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি সুদহার, নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) সুদহার বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া আমানত ও ব্যাংকঋণের সুদহারের সীমা তুলে দিয়ে তা বাজারমুখীকরণ, টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ প্রদান স্থগিতকরণ, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কার্যকর ব্যবস্থাকরণ, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকে বাজারমুখীকরণ, আমদানি মূল্য যাচাইসহ বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তদারকি বাড়ানোর কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, মুদ্রানীতি ঘোষণা নিয়ে মুদ্রানীতির কমিটি পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। তবে ঘোষণা কবে হবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় সুদহারের সঙ্গে ব্যাংকগুলো পল্লী, কৃষি ও রপ্তানিশিল্পে প্রাক্-জাহাজীকরণ ঋণের বিপরীতে সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ এবং অন্যান্য ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ যোগ করতে পারবে। আমানতের বিপরীতে সুদহার নির্ধারণের ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ দেওয়া হয়নি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার হ্রাস-বৃদ্ধি অন্যতম হাতিয়ার (টুল)। যা মনিটরি পলিসি স্টেটমেন্টে উল্লেখ থাকে। গত জুনে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, পরবর্তী মুদ্রানীতি ডিসেম্বরে ঘোষণা করা হবে। তবে নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় নির্বাচনের পরে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে বলে গভর্নরসংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানা গেছে। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সুদের হার নিয়ন্ত্রণপ্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার কলমানি, বিল, বন্ড ও স্মার্ট সুদের হার দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, যা গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, মুদ্রানীতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে গভর্নর বিষয়টি জানুয়ারিতে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী মুদ্রানীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা আগাচ্ছেন। তবে নির্বাচনের কারণে যে এটা পেছাচ্ছে, তা গভর্নর স্বীকার না করলেও এটিই স্পস্ট যুক্তি।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, নির্ধারিত বন্ড ও ট্রেজারির মাধ্যমে কলমানির রেপো সুদহার (ওভারনাইট বা স্বল্পকালীন ধারের ক্ষেত্রে পলিসি রেট) বিদ্যমান ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরি পলিসি বিভাগ।
পাশাপাশি নীতি সুদহার করিডরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদহার বিদ্যমান ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) সুদহার বিদ্যমান শতকরা ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নিয়মিত ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে সব খাতে ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় সুদহারের ভিত্তিতে স্মার্ট সুদের হার ৭ দশমিক ৪৩ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৬৮ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পুনর্গঠিত মুদ্রানীতি বা মনিটরি পলিসি কমিটির (এমপিসি) প্রথম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি সুদহার করিডর পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি পলিসি রেট বা ওভারনাইট রেপো সুদহার, নীতি সুদহার করিডরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি সুদহার, নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) সুদহার বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া আমানত ও ব্যাংকঋণের সুদহারের সীমা তুলে দিয়ে তা বাজারমুখীকরণ, টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ প্রদান স্থগিতকরণ, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কার্যকর ব্যবস্থাকরণ, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকে বাজারমুখীকরণ, আমদানি মূল্য যাচাইসহ বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তদারকি বাড়ানোর কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, মুদ্রানীতি ঘোষণা নিয়ে মুদ্রানীতির কমিটি পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। তবে ঘোষণা কবে হবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় সুদহারের সঙ্গে ব্যাংকগুলো পল্লী, কৃষি ও রপ্তানিশিল্পে প্রাক্-জাহাজীকরণ ঋণের বিপরীতে সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ এবং অন্যান্য ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ যোগ করতে পারবে। আমানতের বিপরীতে সুদহার নির্ধারণের ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ দেওয়া হয়নি।
আমি জানি আপনারা অনেক কষ্টে আছেন। তবে এটাও বলতে চাই যে-আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ, চিনি এবং তেলের দাম কিছুটা কমে এসেছে...
৫ ঘণ্টা আগেভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানিকে ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটরেরা। এর পরপরই কেনিয়ায় গ্রুপটির দুটি বড় প্রকল্প বাতিল হয়ে গেছে। যদিও আদানি গ্রুপ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের গৌতম আদানি ও তাঁর ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগপত্র দাখিল ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনটাই ধারণা করছেন ঢাকার জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের আদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এমন এক
৭ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১ দিন আগে