নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঘন ঘন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হবে। এর ফলে ভোক্তাশ্রেণি বিশেষ করে যাঁরা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ আছেন, তাঁদের জীবন আরও কষ্টকর হয়ে পড়বে।’
এক মাসের কম ব্যবধানে দুইবার বিদ্যুতের এই দাম বাড়ানোর প্রতিক্রিয়া জানতে ড. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে সরকার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বারবার বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে—এই বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আইএমএফের পরামর্শ হচ্ছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের ওপর ভর্তুকি উঠিয়ে দিলে নিম্ন আয়ের মানুষের অসুবিধা হবে। সেই জন্য সংস্থাটি ভর্তুকি উঠিয়ে দিলে যে টাকা সাশ্রয় হবে, সেটার একটা অংশ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি করে গরিব মানুষকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু সরকার সেটা মানছে না। গত সাত মাসের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অধীনে গরিবদের দেওয়া চাল ও গমের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।’
জাহিদ হোসেন বলেন, বিদ্যুতের এই দাম বাড়ানোর ফলে একদিকে গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিলে বেশি টাকা গুনতে হবে, অন্যদিকে ভোগ্যপণ্য থেকে মানুষের জীবন ধারণের জন্য যা যা দরকার তার সবকিছুরই দাম বাড়বে। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। তার ওপর বারবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ আরও অর্থনৈতিকভাবে চাপে পড়বে।
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বারবার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে জানিয়ে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অর্থনীতি যখন চাপে থাকে এবং মূল্যস্ফীতি যখন বাড়তির দিকে, তখন সরকারকে গরিব মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে উদ্ভাবনীমূলক বিভিন্ন কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করতে হয়। সেই জায়গায় সরকার সেটা না করে উল্টো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বারবার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে।
গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের ভুল নীতির মাশুল দিচ্ছে এখন জনগণ উল্লেখ করে জাহিদ হোসেন আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতে অনেক বেশি অপচয়মূলক খাত সৃষ্টির কারণে সরকারের হাতে টাকা ফুরিয়ে আসছে। টাকার সংস্থান করতে সরকার বারবার বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে।
গত সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে ইংল্যান্ড ও জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। এ ছাড়া আর কোথাও প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার নজির নেই। গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে ও কমলে সেখানে সমন্বয় করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে বাড়ানো হয় কিন্তু কমলে আর কমানো হয় না।’
প্রসঙ্গত, গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিটে গড়ে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশ, পাইকারিতে বেড়েছে ৮ শতাংশ। গত ১৪ বছরে এ নিয়ে ১১তম বারের মতো গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ল বিদ্যুতের দাম।
এর আগে গত নভেম্বরে পাইকারি পর্যায়ে ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ায় বিইআরসি। এটি ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। ১৪ বছরে এটি ছিল দশম দফায় পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি। এরপর ডিসেম্বর থেকেই খুচরা দাম বাড়াতে বিইআরসির কাছে আবেদন করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঘন ঘন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হবে। এর ফলে ভোক্তাশ্রেণি বিশেষ করে যাঁরা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ আছেন, তাঁদের জীবন আরও কষ্টকর হয়ে পড়বে।’
এক মাসের কম ব্যবধানে দুইবার বিদ্যুতের এই দাম বাড়ানোর প্রতিক্রিয়া জানতে ড. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে সরকার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বারবার বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে—এই বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আইএমএফের পরামর্শ হচ্ছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের ওপর ভর্তুকি উঠিয়ে দিলে নিম্ন আয়ের মানুষের অসুবিধা হবে। সেই জন্য সংস্থাটি ভর্তুকি উঠিয়ে দিলে যে টাকা সাশ্রয় হবে, সেটার একটা অংশ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি করে গরিব মানুষকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু সরকার সেটা মানছে না। গত সাত মাসের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অধীনে গরিবদের দেওয়া চাল ও গমের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।’
জাহিদ হোসেন বলেন, বিদ্যুতের এই দাম বাড়ানোর ফলে একদিকে গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিলে বেশি টাকা গুনতে হবে, অন্যদিকে ভোগ্যপণ্য থেকে মানুষের জীবন ধারণের জন্য যা যা দরকার তার সবকিছুরই দাম বাড়বে। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। তার ওপর বারবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ আরও অর্থনৈতিকভাবে চাপে পড়বে।
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বারবার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে জানিয়ে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অর্থনীতি যখন চাপে থাকে এবং মূল্যস্ফীতি যখন বাড়তির দিকে, তখন সরকারকে গরিব মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে উদ্ভাবনীমূলক বিভিন্ন কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করতে হয়। সেই জায়গায় সরকার সেটা না করে উল্টো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বারবার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে।
গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের ভুল নীতির মাশুল দিচ্ছে এখন জনগণ উল্লেখ করে জাহিদ হোসেন আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতে অনেক বেশি অপচয়মূলক খাত সৃষ্টির কারণে সরকারের হাতে টাকা ফুরিয়ে আসছে। টাকার সংস্থান করতে সরকার বারবার বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে।
গত সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে ইংল্যান্ড ও জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। এ ছাড়া আর কোথাও প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার নজির নেই। গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে ও কমলে সেখানে সমন্বয় করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে বাড়ানো হয় কিন্তু কমলে আর কমানো হয় না।’
প্রসঙ্গত, গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিটে গড়ে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশ, পাইকারিতে বেড়েছে ৮ শতাংশ। গত ১৪ বছরে এ নিয়ে ১১তম বারের মতো গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ল বিদ্যুতের দাম।
এর আগে গত নভেম্বরে পাইকারি পর্যায়ে ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ায় বিইআরসি। এটি ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। ১৪ বছরে এটি ছিল দশম দফায় পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি। এরপর ডিসেম্বর থেকেই খুচরা দাম বাড়াতে বিইআরসির কাছে আবেদন করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা।
‘প্রতিদিনই অভিযান হচ্ছে, ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তবে বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা তা সিরিয়াসলি ভাবছি। আলুর মূল্য ভোক্তাদের নাগালে আনতে হিমশিম খাচ্ছি। আমরা দুঃখিত। বাজার ব্যবস্থাটি অসুস্থ ও অস্বাভাবিক।’
১ ঘণ্টা আগেশিল্পকারখানায় বিনিয়োগ করার পর গ্যাস পেতে নিজের টাকায় ৪০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করার কথা তুলে ধরে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, এই পাইপলাইন নির্মাণে শুধু রোড কাটিংয়ের অনুমোদন নিতেই আমাকে ২০ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিস
১ ঘণ্টা আগেদুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বেড়েছে। এ দফায় ভরিতে ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকায় উঠেছে। দেশের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম। আগামীকাল রোববার থেকে সারা দেশে নতুন দাম কার্যকর হবে।
২ ঘণ্টা আগেবিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সার্বিক দিক খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।
২ ঘণ্টা আগে