আনিকা জীনাত, ঢাকা
ক্রেডিট কার্ড হলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি কার্ড। প্লাস্টিক বা মেটালের তৈরি এই কার্ড দিয়ে কেনাকাটা বা অন্যান্য সেবার জন্য ঋণ নেওয়া যায়। তবে যে কেউ ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন না। আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার প্রমাণ দেখালে তবেই ব্যাংক আপনাকে ক্রেডিট কার্ড দেবে। অর্থাৎ, বিশেষ কিছু যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারলেই ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যাবে।
ক্রেডিট কার্ডে নেওয়া ঋণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই টাকা ফেরত দিতে হয়। টাকা ফেরত দিতে দেরি হলে সুদ দিতে হয়। কোনো কারণে সুদ দিতে দেরি করলে ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
ডিজিটাল ওয়ালেটে ভার্চুয়াল কার্ড রেখে স্মার্টফোন দিয়েও কেনাকাটা করা যায়। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যায়। চিপযুক্ত কার্ডটিতে থাকে ব্যবহারকারীর নাম, ১৬ সংখ্যার কার্ড নম্বর, মেয়াদ শেষের তারিখ, সিসিভি, ব্যবহারকারীর নাম। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এটি পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে আলোচনার আগে এই সুবিধাগুলো জেনে নেওয়া যাক।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে অসুবিধা
ক্রেডিট কার্ডের ধরন
পারচেজ কার্ড, মানি ট্রান্সফার কার্ড, রিওয়ার্ডস ক্রেডিট কার্ড, ক্রেডিট বিল্ডার কার্ড, ওভারসিস কার্ড
ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ও প্রি-পেইড কার্ডের পার্থক্য
যেভাবে ক্রেডিট কার্ড নেবেন
প্রথমেই প্রয়োজন হবে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। এতে রাখতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ। এর সঙ্গে প্রয়োজন হবে ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ছবি দুই কপি, পুরোনো ব্যাংক হিসাবপত্র, নমিনির পরিচয়পত্র এবং তাঁর ছবি ও স্বাক্ষর। এসব জোগাড় হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে কার্ড তৈরির নিয়ম জেনে নিতে হবে। তারা যাচাই করে দেখবে আপনি ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্য কি না।
যোগ্যতা
যে কেউ ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন না। আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার প্রমাণ দেখালে তবেই ব্যাংক আপনাকে ক্রেডিট কার্ড দেবে। এ ক্ষেত্রেও আবার পেশাগত দিক বিবেচনায় নানা মানদণ্ড রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে
ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বয়স হতে হবে অন্তত এক বছর, যাতে অন্তত ১০ লাখ টাকার লেনদেন হতে হবে। এর পাশাপাশি প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয়পত্র, দুই কপি ছবি, ট্রেড লাইসেন্স ও রেফারেন্স।
চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে
ছয় মাসের ব্যাংক হিসাব দেখাতে হবে। মাসিক বেতন হতে হবে ৩০ হাজার টাকার বেশি। চাকরির বয়সও ছয় মাসের কম হওয়া চলবে না। কার্ডের জন্য আবেদন করতে আরও প্রয়োজন হবে ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নাম্বার বা টিন সার্টিফিকেট, দুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, রেফারেন্স।
অন্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে
যে পেশায় আছেন, সেখানকার আইডি কার্ড বা এমন কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। সঙ্গে লাগবে দুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাস বিলের কপি ও রেফারেন্স।
তবে আপনি সব দিক থেকে যোগ্য হলে যে ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট আছে, তারাও উদ্যোগী হয়ে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড
ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড করতে চাইলে ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। বিদেশে যাওয়ার আগে ক্রেডিট কার্ড তৈরি করলে বিদেশের এটিএম বুথগুলো (প্রায়) থেকেও অর্থ তোলা যাবে। বিদেশে খরচ করতে করতে টাকা শেষ করে ফেললে বিপদ। তাই যত খরচ করবেন, ফিরে এসে তত ফেরত দিলেই হবে। ক্রেডিট কার্ড থাকলে হাত খালি হওয়ার ভয় থাকে না। মনে রাখা দরকার—বিদেশে খরচের জন্য সিঙ্গেল কারেন্সি নয়, ডুয়েল কারেন্সি কার্ড করতে হবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
কার্ড পাওয়ার এক থেকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তা সক্রিয় হয়। ব্যাংক থেকে দেওয়া গোপন পিন নম্বর দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যাবে। টাকা তোলার আগে দেখতে হবে কার্ডটি ভিসা, মাস্টারকার্ড, নাকি অন্য নেটওয়ার্কের। প্রতি মাসে সর্বোচ্চ কত খরচ করা যাবে, তা জেনে নিতে হবে। নয়তো অর্থ পরিশোধ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়বেন।
অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড তৈরি নিয়ম
যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে, সে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। ক্রেডিট কার্ড লিখে সার্চ দিলেই এ-সংক্রান্ত লিংক চলে আসবে। তাতে ক্লিক করে কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা ও কার্ডের ফি জেনে নিতে হবে। সেখানে থাকা ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে স্ক্যান করে।
ক্রেডিট কার্ডের খরচ
সব ব্যাংকের চার্জ এক নয়। কোন খাতে কত টাকা কেটে নেওয়া হবে, তা ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে বা কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসে ফোন করে জেনে নিতে হবে।
কয়েকটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড
বিভিন্ন ব্যাংক এই ক্রেডিট কার্ড সেবা দেয়। এর মধ্যে কয়েকটি ব্যাংকের সেবা বেশ জনপ্রিয়, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে—
সিটি ব্যাংক
ক্রেডিট কার্ড সার্ভিসেস ফরমস সেকশনে গিয়ে ডাউনলোড ফরমসে ক্লিক করতে হবে। এরপর দুই পৃষ্ঠার একটি ফরম ডাউনলোড হলে তা পূরণ করে ব্যাংকে গিয়ে জমা দিতে হবে। ফরমের ঠিক নিচেই থাকবে কার্ড-সংক্রান্ত ফিয়ের বিস্তারিত।
ব্র্যাক ব্যাংক
ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে ক্রেডিট কার্ড সেকশনে ছয়টি ভিন্ন অফারের কার্ড পাওয়া যাবে। লার্ন মোরে ক্লিক করে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধাগুলো জানা যাবে। এর নিচে থাকবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কার্ডের ফি ও অ্যাপ্লাই নাও অপশন। অ্যাপ্লাই বাটনে ক্লিক করে কয়েকটি তথ্য সাবমিট করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
ক্রেডিট কার্ডের সেকশনে গিয়ে অ্যাপ্লাই নাও বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নাম, যোগাযোগের তথ্য, শহর, মেইল ঠিকানা দিয়ে ‘ওকে নেক্সট’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষই যোগাযোগ করবে।
ইস্টার্ন ব্যাংক
এ ব্যাংকের এ ধরনের মোট ১৯টি অফার রয়েছে। যেকোনো একটিতে ক্লিক করে অ্যাপ্লাই নাওতে ক্লিক করলে তথ্য জমা দেওয়ার জন্য ছোট্ট একটি ফরম চলে আসবে। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করতে হবে। ব্যাংকের প্রতিনিধিকে ফোন করার সুযোগ দিতে একটি ঘরে টিক দিতে হবে।
প্রিমিয়ার ব্যাংক
প্রিমিয়াম ব্যাংকের চার ধরনের কার্ড আছে। কার্ডের নিচে লার্ন মোর অপশনে ক্লিক করে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফরমটি পূরণ করতে হবে।
যমুনা ক্রেডিট কার্ড
ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে যমুনা ভিসা কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। সেখানে কার্ডের ইন্টারেস্ট রেট, ফি, চার্জ, শর্ত ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিষয়ে তথ্য রয়েছে। গেট দিস ক্রেডিট কার্ড অপশনে ক্লিক করলে ৫টি বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে ১০ ধরনের কার্ড আছে। এগুলো হলো মাস্টারকার্ড টাইটেনিয়াম, ভিসা প্লাটিনাম, ভিসা ক্ল্যাসিক লোকাল, ভিসা গোল্ড লোকাল, ভিসা ক্ল্যাসিক ইন্টারন্যাশনাল, ভিসা গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল, ভিসা গোল্ড ক্ল্যাসিক ইন্টারন্যাশনাল, মাস্টারকার্ড গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল, মাস্টারকার্ড ক্ল্যাসিক লোকাল, মাস্টারকার্ড গোল্ড লোকাল, মাস্টারকার্ড ক্ল্যাসিক ইন্টারন্যাশনাল। এগুলোর ওপরে ক্লিক করলে কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চলে আসবে। কার্ডের বিস্তারিত জেনে অ্যাপ্লাই বাটনে ক্লিক করতে হবে। এতে ক্রেডিট কার্ড অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা যাবে। ফরম পূরণ করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
ট্রাস্ট ব্যাংক
ট্রাস্ট ব্যাংকে চার ধরনের কার্ড পাওয়া যাবে। এগুলোর নিচে থাকা রিড মোর অপশনে ক্লিক করলে কার্ডের বিস্তারিত চলে আসবে। কার্ড পাওয়ার শর্তগুলো সেখানে বিস্তারিত দেওয়া আছে।
আরও পড়ুন:
ক্রেডিট কার্ড হলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি কার্ড। প্লাস্টিক বা মেটালের তৈরি এই কার্ড দিয়ে কেনাকাটা বা অন্যান্য সেবার জন্য ঋণ নেওয়া যায়। তবে যে কেউ ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন না। আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার প্রমাণ দেখালে তবেই ব্যাংক আপনাকে ক্রেডিট কার্ড দেবে। অর্থাৎ, বিশেষ কিছু যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারলেই ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যাবে।
ক্রেডিট কার্ডে নেওয়া ঋণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই টাকা ফেরত দিতে হয়। টাকা ফেরত দিতে দেরি হলে সুদ দিতে হয়। কোনো কারণে সুদ দিতে দেরি করলে ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
ডিজিটাল ওয়ালেটে ভার্চুয়াল কার্ড রেখে স্মার্টফোন দিয়েও কেনাকাটা করা যায়। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যায়। চিপযুক্ত কার্ডটিতে থাকে ব্যবহারকারীর নাম, ১৬ সংখ্যার কার্ড নম্বর, মেয়াদ শেষের তারিখ, সিসিভি, ব্যবহারকারীর নাম। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এটি পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে আলোচনার আগে এই সুবিধাগুলো জেনে নেওয়া যাক।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে অসুবিধা
ক্রেডিট কার্ডের ধরন
পারচেজ কার্ড, মানি ট্রান্সফার কার্ড, রিওয়ার্ডস ক্রেডিট কার্ড, ক্রেডিট বিল্ডার কার্ড, ওভারসিস কার্ড
ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ও প্রি-পেইড কার্ডের পার্থক্য
যেভাবে ক্রেডিট কার্ড নেবেন
প্রথমেই প্রয়োজন হবে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। এতে রাখতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ। এর সঙ্গে প্রয়োজন হবে ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ছবি দুই কপি, পুরোনো ব্যাংক হিসাবপত্র, নমিনির পরিচয়পত্র এবং তাঁর ছবি ও স্বাক্ষর। এসব জোগাড় হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে কার্ড তৈরির নিয়ম জেনে নিতে হবে। তারা যাচাই করে দেখবে আপনি ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্য কি না।
যোগ্যতা
যে কেউ ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন না। আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার প্রমাণ দেখালে তবেই ব্যাংক আপনাকে ক্রেডিট কার্ড দেবে। এ ক্ষেত্রেও আবার পেশাগত দিক বিবেচনায় নানা মানদণ্ড রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে
ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বয়স হতে হবে অন্তত এক বছর, যাতে অন্তত ১০ লাখ টাকার লেনদেন হতে হবে। এর পাশাপাশি প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয়পত্র, দুই কপি ছবি, ট্রেড লাইসেন্স ও রেফারেন্স।
চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে
ছয় মাসের ব্যাংক হিসাব দেখাতে হবে। মাসিক বেতন হতে হবে ৩০ হাজার টাকার বেশি। চাকরির বয়সও ছয় মাসের কম হওয়া চলবে না। কার্ডের জন্য আবেদন করতে আরও প্রয়োজন হবে ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নাম্বার বা টিন সার্টিফিকেট, দুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, রেফারেন্স।
অন্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে
যে পেশায় আছেন, সেখানকার আইডি কার্ড বা এমন কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। সঙ্গে লাগবে দুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাস বিলের কপি ও রেফারেন্স।
তবে আপনি সব দিক থেকে যোগ্য হলে যে ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট আছে, তারাও উদ্যোগী হয়ে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড
ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড করতে চাইলে ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। বিদেশে যাওয়ার আগে ক্রেডিট কার্ড তৈরি করলে বিদেশের এটিএম বুথগুলো (প্রায়) থেকেও অর্থ তোলা যাবে। বিদেশে খরচ করতে করতে টাকা শেষ করে ফেললে বিপদ। তাই যত খরচ করবেন, ফিরে এসে তত ফেরত দিলেই হবে। ক্রেডিট কার্ড থাকলে হাত খালি হওয়ার ভয় থাকে না। মনে রাখা দরকার—বিদেশে খরচের জন্য সিঙ্গেল কারেন্সি নয়, ডুয়েল কারেন্সি কার্ড করতে হবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
কার্ড পাওয়ার এক থেকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তা সক্রিয় হয়। ব্যাংক থেকে দেওয়া গোপন পিন নম্বর দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যাবে। টাকা তোলার আগে দেখতে হবে কার্ডটি ভিসা, মাস্টারকার্ড, নাকি অন্য নেটওয়ার্কের। প্রতি মাসে সর্বোচ্চ কত খরচ করা যাবে, তা জেনে নিতে হবে। নয়তো অর্থ পরিশোধ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়বেন।
অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড তৈরি নিয়ম
যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে, সে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। ক্রেডিট কার্ড লিখে সার্চ দিলেই এ-সংক্রান্ত লিংক চলে আসবে। তাতে ক্লিক করে কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা ও কার্ডের ফি জেনে নিতে হবে। সেখানে থাকা ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে স্ক্যান করে।
ক্রেডিট কার্ডের খরচ
সব ব্যাংকের চার্জ এক নয়। কোন খাতে কত টাকা কেটে নেওয়া হবে, তা ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে বা কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসে ফোন করে জেনে নিতে হবে।
কয়েকটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড
বিভিন্ন ব্যাংক এই ক্রেডিট কার্ড সেবা দেয়। এর মধ্যে কয়েকটি ব্যাংকের সেবা বেশ জনপ্রিয়, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে—
সিটি ব্যাংক
ক্রেডিট কার্ড সার্ভিসেস ফরমস সেকশনে গিয়ে ডাউনলোড ফরমসে ক্লিক করতে হবে। এরপর দুই পৃষ্ঠার একটি ফরম ডাউনলোড হলে তা পূরণ করে ব্যাংকে গিয়ে জমা দিতে হবে। ফরমের ঠিক নিচেই থাকবে কার্ড-সংক্রান্ত ফিয়ের বিস্তারিত।
ব্র্যাক ব্যাংক
ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে ক্রেডিট কার্ড সেকশনে ছয়টি ভিন্ন অফারের কার্ড পাওয়া যাবে। লার্ন মোরে ক্লিক করে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধাগুলো জানা যাবে। এর নিচে থাকবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কার্ডের ফি ও অ্যাপ্লাই নাও অপশন। অ্যাপ্লাই বাটনে ক্লিক করে কয়েকটি তথ্য সাবমিট করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
ক্রেডিট কার্ডের সেকশনে গিয়ে অ্যাপ্লাই নাও বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নাম, যোগাযোগের তথ্য, শহর, মেইল ঠিকানা দিয়ে ‘ওকে নেক্সট’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষই যোগাযোগ করবে।
ইস্টার্ন ব্যাংক
এ ব্যাংকের এ ধরনের মোট ১৯টি অফার রয়েছে। যেকোনো একটিতে ক্লিক করে অ্যাপ্লাই নাওতে ক্লিক করলে তথ্য জমা দেওয়ার জন্য ছোট্ট একটি ফরম চলে আসবে। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করতে হবে। ব্যাংকের প্রতিনিধিকে ফোন করার সুযোগ দিতে একটি ঘরে টিক দিতে হবে।
প্রিমিয়ার ব্যাংক
প্রিমিয়াম ব্যাংকের চার ধরনের কার্ড আছে। কার্ডের নিচে লার্ন মোর অপশনে ক্লিক করে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফরমটি পূরণ করতে হবে।
যমুনা ক্রেডিট কার্ড
ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে যমুনা ভিসা কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। সেখানে কার্ডের ইন্টারেস্ট রেট, ফি, চার্জ, শর্ত ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিষয়ে তথ্য রয়েছে। গেট দিস ক্রেডিট কার্ড অপশনে ক্লিক করলে ৫টি বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে ১০ ধরনের কার্ড আছে। এগুলো হলো মাস্টারকার্ড টাইটেনিয়াম, ভিসা প্লাটিনাম, ভিসা ক্ল্যাসিক লোকাল, ভিসা গোল্ড লোকাল, ভিসা ক্ল্যাসিক ইন্টারন্যাশনাল, ভিসা গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল, ভিসা গোল্ড ক্ল্যাসিক ইন্টারন্যাশনাল, মাস্টারকার্ড গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল, মাস্টারকার্ড ক্ল্যাসিক লোকাল, মাস্টারকার্ড গোল্ড লোকাল, মাস্টারকার্ড ক্ল্যাসিক ইন্টারন্যাশনাল। এগুলোর ওপরে ক্লিক করলে কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চলে আসবে। কার্ডের বিস্তারিত জেনে অ্যাপ্লাই বাটনে ক্লিক করতে হবে। এতে ক্রেডিট কার্ড অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা যাবে। ফরম পূরণ করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
ট্রাস্ট ব্যাংক
ট্রাস্ট ব্যাংকে চার ধরনের কার্ড পাওয়া যাবে। এগুলোর নিচে থাকা রিড মোর অপশনে ক্লিক করলে কার্ডের বিস্তারিত চলে আসবে। কার্ড পাওয়ার শর্তগুলো সেখানে বিস্তারিত দেওয়া আছে।
আরও পড়ুন:
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সার্বিক দিক খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।
১৩ মিনিট আগেদেশে চিনি, তেল ও পেঁয়াজের দাম কমেছে দাবি করে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আপনাদের সকলের সহযোগিতায় চিনি, পেঁয়াজের ও তেলের কিছুটা কমে এসেছে ইতিমধ্যে। আমরা চেষ্টা করছি, সামনে রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারকে যতটুকু সম্ভব সহনশীল করতে। ইতিমধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমে এসেছে। চাহিদা...
৩ ঘণ্টা আগেমাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘হাওরের মাছ প্রকৃতির দান। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ করে মাছের প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে মানুষ ভোক্তা ও আহরণকারী হিসেবে অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।’
৪ ঘণ্টা আগেডিজিটাল মার্কেটিং খাতে দক্ষতা উন্নয়ন এবং কার্যক্রম গতিশীল করতে বেসিস ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভা গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেসিস বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান কে. এ. এম. রাশেদুল মাজিদ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর-ইন-চার্জ ড. মোহাম্মদ রিসালাত...
৬ ঘণ্টা আগে