এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির না করার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে উচ্চ আদালতের। কিন্তু সেই নির্দেশনা মানছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তারের পর হরহামেশা গণমাধ্যমের সামনে হাজির করছে তারা। বড় প্রজেক্টরে অভিযুক্তের নাম লিখে প্রদর্শন করা হচ্ছে ছবি। তাঁর কাছ থেকে কী উদ্ধার বা জব্দ করা হয়েছে, এমনকি তিনি অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জানানো হচ্ছে। যদিও অভিযুক্তকে কোনো কিছু বলার সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টিকে ‘মিডিয়া কনভিকশন’ বলেছেন আদালত। মানবাধিকারকর্মীরাও বলছেন, এটা এক ধরনের মিডিয়া ট্রায়াল।
আইন ও মানবাধিকার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগেই কাউকে দোষী বলা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তে কী পেল তা মিডিয়ার সামনে নয়, আদালতেই বলা উচিত। আটকের পর এভাবে মিডিয়ার সামনে হাজিরের পর ব্যক্তির সম্মানহানি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধ করছে বলেও মনে করেন তাঁরা। আর উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ যা করেন, তার চেয়ে বেশি নিজেদের জাহির করতে চান। এ জন্যই তাঁরা নানা ছুতোয় মিডিয়ার সামনে আসেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিডিয়ার সামনে আনা অভিযুক্ত ব্যক্তি খালাস পান। কিন্তু তার আগেই তিনি সমাজ বা স্বজনদের কাছে নেতিবাচক আচরণের শিকার হন এসব মিডিয়া ট্রায়ালের কারণে। এই ক্ষতি কখনোই পূরণ হওয়ার নয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আদালত ছাড়া অন্য কোনোভাবে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা আইনের মৌলিক ধারণার পরিপন্থী। মিডিয়া ট্রায়াল যাতে না করা হয়, সে বিষয়ে উচ্চ আদালতের একাধিক রায় রয়েছে। অথচ সেসব মানা হচ্ছে না। এসব মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ হওয়া উচিত।
হাইকোর্টের নির্দেশনা গ্রেপ্তার করা বা সন্দেহভাজন হিসেবে আটক ব্যক্তিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির না করতে ২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এক বিচারককে ফেনসিডিলসহ আটকের মামলার শুনানিতে আদালত বলেন, ‘এটা তো মিডিয়া ট্রায়াল নয়, এটা মিডিয়া কনভিকশন।’ একই বছরের ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বলেন, ‘কোনো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেই গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হচ্ছে। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। কারণ, বিচার তো এখানেই হয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে (মিডিয়া ট্রায়াল) ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিষয়ে রায় দিয়ে দেওয়া হয়।’ এ ছাড়া আদালতে হাজির করার আগে কোনো আসামিকে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যবেক্ষণ দেন হাইকোর্ট।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আটকের পর নানা বিশেষণ যোগ করে কাউকে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন বেআইনি। এটি বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার নামান্তর এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।’
নীতিমালা হয়নি চার বছরেও মামলার তদন্ত পর্যায়ে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিষয়ে গণমাধ্যমে কতটুকু প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে, সে বিষয়ে নীতিমালা করতে ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমার নজরে আসেনি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অবশ্যই পালন করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য না করাই ভালো। এতে বিচারকাজ ভিন্ন খাতে প্রভাবিত হতে পারে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) এনামুল হক সাগর বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এখনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, যদি কোনো অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে, সে ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রপক্ষকে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে তার অপরাধ প্রমাণ করতে হয়। কেননা, পূর্ণ বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্নের আগে দোষী সাব্যস্ত করা বিচারের মৌলিক বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া আদালতের বাইরে মিডিয়ার সামনে কাউকে দোষ শিকার করানো বা দোষী সাব্যস্ত হতে পারে, এমন কোনো প্রক্রিয়া চালানো ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অন্তরায় এবং তা সংবিধানের ৩১ ও ৩৫(৪) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির না করার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে উচ্চ আদালতের। কিন্তু সেই নির্দেশনা মানছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তারের পর হরহামেশা গণমাধ্যমের সামনে হাজির করছে তারা। বড় প্রজেক্টরে অভিযুক্তের নাম লিখে প্রদর্শন করা হচ্ছে ছবি। তাঁর কাছ থেকে কী উদ্ধার বা জব্দ করা হয়েছে, এমনকি তিনি অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জানানো হচ্ছে। যদিও অভিযুক্তকে কোনো কিছু বলার সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টিকে ‘মিডিয়া কনভিকশন’ বলেছেন আদালত। মানবাধিকারকর্মীরাও বলছেন, এটা এক ধরনের মিডিয়া ট্রায়াল।
আইন ও মানবাধিকার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগেই কাউকে দোষী বলা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তে কী পেল তা মিডিয়ার সামনে নয়, আদালতেই বলা উচিত। আটকের পর এভাবে মিডিয়ার সামনে হাজিরের পর ব্যক্তির সম্মানহানি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধ করছে বলেও মনে করেন তাঁরা। আর উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ যা করেন, তার চেয়ে বেশি নিজেদের জাহির করতে চান। এ জন্যই তাঁরা নানা ছুতোয় মিডিয়ার সামনে আসেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিডিয়ার সামনে আনা অভিযুক্ত ব্যক্তি খালাস পান। কিন্তু তার আগেই তিনি সমাজ বা স্বজনদের কাছে নেতিবাচক আচরণের শিকার হন এসব মিডিয়া ট্রায়ালের কারণে। এই ক্ষতি কখনোই পূরণ হওয়ার নয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আদালত ছাড়া অন্য কোনোভাবে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা আইনের মৌলিক ধারণার পরিপন্থী। মিডিয়া ট্রায়াল যাতে না করা হয়, সে বিষয়ে উচ্চ আদালতের একাধিক রায় রয়েছে। অথচ সেসব মানা হচ্ছে না। এসব মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ হওয়া উচিত।
হাইকোর্টের নির্দেশনা গ্রেপ্তার করা বা সন্দেহভাজন হিসেবে আটক ব্যক্তিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির না করতে ২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এক বিচারককে ফেনসিডিলসহ আটকের মামলার শুনানিতে আদালত বলেন, ‘এটা তো মিডিয়া ট্রায়াল নয়, এটা মিডিয়া কনভিকশন।’ একই বছরের ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বলেন, ‘কোনো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেই গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হচ্ছে। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। কারণ, বিচার তো এখানেই হয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে (মিডিয়া ট্রায়াল) ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিষয়ে রায় দিয়ে দেওয়া হয়।’ এ ছাড়া আদালতে হাজির করার আগে কোনো আসামিকে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যবেক্ষণ দেন হাইকোর্ট।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আটকের পর নানা বিশেষণ যোগ করে কাউকে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন বেআইনি। এটি বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার নামান্তর এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।’
নীতিমালা হয়নি চার বছরেও মামলার তদন্ত পর্যায়ে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিষয়ে গণমাধ্যমে কতটুকু প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে, সে বিষয়ে নীতিমালা করতে ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমার নজরে আসেনি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অবশ্যই পালন করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য না করাই ভালো। এতে বিচারকাজ ভিন্ন খাতে প্রভাবিত হতে পারে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) এনামুল হক সাগর বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এখনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, যদি কোনো অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে, সে ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রপক্ষকে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে তার অপরাধ প্রমাণ করতে হয়। কেননা, পূর্ণ বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্নের আগে দোষী সাব্যস্ত করা বিচারের মৌলিক বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া আদালতের বাইরে মিডিয়ার সামনে কাউকে দোষ শিকার করানো বা দোষী সাব্যস্ত হতে পারে, এমন কোনো প্রক্রিয়া চালানো ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অন্তরায় এবং তা সংবিধানের ৩১ ও ৩৫(৪) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৬ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৬ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৬ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২০ দিন আগে