আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহৃত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম অপরাধীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ব্যবহার করছে। নিষিদ্ধ হলেও এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার বাড়ছেই। গত পাঁচ বছরে এমন ৯ ধরনের সরঞ্জামসহ রাজধানীতে অন্তত সোয়া দুই শ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছে, এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অভিযান চলবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ পোশাক ও সরঞ্জাম রয়েছে। এগুলো হলো মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার, রিপিটার, মোবাইল বুস্টার, স্পাই ক্যাম, দূরনিয়ন্ত্রিত বিশেষ ড্রোন, এনক্রিপটেড অ্যাপস, হাতকড়া, ডিবি ও র্যাবের জ্যাকেট, ওয়াকিটকি। এসব সরঞ্জাম ও পোশাক সাধারণের কাছে আমদানি, বিক্রি, কেনা এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে সাধারণ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো কোনোটি ব্যবহার করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু নিষিদ্ধ এসব সরঞ্জাম দোকানে বিক্রি হচ্ছে; কিনছে অপরাধী ও সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের গতি কম-বেশি করার প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জ্যামার, রিপিটার ও মোবাইল বুস্টার ব্যবহার করে। এগুলো যথেচ্ছ ব্যবহারে আইনগত বাধা রয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিসংখ্যান বলছে, অবৈধভাবে এগুলো আমদানি, মজুত, বিক্রি ও ব্যবহার বাড়ছে। ২০১৮ সালে র্যাবের ঢাকার পাঁচটি ব্যাটালিয়ন ও বিটিআরসির যৌথ অভিযানে বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জন, ২০১৯ সালে ৯ জন, ২০২০ সালে ১৬ জন, ২০২১ সালে ২১ জন এবং ২০২২ সালে অন্তত ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেড় শতাধিক জ্যামার, দুই শতাধিক মোবাইল বুস্টার ও কয়েক শ ইন্টারনেট রিপিটার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ওয়ারীর একটি বাসা থেকে এক ডজনেরও বেশি জ্যামার উদ্ধার করে পুলিশ। র্যাব ও পুলিশ বলছে, এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহারে কল ড্রপ ও মোবাইল নেটওয়ার্কে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
র্যাব ও বিটিআরসি সূত্র বলেছে, সাধারণ মানুষের কেউ কেউ জ্যামার ব্যবহার করছে। আবার অনেক বড় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ ক্ষমতাবান ব্যক্তি তাঁদের অফিসে ও বাড়িতে এসব ব্যবহার করেন। বিটিআরসির তথ্যের ভিত্তিতে এমন একটি তালিকা ধরে কাজ করছে র্যাব। এর ধারাবাহিকতায় ৯ ফেব্রুয়ারি বংশাল থানার বসুন্ধরা স্কয়ার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১০ ও বিটিআরসি। এ সময় আসলাম, ইউনুছ আলী, সোহেল হোসেন, সাফওয়ান ও হৃদয় নামের পাঁচজনকে এমন সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, অন্যান্য পণ্যের আড়ালে তথ্য গোপন করে জ্যামারসহ এসব আনা হচ্ছে।
র্যাবের গণমাধ্যম ও আইন শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাব ও বিটিআরসি কয়েক বছর ধরে এসব অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। ভবিষ্যতেও তা চলবে।
বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের গোপন অ্যাপ ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে কোনো ফুটপ্রিন্ট বা প্রমাণ ছাড়াই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে তারা। গত বছর আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের আগে জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা গোপন অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল। এমনকি বোমা তৈরির টিউটোরিয়ালের ভিডিও তৈরি করে তা গোপন অ্যাপে নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করত জঙ্গিরা।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে নিরাপদে মোবাইলের গোপন অ্যাপ ব্যবহার করে।
ডিবির সরঞ্জাম অপরাধীদের কাছে
রাজধানীতে অবিকল ডিবির মতো জ্যাকেট ব্যবহার করে ডিবি পরিচয়ে অপহরণ ও ছিনতাই ঘটে মাঝেমধ্যে। এমনকি মৌচাকে একটি অভিযানে গিয়ে নকল ডিবির জেরার মুখে পড়েছিল আসল ডিবি। ওই ঘটনার পর নিজেদের জ্যাকেটে কিউআর কোড ব্যবহার শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারপরও ডিবি পরিচয়ে অপরাধ কমছে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগর ডিবি ও ৫০ থানা-পুলিশ অন্তত ১৮০ জন ভুয়া ডিবি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
একই সময় র্যাব-১, ২, ৩, ৪ ও ১০ ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করে; যারা বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপরাধ করেছে। তাদের কাছ থেকে হাতকড়া; র্যাব, ডিবি ও পুলিশ লেখা জ্যাকেট, ওয়াকিটকি ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তারা অপহরণ ও ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল। দেশের বিভিন্ন মার্কেটে হাতকড়া, ওয়াকিটকি ও ডিবি ও র্যাব লেখা জ্যাকেট কিনতে পাওয়া যায়।
সরঞ্জাম হোম ডেলিভারি
রাজধানীর বড় বড় কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও মোবাইল মার্কেটের পাশাপাশি ই-কমার্সের বিভিন্ন সাইট গোয়েন্দা সরঞ্জাম বিক্রি করে। অর্ডার দিলে ঘরে বসেই মেলে এসব সরঞ্জাম। আবার এলাকাভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারীরাও গোপনে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করে। গত বছরের ১৪ মে রাতে মোহাম্মদপুর থেকে জ্যামার, নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ নোমান ও সোহেল রানা নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
তাঁরা আইটি স্টল ডটকম ডটবিডি নামক ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করছিল। অনলাইনে অর্ডার দিলে হোম ডেলিভারি করতেন। এ রকম কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রেখেছে র্যাব।
ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কেউ ডিবি পরিচয় দিলে তাকে নাগরিকদের চ্যালেঞ্জ করার অনুরোধ করেছি আমরা। এ ছাড়া আমাদের কর্মীদের গায়ে যে জ্যাকেট থাকে, তাতে কিউআর কোড রয়েছে। তা-ও যাচাই করে দেখতে পারেন।’
মোবাইল অপারেটরদের কল ড্রপের কারণের মধ্যে অবৈধ জ্যামার অন্যতম বলছে বিটিআরসি। তারা যেখানেই এমন সংবাদ পাচ্ছে, সেখানেই র্যাবকে নিয়ে অভিযানে যাচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, প্রচুর জ্যামার বসানোর ফলে নেটওয়ার্ক থাকলেও কল ড্রপ হচ্ছে। এগুলো প্রতিহত করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহৃত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম অপরাধীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ব্যবহার করছে। নিষিদ্ধ হলেও এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার বাড়ছেই। গত পাঁচ বছরে এমন ৯ ধরনের সরঞ্জামসহ রাজধানীতে অন্তত সোয়া দুই শ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছে, এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অভিযান চলবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ পোশাক ও সরঞ্জাম রয়েছে। এগুলো হলো মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার, রিপিটার, মোবাইল বুস্টার, স্পাই ক্যাম, দূরনিয়ন্ত্রিত বিশেষ ড্রোন, এনক্রিপটেড অ্যাপস, হাতকড়া, ডিবি ও র্যাবের জ্যাকেট, ওয়াকিটকি। এসব সরঞ্জাম ও পোশাক সাধারণের কাছে আমদানি, বিক্রি, কেনা এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে সাধারণ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো কোনোটি ব্যবহার করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু নিষিদ্ধ এসব সরঞ্জাম দোকানে বিক্রি হচ্ছে; কিনছে অপরাধী ও সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের গতি কম-বেশি করার প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জ্যামার, রিপিটার ও মোবাইল বুস্টার ব্যবহার করে। এগুলো যথেচ্ছ ব্যবহারে আইনগত বাধা রয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিসংখ্যান বলছে, অবৈধভাবে এগুলো আমদানি, মজুত, বিক্রি ও ব্যবহার বাড়ছে। ২০১৮ সালে র্যাবের ঢাকার পাঁচটি ব্যাটালিয়ন ও বিটিআরসির যৌথ অভিযানে বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জন, ২০১৯ সালে ৯ জন, ২০২০ সালে ১৬ জন, ২০২১ সালে ২১ জন এবং ২০২২ সালে অন্তত ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেড় শতাধিক জ্যামার, দুই শতাধিক মোবাইল বুস্টার ও কয়েক শ ইন্টারনেট রিপিটার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ওয়ারীর একটি বাসা থেকে এক ডজনেরও বেশি জ্যামার উদ্ধার করে পুলিশ। র্যাব ও পুলিশ বলছে, এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহারে কল ড্রপ ও মোবাইল নেটওয়ার্কে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
র্যাব ও বিটিআরসি সূত্র বলেছে, সাধারণ মানুষের কেউ কেউ জ্যামার ব্যবহার করছে। আবার অনেক বড় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ ক্ষমতাবান ব্যক্তি তাঁদের অফিসে ও বাড়িতে এসব ব্যবহার করেন। বিটিআরসির তথ্যের ভিত্তিতে এমন একটি তালিকা ধরে কাজ করছে র্যাব। এর ধারাবাহিকতায় ৯ ফেব্রুয়ারি বংশাল থানার বসুন্ধরা স্কয়ার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১০ ও বিটিআরসি। এ সময় আসলাম, ইউনুছ আলী, সোহেল হোসেন, সাফওয়ান ও হৃদয় নামের পাঁচজনকে এমন সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, অন্যান্য পণ্যের আড়ালে তথ্য গোপন করে জ্যামারসহ এসব আনা হচ্ছে।
র্যাবের গণমাধ্যম ও আইন শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাব ও বিটিআরসি কয়েক বছর ধরে এসব অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। ভবিষ্যতেও তা চলবে।
বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের গোপন অ্যাপ ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে কোনো ফুটপ্রিন্ট বা প্রমাণ ছাড়াই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে তারা। গত বছর আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের আগে জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা গোপন অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল। এমনকি বোমা তৈরির টিউটোরিয়ালের ভিডিও তৈরি করে তা গোপন অ্যাপে নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করত জঙ্গিরা।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে নিরাপদে মোবাইলের গোপন অ্যাপ ব্যবহার করে।
ডিবির সরঞ্জাম অপরাধীদের কাছে
রাজধানীতে অবিকল ডিবির মতো জ্যাকেট ব্যবহার করে ডিবি পরিচয়ে অপহরণ ও ছিনতাই ঘটে মাঝেমধ্যে। এমনকি মৌচাকে একটি অভিযানে গিয়ে নকল ডিবির জেরার মুখে পড়েছিল আসল ডিবি। ওই ঘটনার পর নিজেদের জ্যাকেটে কিউআর কোড ব্যবহার শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারপরও ডিবি পরিচয়ে অপরাধ কমছে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগর ডিবি ও ৫০ থানা-পুলিশ অন্তত ১৮০ জন ভুয়া ডিবি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
একই সময় র্যাব-১, ২, ৩, ৪ ও ১০ ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করে; যারা বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপরাধ করেছে। তাদের কাছ থেকে হাতকড়া; র্যাব, ডিবি ও পুলিশ লেখা জ্যাকেট, ওয়াকিটকি ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তারা অপহরণ ও ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল। দেশের বিভিন্ন মার্কেটে হাতকড়া, ওয়াকিটকি ও ডিবি ও র্যাব লেখা জ্যাকেট কিনতে পাওয়া যায়।
সরঞ্জাম হোম ডেলিভারি
রাজধানীর বড় বড় কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও মোবাইল মার্কেটের পাশাপাশি ই-কমার্সের বিভিন্ন সাইট গোয়েন্দা সরঞ্জাম বিক্রি করে। অর্ডার দিলে ঘরে বসেই মেলে এসব সরঞ্জাম। আবার এলাকাভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারীরাও গোপনে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করে। গত বছরের ১৪ মে রাতে মোহাম্মদপুর থেকে জ্যামার, নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ নোমান ও সোহেল রানা নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
তাঁরা আইটি স্টল ডটকম ডটবিডি নামক ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করছিল। অনলাইনে অর্ডার দিলে হোম ডেলিভারি করতেন। এ রকম কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রেখেছে র্যাব।
ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কেউ ডিবি পরিচয় দিলে তাকে নাগরিকদের চ্যালেঞ্জ করার অনুরোধ করেছি আমরা। এ ছাড়া আমাদের কর্মীদের গায়ে যে জ্যাকেট থাকে, তাতে কিউআর কোড রয়েছে। তা-ও যাচাই করে দেখতে পারেন।’
মোবাইল অপারেটরদের কল ড্রপের কারণের মধ্যে অবৈধ জ্যামার অন্যতম বলছে বিটিআরসি। তারা যেখানেই এমন সংবাদ পাচ্ছে, সেখানেই র্যাবকে নিয়ে অভিযানে যাচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, প্রচুর জ্যামার বসানোর ফলে নেটওয়ার্ক থাকলেও কল ড্রপ হচ্ছে। এগুলো প্রতিহত করতে হবে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৬ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৬ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৬ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২০ দিন আগে