রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় এখন খেজুরের রস ছাড়াই তৈরি হচ্ছে গুড়! ফিটকিরি, ডালডা, চিনি, চুন ও হাইড্রোজের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব গুড়। এই গুড়ে বিন্দুমাত্র থাকে না খেজুর রস। ৫০ কেজি চিনিতে বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি হয়ে যাচ্ছে ৫৫ কেজি খেজুরের গুড়। চিনি মেশানো ভেজাল গুড়ে এখন দুই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার সয়লাব হয়ে গেছে।
নকল এসব গুড় তৈরিতে যে হাইড্রোজ ব্যবহৃত হয়, তা পোশাক কারখানায় ব্যবহার করা হয় কাপড় সাদা করতে। নকল এসব গুড় মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এই গুড়ের কারণে রাজশাহীর খেজুর গুড়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। তবে রাজশাহী জেলা পুলিশ এবার সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাঘার আড়ানী চকরপাড়া গ্রামে নকল গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন কারখানার মালিক রকিব আলী (৪২) ও তাঁর সহযোগী সুমন আলী (৪২), অনিক আলী ওরফে পাইলট (৩০), মাসুদ রানা (৩০), বিপ্লব হোসেন ওরফে সাজু (২৫), মামুন আলী (২৭) ও মো. বাবু (২৫)। সবার বাড়ি আড়ানী চকরপাড়া এলাকায়।
কারখানাটি থেকে ৫৮ ক্যারেটে থাকা ৩৫২ হাজার ৩০ কেজি নকল গুড়, ১০ বস্তায় ৫০০ কেজি চিনি, ১৮ কেজি ফিটকিরি, ২৫ কেজি চুন, ৬০০ গ্রাম ডালডা, ১ কেজি হাইড্রোজসহ আরও কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। গত রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল এ অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।
এঁদের গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার সকালে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেন তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দু-তিন মাস ধরে তাঁরা কারখানায় চিনি, চুন, হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ডালডা ও বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান মিশিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি করে আসছিলেন। তাঁরা এগুলো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে থাকেন।
এসপি জানান, গুড় তৈরির ক্ষেত্রে যেসব রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলো জটিল রোগ সৃষ্টি করে। এঁদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় বাঘা থানায় মামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভেজাল গুড় তৈরির কারবারিদের কারণে রাজশাহীর শতকোটি টাকার গুড়ের ব্যবসা ক্ষতির মুখে। সুনাম হারাতে বসেছে রাজশাহীর গুড়ের বাজার। এসব ভেজাল গুড় দেশের নানা প্রান্তে পাঠানোর পাশাপাশি বাঘা ও চারঘাটেও বিক্রি করা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিন চারঘাট উপজেলার মেরামতপুর, রায়পুর, ভাটপাড়া, পরানপুর, নন্দনগাছীসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রস ছাড়াই রাসায়নিকের মাধ্যমে খেজুর গুড় তৈরি করা হচ্ছে। আবার কেউ রসের সঙ্গে অতিরিক্ত চিনি ও রাসায়নিক মিশিয়েও গুড় করছেন। গাছিরা ভোরবেলা গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে আসছেন। এরপর মাটির বানানো বিশেষ চুলায় সংগ্রহ করা রস জাল দেওয়া হচ্ছে। পাশেই রয়েছে সাদা বস্তায় চিনি ও আটা। রস জ্বাল দেওয়ার পর তা লাল বর্ণ হলেই তাতে চিনি মেশানো হচ্ছে।
জ্বাল দেওয়া রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে গুড়। এরপর ওই গুড়ে আটা, হাইড্রোজ ও ফিটকিরি মিশিয়ে গুড়ের রং উজ্জ্বল করা হচ্ছে। চিনি ও রাসায়নিক মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি ও বিক্রি ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন থেকে শুধু সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। দু-একবার কিছু গ্রামে প্রচারও চালানো হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কারখানায় গিয়ে তেমন কোনো অভিযান দেখা যায় না।
বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ৭৫-৮০ টাকা। অপর দিকে ১ কেজি গুড় বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। প্রতি ৬০ কেজি গুড় তৈরির জন্য খেজুর রসে মেশানো হচ্ছে ৪০ কেজি চিনি। অনেকে খেজুর রস ছাড়াই শুধু রাসায়নিক ও চিনি দিয়ে গুড় তৈরি করছেন। তাতে স্থানীয় বাজারে চিনির চাহিদাও বেড়ে গেছে কয়েক গুণ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেজাল গুড়ের বিষয়টা নিয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আর ভেজাল গুড়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করতে চাননি বাঘার ইউএনও পাপিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, ‘বাঘায় আসেন, তখন কথা হবে। ওভার টেলিফোনে তো আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।’
রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় এখন খেজুরের রস ছাড়াই তৈরি হচ্ছে গুড়! ফিটকিরি, ডালডা, চিনি, চুন ও হাইড্রোজের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব গুড়। এই গুড়ে বিন্দুমাত্র থাকে না খেজুর রস। ৫০ কেজি চিনিতে বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি হয়ে যাচ্ছে ৫৫ কেজি খেজুরের গুড়। চিনি মেশানো ভেজাল গুড়ে এখন দুই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার সয়লাব হয়ে গেছে।
নকল এসব গুড় তৈরিতে যে হাইড্রোজ ব্যবহৃত হয়, তা পোশাক কারখানায় ব্যবহার করা হয় কাপড় সাদা করতে। নকল এসব গুড় মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এই গুড়ের কারণে রাজশাহীর খেজুর গুড়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। তবে রাজশাহী জেলা পুলিশ এবার সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাঘার আড়ানী চকরপাড়া গ্রামে নকল গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন কারখানার মালিক রকিব আলী (৪২) ও তাঁর সহযোগী সুমন আলী (৪২), অনিক আলী ওরফে পাইলট (৩০), মাসুদ রানা (৩০), বিপ্লব হোসেন ওরফে সাজু (২৫), মামুন আলী (২৭) ও মো. বাবু (২৫)। সবার বাড়ি আড়ানী চকরপাড়া এলাকায়।
কারখানাটি থেকে ৫৮ ক্যারেটে থাকা ৩৫২ হাজার ৩০ কেজি নকল গুড়, ১০ বস্তায় ৫০০ কেজি চিনি, ১৮ কেজি ফিটকিরি, ২৫ কেজি চুন, ৬০০ গ্রাম ডালডা, ১ কেজি হাইড্রোজসহ আরও কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। গত রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল এ অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।
এঁদের গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার সকালে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেন তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দু-তিন মাস ধরে তাঁরা কারখানায় চিনি, চুন, হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ডালডা ও বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান মিশিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি করে আসছিলেন। তাঁরা এগুলো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে থাকেন।
এসপি জানান, গুড় তৈরির ক্ষেত্রে যেসব রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলো জটিল রোগ সৃষ্টি করে। এঁদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় বাঘা থানায় মামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভেজাল গুড় তৈরির কারবারিদের কারণে রাজশাহীর শতকোটি টাকার গুড়ের ব্যবসা ক্ষতির মুখে। সুনাম হারাতে বসেছে রাজশাহীর গুড়ের বাজার। এসব ভেজাল গুড় দেশের নানা প্রান্তে পাঠানোর পাশাপাশি বাঘা ও চারঘাটেও বিক্রি করা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিন চারঘাট উপজেলার মেরামতপুর, রায়পুর, ভাটপাড়া, পরানপুর, নন্দনগাছীসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রস ছাড়াই রাসায়নিকের মাধ্যমে খেজুর গুড় তৈরি করা হচ্ছে। আবার কেউ রসের সঙ্গে অতিরিক্ত চিনি ও রাসায়নিক মিশিয়েও গুড় করছেন। গাছিরা ভোরবেলা গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে আসছেন। এরপর মাটির বানানো বিশেষ চুলায় সংগ্রহ করা রস জাল দেওয়া হচ্ছে। পাশেই রয়েছে সাদা বস্তায় চিনি ও আটা। রস জ্বাল দেওয়ার পর তা লাল বর্ণ হলেই তাতে চিনি মেশানো হচ্ছে।
জ্বাল দেওয়া রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে গুড়। এরপর ওই গুড়ে আটা, হাইড্রোজ ও ফিটকিরি মিশিয়ে গুড়ের রং উজ্জ্বল করা হচ্ছে। চিনি ও রাসায়নিক মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি ও বিক্রি ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন থেকে শুধু সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। দু-একবার কিছু গ্রামে প্রচারও চালানো হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কারখানায় গিয়ে তেমন কোনো অভিযান দেখা যায় না।
বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ৭৫-৮০ টাকা। অপর দিকে ১ কেজি গুড় বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। প্রতি ৬০ কেজি গুড় তৈরির জন্য খেজুর রসে মেশানো হচ্ছে ৪০ কেজি চিনি। অনেকে খেজুর রস ছাড়াই শুধু রাসায়নিক ও চিনি দিয়ে গুড় তৈরি করছেন। তাতে স্থানীয় বাজারে চিনির চাহিদাও বেড়ে গেছে কয়েক গুণ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেজাল গুড়ের বিষয়টা নিয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আর ভেজাল গুড়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করতে চাননি বাঘার ইউএনও পাপিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, ‘বাঘায় আসেন, তখন কথা হবে। ওভার টেলিফোনে তো আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৬ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৬ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৬ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২০ দিন আগে