কুমিল্লা প্রতিনিধি
ফুফাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে সদ্যবিবাহিত মামাতো ভাইকে গ্রেপ্তারের ৫ ঘণ্টা পর থানায় বসে রফা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওসি সাদেকুর রহমানের অনুমতিক্রমে সালিসে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় সমঝোতা হয় বলে জানা যায়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেই টাকা থেকে অভিযোগকারী মামাতো বোনকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে থানার খরচ বাবদ ৬০ হাজার টাকা রেখে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবক বাহরাইন প্রবাসী, তাঁর বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউসুফ নগর গ্রামে।
ঘটনার গল্প এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আলোচনা-সমালোচনা চলছে উপজেলা সদরের প্রতিটি চা-দোকানে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক প্রবাসে থাকাকালে দুই পরিবারের সম্মতিতে মামাতো বোনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। চলতি বছরের ১৭ আগস্ট তিনি দেশে আসেন। মামাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করেন। এক পর্যায়ে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ওই যুবকের পরিবারের পরামর্শে অন্যত্র বিয়ে করার খবর পেয়ে ফুফাতো বোন তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক হওয়ার বিষয়টি আত্মীয়-স্বজনদের জানিয়ে দেন। কিন্তু কোনো সুরাহা না হওয়ায় এলাকার মাতব্বরদের দ্বারস্থ হন।
এর মধ্যে গত মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ওই যুবকের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরদিন অভিযোগকারী পুনরায় ঘটনাটি নিষ্পত্তি চেয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হন। এতেও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শনিবার সকালে মুরাদনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিন দুপুরে মুরাদনগর থানার এএসআই নুর-আজম অভিযুক্ত যুবককে বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে আসেন।
অভিযোগে ৪ নম্বর আসামি অভিযুক্ত যুবকের বোন এ ব্যাপারে ফোনে বলেন, অভিযোগকারী আমার ফুফাতো বোন। আমার ভাই বিয়ে করেছে মাত্র চার দিন হয়। তাঁর টাকা পয়সা দেখে তাঁকে বিপদে ফেলার জন্য গ্রামের কিছু খারাপ লোকের কুপরামর্শে থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে। এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে পুলিশ আমার ভাইকে ধরে নিয়ে যায়।
এখন কী অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমঝোতার জন্য প্রথমে থানায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে আরও ৩০ হাজার টাকা নেয়। আমাকে বড় স্যার (ওসি) বলেন, ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে অভিযোগকারী আমার ফুফাতো বোনকে ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হবে, বাকি ৬০ হাজার টাকা থানার খরচ বাবদ রাখা হয়েছে।
থানায় সালিসে উপস্থিত ছিলেন ইউসুফনগর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ মাস্টার। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি উপস্থিত ছিলাম, তবে বিচার করিনি। দুপক্ষের উপস্থিতিতে থানায় বসে ৮০ হাজার টাকা ধার্য্য করে এক ঘণ্টার মধ্যে মেয়েকে টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সালিসকারী এএসআই নূর-আজম বলেন, ফুফাতো বোনকে তাঁর মামাতো ভাই বিয়ে না করে অন্য জায়গায় বিয়ে করায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ওই তরুণী। পরে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামাতো ভাইকে থানায় নিয়ে আসি। দু’পক্ষের অনুমতিক্রমেই ওসি স্যারের নির্দেশে সালিস করেছি। আর সালিসে মেয়েকে ক্ষতিপূরণ বাবদ যে ৮০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়, সেই টাকাই ছেলের পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি।
মুরাদনগর থানার ওসি মো. সাদেকুর রহমান থানায় সালিসের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মামাতো ভাই বিয়ে না করায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন অভিযুক্তের ফুফাতো বোন। মূলত আমার অনুমতিক্রমেই এএসআই নূর-আজম এই সালিসটি করেছেন। আমার জানা মতে, মেয়েটিকে বিয়ে দেওয়ার জন্য ওই ছেলের পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে কত টাকায় সমঝোতা হয়েছে আমার জানা নেই। আমি কুমিল্লায় আছি, রাতে বলতে পারবো কত টাকা নেওয়া হয়েছে।
ফুফাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে সদ্যবিবাহিত মামাতো ভাইকে গ্রেপ্তারের ৫ ঘণ্টা পর থানায় বসে রফা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওসি সাদেকুর রহমানের অনুমতিক্রমে সালিসে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় সমঝোতা হয় বলে জানা যায়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেই টাকা থেকে অভিযোগকারী মামাতো বোনকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে থানার খরচ বাবদ ৬০ হাজার টাকা রেখে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবক বাহরাইন প্রবাসী, তাঁর বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউসুফ নগর গ্রামে।
ঘটনার গল্প এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আলোচনা-সমালোচনা চলছে উপজেলা সদরের প্রতিটি চা-দোকানে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক প্রবাসে থাকাকালে দুই পরিবারের সম্মতিতে মামাতো বোনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। চলতি বছরের ১৭ আগস্ট তিনি দেশে আসেন। মামাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করেন। এক পর্যায়ে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ওই যুবকের পরিবারের পরামর্শে অন্যত্র বিয়ে করার খবর পেয়ে ফুফাতো বোন তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক হওয়ার বিষয়টি আত্মীয়-স্বজনদের জানিয়ে দেন। কিন্তু কোনো সুরাহা না হওয়ায় এলাকার মাতব্বরদের দ্বারস্থ হন।
এর মধ্যে গত মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ওই যুবকের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরদিন অভিযোগকারী পুনরায় ঘটনাটি নিষ্পত্তি চেয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হন। এতেও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শনিবার সকালে মুরাদনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিন দুপুরে মুরাদনগর থানার এএসআই নুর-আজম অভিযুক্ত যুবককে বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে আসেন।
অভিযোগে ৪ নম্বর আসামি অভিযুক্ত যুবকের বোন এ ব্যাপারে ফোনে বলেন, অভিযোগকারী আমার ফুফাতো বোন। আমার ভাই বিয়ে করেছে মাত্র চার দিন হয়। তাঁর টাকা পয়সা দেখে তাঁকে বিপদে ফেলার জন্য গ্রামের কিছু খারাপ লোকের কুপরামর্শে থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে। এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে পুলিশ আমার ভাইকে ধরে নিয়ে যায়।
এখন কী অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমঝোতার জন্য প্রথমে থানায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে আরও ৩০ হাজার টাকা নেয়। আমাকে বড় স্যার (ওসি) বলেন, ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে অভিযোগকারী আমার ফুফাতো বোনকে ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হবে, বাকি ৬০ হাজার টাকা থানার খরচ বাবদ রাখা হয়েছে।
থানায় সালিসে উপস্থিত ছিলেন ইউসুফনগর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ মাস্টার। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি উপস্থিত ছিলাম, তবে বিচার করিনি। দুপক্ষের উপস্থিতিতে থানায় বসে ৮০ হাজার টাকা ধার্য্য করে এক ঘণ্টার মধ্যে মেয়েকে টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সালিসকারী এএসআই নূর-আজম বলেন, ফুফাতো বোনকে তাঁর মামাতো ভাই বিয়ে না করে অন্য জায়গায় বিয়ে করায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ওই তরুণী। পরে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামাতো ভাইকে থানায় নিয়ে আসি। দু’পক্ষের অনুমতিক্রমেই ওসি স্যারের নির্দেশে সালিস করেছি। আর সালিসে মেয়েকে ক্ষতিপূরণ বাবদ যে ৮০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়, সেই টাকাই ছেলের পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি।
মুরাদনগর থানার ওসি মো. সাদেকুর রহমান থানায় সালিসের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মামাতো ভাই বিয়ে না করায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন অভিযুক্তের ফুফাতো বোন। মূলত আমার অনুমতিক্রমেই এএসআই নূর-আজম এই সালিসটি করেছেন। আমার জানা মতে, মেয়েটিকে বিয়ে দেওয়ার জন্য ওই ছেলের পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে কত টাকায় সমঝোতা হয়েছে আমার জানা নেই। আমি কুমিল্লায় আছি, রাতে বলতে পারবো কত টাকা নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৬ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৬ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৬ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২০ দিন আগে