নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এক নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬-এর বিচারক আল মামুন এই পরোয়ানা জারি করেন। যৌতুকের একটি মামলায় পুলিশ বাহিনী থেকে সোহেলকে আগেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন তিনি।
বাদীর আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। এরপর ট্রাইব্যুনাল মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী ওই নারী একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন ওই নারীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলেন। সেখানে তাঁর আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে কাজির মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে জানান সোহেল। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় তাঁর আত্মীয়-স্বজনসহ রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাননি তিনি। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সোহেল জানান কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। ওই নারী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে সোহেল উদ্দীন তাঁকে খুন করার ভয় দেখিয়ে তাঁর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালান।
জানা গেছে, এর আগেও সোহেল আরেকটি বিয়ে করেছিলেন। সেই স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছিলেন। স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) হন সোহেল উদ্দীন। সোহেল কুড়িগ্রামের রৌমারী সার্কেলে কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিতে যোগদান করেন সোহেল। সোহেলের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মনতলায়।
গত ১৮ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে তাঁর সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী সার্কেলের এএসপি মো. সোহেল উদ্দীনের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী রিফাত জাহান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় ২০২২ সালের ২ অক্টোবর সোহেল উদ্দীন আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন নেন। পরে ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর আদালত এ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তাই চাকরিবিধি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
সোহেল উদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি পাঁচ বছরের চাকরিজীবনের ৩ বছরেরও কম সময়ে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার বেশি সম্পদ গড়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগও করেছেন। বাকি দেড় কোটির বেশি টাকা রয়েছে নগদ ও ব্যাংক হিসাবে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিয়েছেন আড়াই কাঠা জমি। এর বাইরেও তাঁর রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অলংকার। এসব বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান করছে বলে জানা গেছে।
এক নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬-এর বিচারক আল মামুন এই পরোয়ানা জারি করেন। যৌতুকের একটি মামলায় পুলিশ বাহিনী থেকে সোহেলকে আগেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন তিনি।
বাদীর আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। এরপর ট্রাইব্যুনাল মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী ওই নারী একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন ওই নারীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলেন। সেখানে তাঁর আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে কাজির মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে জানান সোহেল। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় তাঁর আত্মীয়-স্বজনসহ রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাননি তিনি। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সোহেল জানান কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। ওই নারী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে সোহেল উদ্দীন তাঁকে খুন করার ভয় দেখিয়ে তাঁর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালান।
জানা গেছে, এর আগেও সোহেল আরেকটি বিয়ে করেছিলেন। সেই স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছিলেন। স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) হন সোহেল উদ্দীন। সোহেল কুড়িগ্রামের রৌমারী সার্কেলে কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিতে যোগদান করেন সোহেল। সোহেলের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মনতলায়।
গত ১৮ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে তাঁর সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী সার্কেলের এএসপি মো. সোহেল উদ্দীনের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী রিফাত জাহান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় ২০২২ সালের ২ অক্টোবর সোহেল উদ্দীন আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন নেন। পরে ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর আদালত এ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তাই চাকরিবিধি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
সোহেল উদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি পাঁচ বছরের চাকরিজীবনের ৩ বছরেরও কম সময়ে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার বেশি সম্পদ গড়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগও করেছেন। বাকি দেড় কোটির বেশি টাকা রয়েছে নগদ ও ব্যাংক হিসাবে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিয়েছেন আড়াই কাঠা জমি। এর বাইরেও তাঁর রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অলংকার। এসব বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান করছে বলে জানা গেছে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৬ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৬ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৬ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২০ দিন আগে