নরসিংদীতে সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থসহ প্রায় কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। 

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রাম থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দক্ষিণে মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। 

আলোকবালী ইউনিয়ন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ইউসুফ আলী ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

ট্রলারের ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, মুরাদনগর গ্রামের প্রায় ৫০-৬০ জন যাত্রী ঈদের কেনাকাটার জন্য ট্রলারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ বাজারে যাচ্ছিলেন। ট্রলারটি সলিমগঞ্জ ও মুরাদনগর সীমানায় মেঘনা নদীর চারটি শাখার সংযোগস্থলে পৌঁছালে একটি স্পিডবোট এসে গতিরোধ করে। এ সময় ১০-১২ জনের একদল ডাকাত স্পিডবোট থেকে নেমে যাত্রীদের আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। 

ভুক্তভোগী যাত্রীরা আরও জানান, ওই স্পিডবোটের লোকেরা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকারসহ কয়েক লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। 

ট্রলারের মাঝি বকুল মিয়া বলেন, ‘৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে সলিমগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। ডাকাতের কবলে পড়ার পর যাত্রীদের সবকিছু লুট হয়েছে। পরে সলিমগঞ্জ বাজারে না গিয়ে ট্রলার নিয়ে মুরাদনগর গ্রামে ফিরে আসি।’ 

আলোকবালী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ইউসুফ আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যে এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, সেটি নরসিংদী জোনের আওতাভুক্ত নয়। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার আওতাভুক্ত। তাই আমাদের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিতে পারব না।’ 

নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘ঘটনাস্থলটি নরসিংদীর সীমান্তে পড়েছে, তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।’ 

সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মোরশেদ আলম বলেন, ঘটনাস্থলটি নরসিংদীর করিমপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির অধীনে পড়েছে। আইনগত পদক্ষেপ বিষয়ে তারা বলতে পারবে। 

করিমপুর নৌ-পুলিশের পরিদর্শক নূর হায়দার তালুকদার বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভুক্তভোগীদের দেখানো মতে ঘটনাস্থলটি সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশের অধীনে পড়েছে।’