১১ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে জেকেজির সাবরিনার আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩: ০৩
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪: ০৬

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণার দায়ে ১১ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হোসাইন ওরফে সাবরিনা চৌধুরী আপিল করেছেন। আজ মঙ্গলবার সাবরিনার পক্ষে তাঁর আইনজীবী ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন।

ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফসা জুমা আপিলের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এর আগে গত ২৩ আগস্ট সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী আপিল করেন। বাকি ছয়জন বিভিন্ন তারিখে আপিল করেন। প্রত্যেকের আপিলের গ্রহণযোগ্যতা শোনানোর জন্য একই দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে গত ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ডা. সাবরিনা ও তাঁর স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা রিমা। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়। আসামিদের প্রত্যেককে করা জরিমানার ১১ হাজার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত ১১ মাস কারা ভোগ করতে হবে বলে বলা হয়।

আদালত রায়ে বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রদত্ত সাজা একটির পর আরেকটি চলবে। এ কারণে প্রত্যেকের ১১ বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। তবে আসামিরা যত দিন কারাগারে রয়েছেন, সাজার মেয়াদ থেকে ওই দিনগুলো বাদ যাবে।

উল্লেখ্য, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথ কেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশির ভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এই অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেকেজিকে ৪৪টি বুথ স্থাপন করে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, শুরুর দিকে চুক্তি অনুযায়ী তারা বিনা মূল্যে নমুনা সংগ্রহ করে তা সরকারনির্ধারিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাচ্ছিল। তবে কিছুদিন পর বাসা থেকে ৫ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে পরীক্ষা করতে শুরু করে। একপর্যায়ে নমুনা পরীক্ষা না করেই তারা প্রতিবেদন দেয়। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা ল্যাপটপে এমন ১৫ হাজার ভুয়া সনদ পায় পুলিশ।

 ২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত