হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই যাত্রীর রেক্টাম ও এমিরেটস এয়ারলাইনসের সিটে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সুমন (৪১) ও আমিন অর রশিদ (২১)।

বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় ওই দুই যাত্রীকে ৪৬৪ গ্রাম ওজনের চারটি স্বর্ণের বার এবং ১৯৬ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ জব্দ করা হয়। অপরদিকে ওই রাতেই দুবাই থেকে ঢাকায় আগত এমিরেটস এয়ারলাইনসের ৩৫ডি এবং ৩৫জি নম্বর সিট থেকে ২ দশমিক ৩৪ কেজি পেস্ট (তরল) জাতীয় স্বর্ণ উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টমস হাউস, শুল্ক গোয়েন্দা ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। এতে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) ও অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটিসহ (অ্যাভসেক) অন্যান্য সংস্থাও সহযোগিতা করে।

সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাফিস আমিন রিজভী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুবাই থেকে দুই যাত্রীর রেক্টামে করে এবং সিটের মধ্যে সু-কৌশলে স্বর্ণের চোরাচালান হবে এমন তথ্যে পায় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। পরবর্তীতে এপিবিএন বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আমরা শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে এমিরেটস এয়ারলাইনস থেকে ওই দুই যাত্রীকে শনাক্ত করি। ওই যাত্রীরা রেক্টাম থেকে স্বর্ণ বের করে নিয়ে আসার সময় হাতেনাতে তাঁদের আটক করে শুল্ক গোয়েন্দারা। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৪৬৪ গ্রাম ওজনের চারটি স্বর্ণের বার এবং ১৯৬ গ্রাম স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অপর এক তথ্যের ভিত্তিতে তাদের দুজনের সিট ৩৫ডি ও ৩৫ জি’তে রামেজিং করে সু-কৌশলে লুকায়িত অবস্থায় স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ১০টি ছেটি ছোট প্যাকেট পাওয়া যায়। এসব প্যাকেট থেকে পেস্ট সদৃশ ২ দশমিক ৩৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়।’

রাজস্ব কর্মকর্তা নাফিস আমিন রিজভী এবং এপিবিএনএর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের কাছ থেকে ও বিমানের সিট থেকে মোট তিন কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। এসব স্বর্ণগুলো পাচারের উদ্দেশ্যেই সু-কৌশলে নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় শনিবার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে শুল্ক আইনেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।