গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভাবির বিরুদ্ধে দেবরকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন নিহতের মা। ঘটনাটি ঘটেছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের উজিরের পাড়া বাইগুনী গ্রামে।
জানা গেছে, থানা প্রথমে মামলা না নিলে নিহতের মা আদালতে অভিযোগ দেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানাকে মামলা নিয়ে আগামী ৪ অক্টোবর গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে থানাকে আদেশ দেন। আদেশের পর গোবিন্দগঞ্জ থানায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের উজিরের পাড়া বাইগুনী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক ব্যাপারীর স্ত্রী পারুল বেগমের বড় ছেলে আব্দুল ওহাব ব্যাপারী প্রায় ১০ বছর ধরে দুবাই প্রবাসী। প্রায় আট বছর আগে ছোট ভাই একেএম খোরশেদ আলমকেও দুবাই নিয়ে যান আব্দুল ওহাব। আব্দুল ওহাবের স্ত্রী মরিয়ম সিদ্দিকা শ্বশুরবাড়িতে না থেকে একই গ্রামে আলাদা বাড়ি করে বসবাস করেন। দুবাই থাকাকালীন খোরশেদ তাঁর আয়ের সব টাকা ভাবি মরিয়ম সিদ্দিকার নামে পাঠাতে থাকেন। আড়াই বছর দুবাই থাকার পর খোরশেদ দেশে ফিরে আসেন। খোরশেদের পাঠানো টাকা ফেরত না দিয়ে মরিয়ম সিদ্দিকা তাঁকে তাঁর বাড়িতে থাকতে দেন।
১৩ সেপ্টেম্বর খোরশেদের বিয়ের দিন ধার্য হয়। খোরশেদ বিয়ের খরচের জন্য ভাবি মরিয়ম সিদ্দিকার কাছে গচ্ছিত অর্থ থেকে ২ লাখ টাকা চাইলে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। মরিয়ম সিদ্দিকা বিয়ের বিরোধিতা করেন এবং গচ্ছিত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া টাকা চাওয়ায় মরিয়মের ছেলে মাহমুদুল হাসান ব্যাপারী ওরফে মানিক ও মেয়ে হীরা খাতুন চাচা খোরশেদকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। তাতেও কাজ না হলে মানিক ক্ষুব্ধ হয়ে চাচা খোরশেদের মালিকানাধীন মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন।
এরই একপর্যায়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মরিয়ম সিদ্দিকা তার ভাই ওয়াজেদ আলী, ছেলে মানিক এবং মেয়ে হীরাকে সঙ্গে নিয়ে খোরশেদকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বাড়ির ছাদে নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা খোরশেদের মুখ, হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করতে থাকেন। এতে খোরশেদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রচার চালায়। মরদেহের গোসল করার সময় আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীরা শরীরে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে পারুল বেগমকে জানায়। তখন তিনি মরদেহ দাফনে আপত্তি জানান। তখন মরিয়ম সিদ্দিকা ও ভাই ওয়াজেদ আলী প্রতিবেশীদের ভুল বুঝিয়ে দ্রুত মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেন।
বিধবা পারুল বেগমের অভিযোগ, তাঁর ছোট ছেলে খোরশেদ আলমকে হত্যার পর ঘটনা আড়াল করতে বড় ছেলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম তাঁর লোকজন দিয়ে তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করেছেন। এই ঘটনায় থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে আদালতে মামলা করতে বলে। পারুল বেগম ঘটনার ১৪ দিন পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মরিয়ম সিদ্দিকা (৪৫), নাতি মাহমুদুল হাসান ব্যাপারী ওরফে মানিক (২৪), নাতনি হীরা খাতুন (২০) ও মরিয়ম সিদ্দিকার ভাই ওয়াজেদ আলী সরকারকে (৩৮) আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোবিন্দগঞ্জ (চৌকি) আদালতে মামলার আবেদন করেন। বিচারক পার্থ ভদ্র অভিযোগ আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে গোবিন্দগঞ্জ থানাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত ২৮ সেপ্টেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকে বাড়ি তালাবদ্ধ করে সন্তানদের নিয়ে আত্মগোপনে আছেন মরিয়ম সিদ্দিকা।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান বলেন, আদালতের অনুমতি পেলে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভাবির বিরুদ্ধে দেবরকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন নিহতের মা। ঘটনাটি ঘটেছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের উজিরের পাড়া বাইগুনী গ্রামে।
জানা গেছে, থানা প্রথমে মামলা না নিলে নিহতের মা আদালতে অভিযোগ দেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানাকে মামলা নিয়ে আগামী ৪ অক্টোবর গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে থানাকে আদেশ দেন। আদেশের পর গোবিন্দগঞ্জ থানায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের উজিরের পাড়া বাইগুনী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক ব্যাপারীর স্ত্রী পারুল বেগমের বড় ছেলে আব্দুল ওহাব ব্যাপারী প্রায় ১০ বছর ধরে দুবাই প্রবাসী। প্রায় আট বছর আগে ছোট ভাই একেএম খোরশেদ আলমকেও দুবাই নিয়ে যান আব্দুল ওহাব। আব্দুল ওহাবের স্ত্রী মরিয়ম সিদ্দিকা শ্বশুরবাড়িতে না থেকে একই গ্রামে আলাদা বাড়ি করে বসবাস করেন। দুবাই থাকাকালীন খোরশেদ তাঁর আয়ের সব টাকা ভাবি মরিয়ম সিদ্দিকার নামে পাঠাতে থাকেন। আড়াই বছর দুবাই থাকার পর খোরশেদ দেশে ফিরে আসেন। খোরশেদের পাঠানো টাকা ফেরত না দিয়ে মরিয়ম সিদ্দিকা তাঁকে তাঁর বাড়িতে থাকতে দেন।
১৩ সেপ্টেম্বর খোরশেদের বিয়ের দিন ধার্য হয়। খোরশেদ বিয়ের খরচের জন্য ভাবি মরিয়ম সিদ্দিকার কাছে গচ্ছিত অর্থ থেকে ২ লাখ টাকা চাইলে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। মরিয়ম সিদ্দিকা বিয়ের বিরোধিতা করেন এবং গচ্ছিত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া টাকা চাওয়ায় মরিয়মের ছেলে মাহমুদুল হাসান ব্যাপারী ওরফে মানিক ও মেয়ে হীরা খাতুন চাচা খোরশেদকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। তাতেও কাজ না হলে মানিক ক্ষুব্ধ হয়ে চাচা খোরশেদের মালিকানাধীন মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন।
এরই একপর্যায়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মরিয়ম সিদ্দিকা তার ভাই ওয়াজেদ আলী, ছেলে মানিক এবং মেয়ে হীরাকে সঙ্গে নিয়ে খোরশেদকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বাড়ির ছাদে নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা খোরশেদের মুখ, হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করতে থাকেন। এতে খোরশেদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রচার চালায়। মরদেহের গোসল করার সময় আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীরা শরীরে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে পারুল বেগমকে জানায়। তখন তিনি মরদেহ দাফনে আপত্তি জানান। তখন মরিয়ম সিদ্দিকা ও ভাই ওয়াজেদ আলী প্রতিবেশীদের ভুল বুঝিয়ে দ্রুত মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেন।
বিধবা পারুল বেগমের অভিযোগ, তাঁর ছোট ছেলে খোরশেদ আলমকে হত্যার পর ঘটনা আড়াল করতে বড় ছেলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম তাঁর লোকজন দিয়ে তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করেছেন। এই ঘটনায় থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে আদালতে মামলা করতে বলে। পারুল বেগম ঘটনার ১৪ দিন পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মরিয়ম সিদ্দিকা (৪৫), নাতি মাহমুদুল হাসান ব্যাপারী ওরফে মানিক (২৪), নাতনি হীরা খাতুন (২০) ও মরিয়ম সিদ্দিকার ভাই ওয়াজেদ আলী সরকারকে (৩৮) আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোবিন্দগঞ্জ (চৌকি) আদালতে মামলার আবেদন করেন। বিচারক পার্থ ভদ্র অভিযোগ আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে গোবিন্দগঞ্জ থানাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত ২৮ সেপ্টেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকে বাড়ি তালাবদ্ধ করে সন্তানদের নিয়ে আত্মগোপনে আছেন মরিয়ম সিদ্দিকা।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান বলেন, আদালতের অনুমতি পেলে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৬ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৬ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৬ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২০ দিন আগে