শিপুল ইসলাম, রংপুর
১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে প্রতিবেশী যুবক। এ ঘটনায় আদালতে গিয়ে মামলা করেন কিশোরীর মা। এরপরই মীমাংসার জন্য উঠেপড়ে লাগেন অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে মাকে রংপুরে ডেকে নেয় তাঁরা। পরে তাঁর অজান্তেই একটি শপিং ব্যাগে জাল টাকা ও গাঁজা ভরে হাতে দিয়ে মেয়ের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়। এরপরই পুলিশে খবর দিয়ে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করানো এবং মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৮ মার্চ রংপুর নগরীর পৌরবাজার এলাকায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় অপহৃত কিশোরীর বাবা মেয়েকে ফেরতসহ নির্দোষ স্ত্রীর কারামুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন।
ঘটনার আসল রহস্য উদ্ঘাটনে জন্য রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জাল টাকা ও গাঁজা দিয়ে ওই নারীকে ফাঁসানোর প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় প্রতারক চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে ওই নারীকে জাল টাকা ও গাঁজা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। সকল সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে কোর্ট ওই নারীকে অব্যাহতি দেবেন।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও ছবির হোসেন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে জাল টাকার বাক্স, দুটি মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীরা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বাসিন্দা। অপহরণের শিকার কিশোরীর বাবা পেশায় নৈশপ্রহরী, তাঁর স্ত্রী বাড়িতেই দরজির (কাপড় সেলাই) কাজ করেন। পাঁচ সদস্যদের অভাবের সংসারে কিশোরী মেয়েকে পড়াশোনা করাতে স্থানীয় বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করান।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২২) তার মেয়েকে অপহরণ করেন। ঘটনার ৬ দিন পর ২ মার্চ কিশোরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে ৪ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ নীলফামারীতে মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরীর মা। মামলা চলাকালীন প্রতিপক্ষের লোকজন মামলা উঠিয়ে নিতে নানাভাবে আপসের চেষ্টা করে। কিন্তু ওই পরিবার থেকে আপস করতে রাজি না হলে, নানা ছক কষতে থাকে প্রতিপক্ষরা।
এ বিষয়ে অপহৃত কিশোরীর বাবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ের সন্ধান চেয়ে প্রশাসনের প্রতি আকুতি জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি। অপহৃতা মেয়েকে রংপুরে পাওয়া গেছে এমন সংবাদ দিয়ে আমার সহজ-সরল স্ত্রীকে গ্রাম থেকে নিয়ে শহরে আসেন লাভলু মিয়া। পরে কৌশলে একটি শপিং ব্যাগ সেলিনার হাতে ধরিয়ে দিয়ে সটকে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ আমার স্ত্রীকে আটক করে ওই শপিং ব্যাগ থেকে ২৫ গ্রাম গাঁজা ও ১০ হাজার জাল টাকার নোট উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় বর্তমানে আমার স্ত্রী কারাগারে রয়েছে। আমার স্ত্রীর মুক্তি ও মেয়েকে উদ্ধার চাই। যারা আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে, আমার স্ত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে, আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৮ মার্চ নগরীর পৌর মার্কেটের সামনে থেকে একজন নারীকে ২৫ গ্রাম গাঁজা ও ১০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরে জানতে পারি ওই নারীকে ফাঁসানো হয়েছে, এর পেছনে অন্য কাহিনি আছে। এরপর আমরা সেটি নিয়ে ইনভেস্টিগেশন শুরু করি। এবং ইনভেস্টিগেশন শুরু করতে গিয়ে আমরা তাঁর সত্যতা পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই নারীকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এই প্ল্যানটাকে পুরোটাই আইডেনটিফাই করেছি। যারা যারা সম্পৃক্ত আছে তাদেরকেও আইডেনটিফাই করছি। তার মধ্যে মূল মাস্টার মাইন্ড দেলোয়ার মাস্টার ও ছবির হোসেন। এ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি, ইন্টারোগেশন চলছে। বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করব। এবং পরবর্তীতে রিমান্ডে নিয়ে এসে এর সঙ্গে কারা জড়িত, তাদেরও আইনের আওতায় আনব।’
এক প্রশ্নের জবাবে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে ওই নারীকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ফাঁসানো হয়েছে। আমরা যখন আমাদের সকল সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারব, তখন ওই নারীর কীভাবে ফাঁসানো হয়েছে সে বিষয়ে আমরা সেভাবেই রিপোর্ট দাখিল করব। কোর্ট তাকে অব্যাহতি দেবে।’
১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে প্রতিবেশী যুবক। এ ঘটনায় আদালতে গিয়ে মামলা করেন কিশোরীর মা। এরপরই মীমাংসার জন্য উঠেপড়ে লাগেন অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে মাকে রংপুরে ডেকে নেয় তাঁরা। পরে তাঁর অজান্তেই একটি শপিং ব্যাগে জাল টাকা ও গাঁজা ভরে হাতে দিয়ে মেয়ের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়। এরপরই পুলিশে খবর দিয়ে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করানো এবং মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৮ মার্চ রংপুর নগরীর পৌরবাজার এলাকায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় অপহৃত কিশোরীর বাবা মেয়েকে ফেরতসহ নির্দোষ স্ত্রীর কারামুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন।
ঘটনার আসল রহস্য উদ্ঘাটনে জন্য রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জাল টাকা ও গাঁজা দিয়ে ওই নারীকে ফাঁসানোর প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় প্রতারক চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে ওই নারীকে জাল টাকা ও গাঁজা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। সকল সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে কোর্ট ওই নারীকে অব্যাহতি দেবেন।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও ছবির হোসেন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে জাল টাকার বাক্স, দুটি মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীরা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বাসিন্দা। অপহরণের শিকার কিশোরীর বাবা পেশায় নৈশপ্রহরী, তাঁর স্ত্রী বাড়িতেই দরজির (কাপড় সেলাই) কাজ করেন। পাঁচ সদস্যদের অভাবের সংসারে কিশোরী মেয়েকে পড়াশোনা করাতে স্থানীয় বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করান।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২২) তার মেয়েকে অপহরণ করেন। ঘটনার ৬ দিন পর ২ মার্চ কিশোরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে ৪ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ নীলফামারীতে মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরীর মা। মামলা চলাকালীন প্রতিপক্ষের লোকজন মামলা উঠিয়ে নিতে নানাভাবে আপসের চেষ্টা করে। কিন্তু ওই পরিবার থেকে আপস করতে রাজি না হলে, নানা ছক কষতে থাকে প্রতিপক্ষরা।
এ বিষয়ে অপহৃত কিশোরীর বাবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ের সন্ধান চেয়ে প্রশাসনের প্রতি আকুতি জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি। অপহৃতা মেয়েকে রংপুরে পাওয়া গেছে এমন সংবাদ দিয়ে আমার সহজ-সরল স্ত্রীকে গ্রাম থেকে নিয়ে শহরে আসেন লাভলু মিয়া। পরে কৌশলে একটি শপিং ব্যাগ সেলিনার হাতে ধরিয়ে দিয়ে সটকে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ আমার স্ত্রীকে আটক করে ওই শপিং ব্যাগ থেকে ২৫ গ্রাম গাঁজা ও ১০ হাজার জাল টাকার নোট উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় বর্তমানে আমার স্ত্রী কারাগারে রয়েছে। আমার স্ত্রীর মুক্তি ও মেয়েকে উদ্ধার চাই। যারা আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে, আমার স্ত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে, আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৮ মার্চ নগরীর পৌর মার্কেটের সামনে থেকে একজন নারীকে ২৫ গ্রাম গাঁজা ও ১০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরে জানতে পারি ওই নারীকে ফাঁসানো হয়েছে, এর পেছনে অন্য কাহিনি আছে। এরপর আমরা সেটি নিয়ে ইনভেস্টিগেশন শুরু করি। এবং ইনভেস্টিগেশন শুরু করতে গিয়ে আমরা তাঁর সত্যতা পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই নারীকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এই প্ল্যানটাকে পুরোটাই আইডেনটিফাই করেছি। যারা যারা সম্পৃক্ত আছে তাদেরকেও আইডেনটিফাই করছি। তার মধ্যে মূল মাস্টার মাইন্ড দেলোয়ার মাস্টার ও ছবির হোসেন। এ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি, ইন্টারোগেশন চলছে। বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করব। এবং পরবর্তীতে রিমান্ডে নিয়ে এসে এর সঙ্গে কারা জড়িত, তাদেরও আইনের আওতায় আনব।’
এক প্রশ্নের জবাবে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে ওই নারীকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ফাঁসানো হয়েছে। আমরা যখন আমাদের সকল সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারব, তখন ওই নারীর কীভাবে ফাঁসানো হয়েছে সে বিষয়ে আমরা সেভাবেই রিপোর্ট দাখিল করব। কোর্ট তাকে অব্যাহতি দেবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৬ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৬ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৬ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২০ দিন আগে