জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় না খুললে ১ অক্টোবরের মধ্যে আবাসিক হলে ওঠার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে’ অনুষ্ঠিত মশাল মিছিল শেষে এ মন্তব্য করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।
সরেজমিনে জানা যায়, মিছিলটি ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার থেকে আরম্ভ হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। মশাল মিছিলে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, হল খোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। অথচ প্রশাসন ব্যর্থ হয়ে আবারও ১৫ দিনের সময় চাচ্ছে। এটি ছাত্রদের হতাশ করেছে। কারণ এই প্রশাসন দুই ঘণ্টার নোটিশে হল ভ্যাকেন্টের সামর্থ্য দেখালেও হল খুলতে গড়িমসি করছে।
জাবি সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল রনি বলেন, হল খোলার ব্যাপারে প্রশাসনের গড়িমসি নিন্দনীয়। প্রশাসনের কাজে বোঝা যাচ্ছে তাঁরা কোনোমতে এ বছরের শেষে ক্যাম্পাস খুলতে চান। যত দিনে বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হবে এবং বর্তমান উন্নয়ন প্রকল্পের ৬২৫ কোটি টাকার টেন্ডার নির্বিঘ্নে শেষ হবে ততক্ষণ তাঁরা অপেক্ষা করতে চান। তবে আমরা স্পষ্ট বলতে চাই যে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা না হলে ১ অক্টোবরে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীরা হলে উঠবে। এর জন্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দায় প্রশাসনকে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শোভন রহমান বলেন, আমাদের অত্যন্ত স্পষ্ট দাবি হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল খুলে দেওয়া। এর পরে আর একদিনও হলের বাইরে শিক্ষার্থীরা থাকবে না।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান শুভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮টি বিভাগ ইনস্টিটিউটের মধ্যে ৩৪টি বিভাগ তথ্য দিয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি অর্ধেক শিক্ষার্থী ২ ডোজ, অর্ধেক ১ ডোজ এবং বাদবাকি নিবন্ধন করেছে। এর বাইরে কিছু শিক্ষার্থী আইডি কার্ডের কারণে নিবন্ধন করতে পারেনি। যে সংখ্যাটি মুষ্টিমেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্যমতে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী টিকার বাইরে আছে তাদের টিকা দিতে একদিনও লাগবে না। ফলে এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে কোনো টালবাহানা শিক্ষার্থীরা মানবে না।
এর আগে আজ দুপুরে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হকের সঙ্গে দেখা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম সশরীরে চালুসহ ১ অক্টোবরের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়ার দাবি জানায় ছাত্রলীগ।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্দেশনায় জাহাঙ্গীরনগর ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কাজ করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় করোনার কারণে হলের বাইরে অবস্থান করেছি। তবে এখন সংক্রমণ কমে আসায় আমরা সশরীরে ক্লাসে ফিরতে চাই। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অতি দ্রুত হলে ফিরে যেতে আজকে দাবি নিয়ে এসেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান, বায়েজিদ রানা কলিন্স, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফফান হোসেন আপন, সাংগঠনিক সম্পাদক পঙ্কজ ও ইসমাইল, রাফা, আলী, ইমরান, সোহেল, তৃষা, এনাম, আরিফ, আলম, সুজন, আবির, আসাদ, চিন্ময়, রাশেদ প্রমুখ।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর টিকা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তারপর টিকা প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হলে তো সাত-আট দিন লাগবে। টিকা ছাড়াই যদি হলে ওঠানো যেতো তাহলে কেন এত দিন বন্ধ রাখলাম? অন্তত এক ডোজ টিকা নিতেই হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। হল খুলে দেওয়ার পর যাতে আবার বন্ধ করতে না হয় সে জন্য শিক্ষার্থীদের ১৫ দিন ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় না খুললে ১ অক্টোবরের মধ্যে আবাসিক হলে ওঠার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে’ অনুষ্ঠিত মশাল মিছিল শেষে এ মন্তব্য করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।
সরেজমিনে জানা যায়, মিছিলটি ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার থেকে আরম্ভ হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। মশাল মিছিলে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, হল খোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। অথচ প্রশাসন ব্যর্থ হয়ে আবারও ১৫ দিনের সময় চাচ্ছে। এটি ছাত্রদের হতাশ করেছে। কারণ এই প্রশাসন দুই ঘণ্টার নোটিশে হল ভ্যাকেন্টের সামর্থ্য দেখালেও হল খুলতে গড়িমসি করছে।
জাবি সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল রনি বলেন, হল খোলার ব্যাপারে প্রশাসনের গড়িমসি নিন্দনীয়। প্রশাসনের কাজে বোঝা যাচ্ছে তাঁরা কোনোমতে এ বছরের শেষে ক্যাম্পাস খুলতে চান। যত দিনে বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হবে এবং বর্তমান উন্নয়ন প্রকল্পের ৬২৫ কোটি টাকার টেন্ডার নির্বিঘ্নে শেষ হবে ততক্ষণ তাঁরা অপেক্ষা করতে চান। তবে আমরা স্পষ্ট বলতে চাই যে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা না হলে ১ অক্টোবরে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীরা হলে উঠবে। এর জন্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দায় প্রশাসনকে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শোভন রহমান বলেন, আমাদের অত্যন্ত স্পষ্ট দাবি হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল খুলে দেওয়া। এর পরে আর একদিনও হলের বাইরে শিক্ষার্থীরা থাকবে না।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান শুভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮টি বিভাগ ইনস্টিটিউটের মধ্যে ৩৪টি বিভাগ তথ্য দিয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি অর্ধেক শিক্ষার্থী ২ ডোজ, অর্ধেক ১ ডোজ এবং বাদবাকি নিবন্ধন করেছে। এর বাইরে কিছু শিক্ষার্থী আইডি কার্ডের কারণে নিবন্ধন করতে পারেনি। যে সংখ্যাটি মুষ্টিমেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্যমতে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী টিকার বাইরে আছে তাদের টিকা দিতে একদিনও লাগবে না। ফলে এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে কোনো টালবাহানা শিক্ষার্থীরা মানবে না।
এর আগে আজ দুপুরে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হকের সঙ্গে দেখা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম সশরীরে চালুসহ ১ অক্টোবরের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়ার দাবি জানায় ছাত্রলীগ।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্দেশনায় জাহাঙ্গীরনগর ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কাজ করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় করোনার কারণে হলের বাইরে অবস্থান করেছি। তবে এখন সংক্রমণ কমে আসায় আমরা সশরীরে ক্লাসে ফিরতে চাই। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অতি দ্রুত হলে ফিরে যেতে আজকে দাবি নিয়ে এসেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান, বায়েজিদ রানা কলিন্স, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফফান হোসেন আপন, সাংগঠনিক সম্পাদক পঙ্কজ ও ইসমাইল, রাফা, আলী, ইমরান, সোহেল, তৃষা, এনাম, আরিফ, আলম, সুজন, আবির, আসাদ, চিন্ময়, রাশেদ প্রমুখ।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর টিকা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তারপর টিকা প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হলে তো সাত-আট দিন লাগবে। টিকা ছাড়াই যদি হলে ওঠানো যেতো তাহলে কেন এত দিন বন্ধ রাখলাম? অন্তত এক ডোজ টিকা নিতেই হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। হল খুলে দেওয়ার পর যাতে আবার বন্ধ করতে না হয় সে জন্য শিক্ষার্থীদের ১৫ দিন ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের সব বিষয়ের পরীক্ষায় ৩০ মিনিট করে সময় বাড়ানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেদেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে নতুন প্রায় ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়গুলোয় মিড-ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া, বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন চার স্তরে করা, পঞ্চম শ্রেণিতে আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
৬ ঘণ্টা আগে