নাজমুল হোসেন, কুড়িগ্রাম
দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কুড়িগ্রামে প্রায় ৫০ হাজার শিশু ঝরে পড়েছে। ঝরে পড়া শিশুদের একটি বড় অংশ শিকার হয়েছে বাল্যবিয়ের। এ ছাড়া শিশুশ্রম, দারিদ্র্য, নদী ভাঙন ও স্থানান্তরিত বা বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণেও বহু শিশু ঝরে গেছে। আজ রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর কন্যাশিশুর অনুপস্থিতির কারণ খুঁজতে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, আমরা সদরের পাঁচটি স্কুল পর্যবেক্ষণ করেছি। এই স্কুলগুলোতে ৬৩টি মেয়েশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গড়ে শতকরা ১৩ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। ঝরে পড়া কন্যাশিশুদের অধিকাংশই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। এ হিসাবে জেলায় গত দেড় বছরে ঝরে পড়া শিশুশিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।
শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, আজ উলিপুর ও চিলমারীতে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরে দেখেছি। শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশের মতো। অন্য স্কুলগুলোতে ঝরে পড়া ও বাল্যবিয়ের শিকার কন্যাশিশুদের প্রকৃত তথ্য নিতে উপজেলাগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দুএকদিনের মধ্যে সার্বিক চিত্রটা বোঝা যাবে।
আজ সকাল থেকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শতকরা ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ শিশু স্কুলে এসেছে। ২০ থেকে ২৫ ভাগ শিশু প্রতিষ্ঠানে আসেনি। তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক কারণে ঝরে পড়ার সংখ্যাই বেশি বলে জানিয়েছেন শিক্ষক-অভিভাবকেরা। এ ছাড়া বাল্যবিয়ের কারণেও অনেক শিশু ঝরে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ শিক্ষার্থী, ঘোগাদহ মালেকা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৬, কাঁঠালবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৪ এবং বারউল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ জনসহ পাঁচটি বিদ্যালয়ে মোট ৯১টি কন্যাশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শুধু দশম শ্রেণিতে ১২ জনসহ প্রায় ৩০ জনের বাল্যবিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক শিক্ষক।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই বিদ্যালয়ে লকডাউনের আগে সপ্তম শ্রেণিতে উপস্থিতি ছিল ৫০ জন। আজ উপস্থিত হয়েছে ৪৩ জন, নবম শ্রেণিতে আগে ছিল ৩১ জন আজ ২২ জন, দশম শ্রেণিতে আগে ২৫ জন আজ ১৭ জন, এসএসসি পরীক্ষার্থী আগে ২৪ জন আর আজ উপস্থিত ছিল ১৯ জন।
এসএসসি পরীক্ষার্থী জান্নাতুন জানায়, তার ক্লাসের পাঁচ জন সহপাঠী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। দশম শ্রেণির সোহানা জানায়, তার দুই বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে।
এসএসসি পরীক্ষার্থী আইরিনের অনেক বান্ধবীও এই লকডাউনের মধ্যে শ্বশুরবাড়ি চলে গেছে। আইরিন বলে, লকডাউনে আমরা পরিবারের কাছে যেন বোঝা হয়ে ছিলাম। কোথাও বাইরে যেতে দেওয়া হতো না। প্রাইভেট পড়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অনেক বান্ধবীকে তাদের বাবা-মা বোঝা মনে করে বিয়ে দিয়েছে। তারা পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতির শিকার হয়েছে তারা।
এই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করলে জানতে পারবো কত শিশু ঝরে পড়েছে। এর কারণগুলোও আমরা খুঁজে বের করবো। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা এমন সমস্যায় পড়তে না হয়।
যাত্রাপুর চাকেন্দা খানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় একই চিত্র। সপ্তম থেকে এসএসসি পর্যন্ত প্রায় আটজনের বিয়ে হয়েছে বলে জানায় শিক্ষার্থী আমিনা, সালমা ও নাজমিন।
এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ের পরিসংখ্যান এখনো আমরা পাইনি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আসুক, তাঁদের সঙ্গে কথা জানা যাবে।
দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কুড়িগ্রামে প্রায় ৫০ হাজার শিশু ঝরে পড়েছে। ঝরে পড়া শিশুদের একটি বড় অংশ শিকার হয়েছে বাল্যবিয়ের। এ ছাড়া শিশুশ্রম, দারিদ্র্য, নদী ভাঙন ও স্থানান্তরিত বা বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণেও বহু শিশু ঝরে গেছে। আজ রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর কন্যাশিশুর অনুপস্থিতির কারণ খুঁজতে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, আমরা সদরের পাঁচটি স্কুল পর্যবেক্ষণ করেছি। এই স্কুলগুলোতে ৬৩টি মেয়েশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গড়ে শতকরা ১৩ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। ঝরে পড়া কন্যাশিশুদের অধিকাংশই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। এ হিসাবে জেলায় গত দেড় বছরে ঝরে পড়া শিশুশিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।
শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, আজ উলিপুর ও চিলমারীতে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরে দেখেছি। শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশের মতো। অন্য স্কুলগুলোতে ঝরে পড়া ও বাল্যবিয়ের শিকার কন্যাশিশুদের প্রকৃত তথ্য নিতে উপজেলাগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দুএকদিনের মধ্যে সার্বিক চিত্রটা বোঝা যাবে।
আজ সকাল থেকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শতকরা ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ শিশু স্কুলে এসেছে। ২০ থেকে ২৫ ভাগ শিশু প্রতিষ্ঠানে আসেনি। তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক কারণে ঝরে পড়ার সংখ্যাই বেশি বলে জানিয়েছেন শিক্ষক-অভিভাবকেরা। এ ছাড়া বাল্যবিয়ের কারণেও অনেক শিশু ঝরে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ শিক্ষার্থী, ঘোগাদহ মালেকা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৬, কাঁঠালবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৪ এবং বারউল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ জনসহ পাঁচটি বিদ্যালয়ে মোট ৯১টি কন্যাশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শুধু দশম শ্রেণিতে ১২ জনসহ প্রায় ৩০ জনের বাল্যবিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক শিক্ষক।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই বিদ্যালয়ে লকডাউনের আগে সপ্তম শ্রেণিতে উপস্থিতি ছিল ৫০ জন। আজ উপস্থিত হয়েছে ৪৩ জন, নবম শ্রেণিতে আগে ছিল ৩১ জন আজ ২২ জন, দশম শ্রেণিতে আগে ২৫ জন আজ ১৭ জন, এসএসসি পরীক্ষার্থী আগে ২৪ জন আর আজ উপস্থিত ছিল ১৯ জন।
এসএসসি পরীক্ষার্থী জান্নাতুন জানায়, তার ক্লাসের পাঁচ জন সহপাঠী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। দশম শ্রেণির সোহানা জানায়, তার দুই বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে।
এসএসসি পরীক্ষার্থী আইরিনের অনেক বান্ধবীও এই লকডাউনের মধ্যে শ্বশুরবাড়ি চলে গেছে। আইরিন বলে, লকডাউনে আমরা পরিবারের কাছে যেন বোঝা হয়ে ছিলাম। কোথাও বাইরে যেতে দেওয়া হতো না। প্রাইভেট পড়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অনেক বান্ধবীকে তাদের বাবা-মা বোঝা মনে করে বিয়ে দিয়েছে। তারা পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতির শিকার হয়েছে তারা।
এই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করলে জানতে পারবো কত শিশু ঝরে পড়েছে। এর কারণগুলোও আমরা খুঁজে বের করবো। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা এমন সমস্যায় পড়তে না হয়।
যাত্রাপুর চাকেন্দা খানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় একই চিত্র। সপ্তম থেকে এসএসসি পর্যন্ত প্রায় আটজনের বিয়ে হয়েছে বলে জানায় শিক্ষার্থী আমিনা, সালমা ও নাজমিন।
এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ের পরিসংখ্যান এখনো আমরা পাইনি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আসুক, তাঁদের সঙ্গে কথা জানা যাবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের সব বিষয়ের পরীক্ষায় ৩০ মিনিট করে সময় বাড়ানো হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেদেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে নতুন প্রায় ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়গুলোয় মিড-ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া, বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন চার স্তরে করা, পঞ্চম শ্রেণিতে আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
১৭ ঘণ্টা আগে