প্রশ্ন: বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি কখন থেকে নেওয়া শুরু করলেন?
মিহির: ২০১৯ সাল থেকে আমি চাকরির প্রস্তুতির জন্য পড়াশোনা শুরু করি। বড় দুই ভাই বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁদের দেখেই অনুপ্রাণিত হই এবং আদাজল খেয়ে পড়াশোনা শুরু করি।
প্রশ্ন: বিসিএস কতবার দিয়ে সফল হলেন?
মিহির: ৪৩তম বিসিএস ছিল আমার প্রথম বিসিএস। প্রথমবার সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি সাধারণ শিক্ষা (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) ক্যাডারে। সামনে আরও ফলের অপেক্ষায় আছি, দেখা যাক কী হয়!
প্রশ্ন: চাকরি পাওয়ার পেছনের গল্প জানতে চাই।
মিহির: পড়াশোনার খরচ জোগাতে পারছিলাম না। তাই ২০১২ সালে নিরাপত্তাপ্রহরী হিসেবে চাকরি নিই। চার বছর এই কাজ করেছিলাম। নিরাপত্তাপ্রহরীর কাজ করেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস করেছি, বিভিন্ন কোচিংয়ে ক্লাস নিয়েছি। দিনের বেশির ভাগ সময় পড়াশোনা, চাকরি ও ক্লাস নেওয়ার পেছনেই ব্যয় করেছি। অবসর উপভোগ করতে পারিনি। পরের দিকে নিরাপত্তাপ্রহরীর চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় খানিক সময় পাই। সে সময়ে টিউশনের সংখ্যা বাড়িয়েছি। এমনকি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গিয়েও ক্লাস নিয়েছি। নিজের লেখা বইও প্রকাশ করেছি। এত কষ্ট করেও স্বপ্ন ছিল একটি সরকারি চাকরি। কখনোই ভাবিনি প্রথম শ্রেণির একজন সরকারি কর্মকর্তা হতে পারব।
প্রশ্ন: বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ভালো করতে কিছু টেকনিক জানান।
মিহির: বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিতে সাধারণ জ্ঞান অংশের জন্য ‘মিহির’স জিকে’ বা ‘মিহির’স জিকে ফাইনাল সাজেশন’ বই দুটি বেশ সহায়ক হতে পারে। এগুলো পড়লে পরীক্ষায় অনেকটাই কমন পড়বে বলে আশা করা যায়। ইংরেজির জন্য বাজারে প্রচলিত একটি ইংরেজি সাহিত্যের বই অনুশীলন করতে হবে। ইংরেজি বিষয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন বিশেষ করে পাঁচটি পিরিয়ড নিয়ে ভালোমতো পড়তে হবে। এ ছাড়া কয়েকজন লেখক আছেন, যাঁদের বইগুলো পড়লেও ইংরেজি প্রস্তুতি ভালো হয়ে যাবে। বাংলার জন্য সাহিত্য ও ব্যাকরণ—দুটো অংশই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাকরণের জন্য বাজারে প্রচলিত যেকোনো বই থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো চর্চা করতে হবে। আর সাহিত্য অংশে অনেক সময় গল্প, উপন্যাস ও নাটকের চরিত্র থেকেও প্রশ্ন আসে। এ জন্য বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য লেখকের লেখাসহ আরও কিছু উপন্যাস বা নাটক আয়ত্তে রাখতে হবে। মানসিক দক্ষতার জন্য লিখিত ও প্রিলিমিনারি পর্যায়ের ৩৫ থেকে ৪৫ পর্যন্ত প্রশ্ন দেখলেই হয়ে যায়। বিজ্ঞান ও কম্পিউটারের জন্য বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে দেখতে পারেন। তা ছাড়া কিছু বিষয় থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন আসে। ওই বিষয়গুলোর জন্য বাজারে প্রচলিত একটি বই পড়লেই হয়ে যাবে। সবশেষ একটি পরামর্শ হচ্ছে, পরীক্ষার হলে অনেকে উত্তর দাগাতে ভয় পাওয়ার জন্য পাস করতে পারে না, ভয় পাওয়া যাবে না; ঝুঁকি নিতে হবে।
প্রশ্ন: আপনার লেখালেখি নিয়ে বলুন।
মিহির: ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একজন ভাইয়ের সঙ্গে সহযোগী লেখক হিসেবে কাজ করেছি। তা ছাড়া বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের জন্য শিট ও বইও লিখতাম। এরই ধারাবাহিকতায় মনে হয়েছে, এত কষ্ট করে জীবনে চাকরি করছি, পাশাপাশি অন্য মানুষের বই লেখার জন্যও প্রচুর সময় দিচ্ছি; তবে ওই সময় কাজে লাগিয়ে নিজেও তো একটি বই লিখতে পারি! বই লেখার পর যদি টাকা খরচ হলেও অল্প কিছু সংখ্যা প্রকাশ করা গেলে আমার একটি নতুন পরিচয় সৃষ্টি হয়। মূলত এই ধারণা থেকেই ২০১৬ সালে প্রথম সাজেশন প্রকাশ করি। ২০২২ সালের শুরুতে প্রকাশিত হয় আমার লেখা ‘মিহির’স জিকে’ নামে পূর্ণাঙ্গ বইটি। এ বইয়ের কাজ গোছাতে গিয়েই আমার সাধারণ জ্ঞান অংশের পুরো প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
প্রশ্ন: তরুণদের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ ও আপনার পরিকল্পনা জানান।
মিহির: চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য বলব যে সিভিল সার্ভিস হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ একটি চাকরি। এটি অনেক তরুণের স্বপ্ন। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আরও অনেক চাকরি আছে। সেই চাকরিগুলোতেও আবেদন করবেন, পরীক্ষা দেবেন এবং চেষ্টা করে যাবেন।আর নিজের পরিকল্পনা বলতে আমার এলাকায় শিক্ষা বিস্তার নিয়ে কাজ করতে চাই। পাশাপাশি বাল্যবিবাহসহ আরও কিছু অতি প্রচলিত সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তোলার ইচ্ছেও আছে। সবশেষে প্রজাতন্ত্রে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, অর্পিত সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। ধন্যবাদ। আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রশ্ন: বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি কখন থেকে নেওয়া শুরু করলেন?
মিহির: ২০১৯ সাল থেকে আমি চাকরির প্রস্তুতির জন্য পড়াশোনা শুরু করি। বড় দুই ভাই বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁদের দেখেই অনুপ্রাণিত হই এবং আদাজল খেয়ে পড়াশোনা শুরু করি।
প্রশ্ন: বিসিএস কতবার দিয়ে সফল হলেন?
মিহির: ৪৩তম বিসিএস ছিল আমার প্রথম বিসিএস। প্রথমবার সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি সাধারণ শিক্ষা (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) ক্যাডারে। সামনে আরও ফলের অপেক্ষায় আছি, দেখা যাক কী হয়!
প্রশ্ন: চাকরি পাওয়ার পেছনের গল্প জানতে চাই।
মিহির: পড়াশোনার খরচ জোগাতে পারছিলাম না। তাই ২০১২ সালে নিরাপত্তাপ্রহরী হিসেবে চাকরি নিই। চার বছর এই কাজ করেছিলাম। নিরাপত্তাপ্রহরীর কাজ করেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস করেছি, বিভিন্ন কোচিংয়ে ক্লাস নিয়েছি। দিনের বেশির ভাগ সময় পড়াশোনা, চাকরি ও ক্লাস নেওয়ার পেছনেই ব্যয় করেছি। অবসর উপভোগ করতে পারিনি। পরের দিকে নিরাপত্তাপ্রহরীর চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় খানিক সময় পাই। সে সময়ে টিউশনের সংখ্যা বাড়িয়েছি। এমনকি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গিয়েও ক্লাস নিয়েছি। নিজের লেখা বইও প্রকাশ করেছি। এত কষ্ট করেও স্বপ্ন ছিল একটি সরকারি চাকরি। কখনোই ভাবিনি প্রথম শ্রেণির একজন সরকারি কর্মকর্তা হতে পারব।
প্রশ্ন: বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ভালো করতে কিছু টেকনিক জানান।
মিহির: বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিতে সাধারণ জ্ঞান অংশের জন্য ‘মিহির’স জিকে’ বা ‘মিহির’স জিকে ফাইনাল সাজেশন’ বই দুটি বেশ সহায়ক হতে পারে। এগুলো পড়লে পরীক্ষায় অনেকটাই কমন পড়বে বলে আশা করা যায়। ইংরেজির জন্য বাজারে প্রচলিত একটি ইংরেজি সাহিত্যের বই অনুশীলন করতে হবে। ইংরেজি বিষয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন বিশেষ করে পাঁচটি পিরিয়ড নিয়ে ভালোমতো পড়তে হবে। এ ছাড়া কয়েকজন লেখক আছেন, যাঁদের বইগুলো পড়লেও ইংরেজি প্রস্তুতি ভালো হয়ে যাবে। বাংলার জন্য সাহিত্য ও ব্যাকরণ—দুটো অংশই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাকরণের জন্য বাজারে প্রচলিত যেকোনো বই থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো চর্চা করতে হবে। আর সাহিত্য অংশে অনেক সময় গল্প, উপন্যাস ও নাটকের চরিত্র থেকেও প্রশ্ন আসে। এ জন্য বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য লেখকের লেখাসহ আরও কিছু উপন্যাস বা নাটক আয়ত্তে রাখতে হবে। মানসিক দক্ষতার জন্য লিখিত ও প্রিলিমিনারি পর্যায়ের ৩৫ থেকে ৪৫ পর্যন্ত প্রশ্ন দেখলেই হয়ে যায়। বিজ্ঞান ও কম্পিউটারের জন্য বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে দেখতে পারেন। তা ছাড়া কিছু বিষয় থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন আসে। ওই বিষয়গুলোর জন্য বাজারে প্রচলিত একটি বই পড়লেই হয়ে যাবে। সবশেষ একটি পরামর্শ হচ্ছে, পরীক্ষার হলে অনেকে উত্তর দাগাতে ভয় পাওয়ার জন্য পাস করতে পারে না, ভয় পাওয়া যাবে না; ঝুঁকি নিতে হবে।
প্রশ্ন: আপনার লেখালেখি নিয়ে বলুন।
মিহির: ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একজন ভাইয়ের সঙ্গে সহযোগী লেখক হিসেবে কাজ করেছি। তা ছাড়া বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের জন্য শিট ও বইও লিখতাম। এরই ধারাবাহিকতায় মনে হয়েছে, এত কষ্ট করে জীবনে চাকরি করছি, পাশাপাশি অন্য মানুষের বই লেখার জন্যও প্রচুর সময় দিচ্ছি; তবে ওই সময় কাজে লাগিয়ে নিজেও তো একটি বই লিখতে পারি! বই লেখার পর যদি টাকা খরচ হলেও অল্প কিছু সংখ্যা প্রকাশ করা গেলে আমার একটি নতুন পরিচয় সৃষ্টি হয়। মূলত এই ধারণা থেকেই ২০১৬ সালে প্রথম সাজেশন প্রকাশ করি। ২০২২ সালের শুরুতে প্রকাশিত হয় আমার লেখা ‘মিহির’স জিকে’ নামে পূর্ণাঙ্গ বইটি। এ বইয়ের কাজ গোছাতে গিয়েই আমার সাধারণ জ্ঞান অংশের পুরো প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
প্রশ্ন: তরুণদের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ ও আপনার পরিকল্পনা জানান।
মিহির: চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য বলব যে সিভিল সার্ভিস হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ একটি চাকরি। এটি অনেক তরুণের স্বপ্ন। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আরও অনেক চাকরি আছে। সেই চাকরিগুলোতেও আবেদন করবেন, পরীক্ষা দেবেন এবং চেষ্টা করে যাবেন।আর নিজের পরিকল্পনা বলতে আমার এলাকায় শিক্ষা বিস্তার নিয়ে কাজ করতে চাই। পাশাপাশি বাল্যবিবাহসহ আরও কিছু অতি প্রচলিত সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তোলার ইচ্ছেও আছে। সবশেষে প্রজাতন্ত্রে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, অর্পিত সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। ধন্যবাদ। আপনাকে ধন্যবাদ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের সব বিষয়ের পরীক্ষায় ৩০ মিনিট করে সময় বাড়ানো হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেদেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে নতুন প্রায় ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়গুলোয় মিড-ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া, বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন চার স্তরে করা, পঞ্চম শ্রেণিতে আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
১৬ ঘণ্টা আগে