পোশাক-পরিচ্ছদ
ভালো উপস্থাপনা করার ক্ষেত্রে পোশাকের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। শুরুতে শ্রোতারা পোশাক দেখে মূল্যায়ন করেন, পরে উপস্থাপনা দেখেন। কথায় আছে, আগে দর্শনদারি পরে গুণবিচারি। ভালো পোশাক একজন বক্তাকে শ্রোতার সামনে রুচিশীল হিসেবে উপস্থাপন করবে। ভালো পোশাক মানেই কিন্তু দামি পোশাক নয়; স্থানকালভেদে মানানসই তথা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল পোশাক। ছেলেদের ফরমাল পোশাকে উপস্থাপনা করা উচিত। সাদা অথবা অন্য রঙের ফরমাল শার্ট পরা ভালো। তেমনি এক রঙের ফরমাল প্যান্ট পরতে হবে। টাইয়ের ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য এমন হওয়া উচিত, যাতে টাইয়ের শেষ প্রান্ত প্যান্টের বেল্টের শুরুর অংশকে হালকা স্পর্শ করে। বেল্ট ও জুতার রং একই হওয়া ভালো। শীতকালে স্যুট পরা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে যেন প্যান্ট ও ব্লেজারের রং ভিন্ন না হয়। গ্রহণযোগ্য শৈলী বা স্টাইলে দাড়ি রেখে অভ্যস্ত না হলে ক্লিন শেভ করা ভালো। যাঁরা বড় দাড়ি রাখেন এবং লম্বা জামা পরেন, তাঁরা সে রকম সাজেও উপস্থাপনা করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রেও রুচিশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে হালকা ও একরঙা জামদানি শাড়ি পরা যেতে পারে। পোশাকের কোড উল্লেখ না থাকলে অনেক সময় রুচিসম্মত থ্রিপিস পরেও উপস্থাপনা করা যায়।
প্রস্তুতি ও স্লাইড তৈরি
উপস্থাপনার নির্ধারিত বিষয়ে আগে পড়াশোনা করে নিতে হবে। পড়াশোনা বাদে তা সম্ভব নয়। কথা বলার জন্য নির্ধারিত বিষয়ে গভীর জ্ঞান থাকলে তবেই আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপনা করতে পারবেন। বিপরীতে দুর্বলতা থাকলে কথা বলার সময় ঘাবড়ে যাবেন।
স্লাইট তৈরির সময় মনে রাখতে হবে, আপনি যে টেক্সট ও ইমেজ ব্যবহার করছেন, তা যেন শ্রোতারা স্পষ্ট দেখতে পান এবং সেই সঙ্গে সহজে পড়তে পারেন।
তাই প্রথম কাজই হলো উপস্থাপনার বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা করা। পড়াশোনা শেষে একটা রুচিসম্মত পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড তৈরি করতে হবে। স্লাইটের ব্যাকগ্রাউন্ডের কালার হালকা হলে ভালো হয়। আর টেক্সট ও ইমেজের রং ডিপ বা গভীর হলে ভালো ফুটে উঠবে। স্লাইট তৈরির সময় মনে রাখতে হবে, আপনি যে টেক্সট ও ইমেজ ব্যবহার করছেন, তা যেন শ্রোতারা স্পষ্ট দেখতে পান এবং সেই সঙ্গে সহজে পড়তে পারেন। এ জন্য স্লাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড ও টেক্সটের মধ্যকার রং ভিন্ন রাখা উচিত। স্লাইটে যেন অতিরিক্ত টেক্সট না থাকে, খেয়াল রাখতে হবে সে বিষয়েও। স্লাইটে ইমেজ, চার্ট, পাই চার্ট, বিভিন্ন ডিজাইন-আইকন ব্যবহার করলে সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। স্লাইটের শুরুতে উপস্থাপনার বিষয়ের নাম, বক্তা কিংবা উপস্থাপকের নাম ও পদবি উল্লেখ থাকবে। বক্তা ও উপস্থাপনার বিষয়-সম্পর্কিত ছবি গ্রহণযোগ্য কায়দায় দেওয়া যেতে পারে। আর উপস্থাপনার প্রশ্নোত্তর ও ধন্যবাদের স্লাইটটি হবে সবার শেষে।
উপস্থাপনার আদবকেতা
উপস্থাপনার স্লাইট হুবহু দেখে পড়া উচিত নয়। স্লাইটে যে কথাগুলো লেখা আছে, সেসব দেখে পড়লে শ্রোতা বিরক্ত হবে। স্লাইট দেখানো হচ্ছে শ্রোতার জন্য। তাই শ্রোতা স্লাইটের লেখা পড়ে নেবেন। বক্তার কাজ হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করে যাওয়া এবং প্রয়োজনমতো ছবি বা চার্ট নির্দিষ্ট করে দেখিয়ে দেওয়া। উপস্থাপনার সময় শ্রোতার সঙ্গে আই কন্টাক্ট বজায় রাখাও জরুরি। কোনো গল্প বা প্রশ্ন দিয়ে উপস্থাপনা শুরু করা গেলে ভালো। উপস্থাপনার জন্য নির্ধারিত ভাষায় যেন বক্তা ভালো করে কথা বলতে পারেন, সেদিকেও নিশ্চিত হতে হবে। ইংরেজি বা অন্য ভাষায় কথা বলতে না পারলে সুযোগ থাকা সাপেক্ষে বাংলায় উপস্থাপনা করুন। আহ, এহেম, ওয়েল, সো, লাইক, অ্যাহ, হোয়াটএভার–এ ধরনের মুদ্রাদোষ বারবার ব্যবহার করে থাকেন অনেকে কথা বলার সময়। এ ধরনের অভ্যাস বদল করতে হবে। কারণ, কথা বলার সময় এমন আচরণ শ্রোতাকে বিরক্ত করে তোলে। আর উপস্থাপনার সময় নিজের নাক, চোখ খোঁচাখুঁচি করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ফরমাল বা একেবারে ইনফরমাল অবস্থায় উপস্থাপনা করা ভুল। ফরমালভাবে উপস্থাপনার চেষ্টা করুন, তবে কথার ফাঁকে প্রাসঙ্গিক কিছু হাসির বা মজাদার কথাও বলুন, যেন শ্রোতার বিরক্তি না আসে। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে না থেকে মঞ্চ বা ডায়াসে হালকা হাঁটাহাঁটি করুন। মোটকথা, নিজের উপস্থাপনা শ্রোতার জন্য উপভোগ্য করে তুলতে হবে যেন মনোযোগী বা মুগ্ধ হয়ে শোনেন। আর হয়ে উঠুন একজন ভালো উপস্থাপক বা প্রেজেন্টার।
পোশাক-পরিচ্ছদ
ভালো উপস্থাপনা করার ক্ষেত্রে পোশাকের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। শুরুতে শ্রোতারা পোশাক দেখে মূল্যায়ন করেন, পরে উপস্থাপনা দেখেন। কথায় আছে, আগে দর্শনদারি পরে গুণবিচারি। ভালো পোশাক একজন বক্তাকে শ্রোতার সামনে রুচিশীল হিসেবে উপস্থাপন করবে। ভালো পোশাক মানেই কিন্তু দামি পোশাক নয়; স্থানকালভেদে মানানসই তথা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল পোশাক। ছেলেদের ফরমাল পোশাকে উপস্থাপনা করা উচিত। সাদা অথবা অন্য রঙের ফরমাল শার্ট পরা ভালো। তেমনি এক রঙের ফরমাল প্যান্ট পরতে হবে। টাইয়ের ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য এমন হওয়া উচিত, যাতে টাইয়ের শেষ প্রান্ত প্যান্টের বেল্টের শুরুর অংশকে হালকা স্পর্শ করে। বেল্ট ও জুতার রং একই হওয়া ভালো। শীতকালে স্যুট পরা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে যেন প্যান্ট ও ব্লেজারের রং ভিন্ন না হয়। গ্রহণযোগ্য শৈলী বা স্টাইলে দাড়ি রেখে অভ্যস্ত না হলে ক্লিন শেভ করা ভালো। যাঁরা বড় দাড়ি রাখেন এবং লম্বা জামা পরেন, তাঁরা সে রকম সাজেও উপস্থাপনা করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রেও রুচিশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে হালকা ও একরঙা জামদানি শাড়ি পরা যেতে পারে। পোশাকের কোড উল্লেখ না থাকলে অনেক সময় রুচিসম্মত থ্রিপিস পরেও উপস্থাপনা করা যায়।
প্রস্তুতি ও স্লাইড তৈরি
উপস্থাপনার নির্ধারিত বিষয়ে আগে পড়াশোনা করে নিতে হবে। পড়াশোনা বাদে তা সম্ভব নয়। কথা বলার জন্য নির্ধারিত বিষয়ে গভীর জ্ঞান থাকলে তবেই আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপনা করতে পারবেন। বিপরীতে দুর্বলতা থাকলে কথা বলার সময় ঘাবড়ে যাবেন।
স্লাইট তৈরির সময় মনে রাখতে হবে, আপনি যে টেক্সট ও ইমেজ ব্যবহার করছেন, তা যেন শ্রোতারা স্পষ্ট দেখতে পান এবং সেই সঙ্গে সহজে পড়তে পারেন।
তাই প্রথম কাজই হলো উপস্থাপনার বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা করা। পড়াশোনা শেষে একটা রুচিসম্মত পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড তৈরি করতে হবে। স্লাইটের ব্যাকগ্রাউন্ডের কালার হালকা হলে ভালো হয়। আর টেক্সট ও ইমেজের রং ডিপ বা গভীর হলে ভালো ফুটে উঠবে। স্লাইট তৈরির সময় মনে রাখতে হবে, আপনি যে টেক্সট ও ইমেজ ব্যবহার করছেন, তা যেন শ্রোতারা স্পষ্ট দেখতে পান এবং সেই সঙ্গে সহজে পড়তে পারেন। এ জন্য স্লাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড ও টেক্সটের মধ্যকার রং ভিন্ন রাখা উচিত। স্লাইটে যেন অতিরিক্ত টেক্সট না থাকে, খেয়াল রাখতে হবে সে বিষয়েও। স্লাইটে ইমেজ, চার্ট, পাই চার্ট, বিভিন্ন ডিজাইন-আইকন ব্যবহার করলে সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। স্লাইটের শুরুতে উপস্থাপনার বিষয়ের নাম, বক্তা কিংবা উপস্থাপকের নাম ও পদবি উল্লেখ থাকবে। বক্তা ও উপস্থাপনার বিষয়-সম্পর্কিত ছবি গ্রহণযোগ্য কায়দায় দেওয়া যেতে পারে। আর উপস্থাপনার প্রশ্নোত্তর ও ধন্যবাদের স্লাইটটি হবে সবার শেষে।
উপস্থাপনার আদবকেতা
উপস্থাপনার স্লাইট হুবহু দেখে পড়া উচিত নয়। স্লাইটে যে কথাগুলো লেখা আছে, সেসব দেখে পড়লে শ্রোতা বিরক্ত হবে। স্লাইট দেখানো হচ্ছে শ্রোতার জন্য। তাই শ্রোতা স্লাইটের লেখা পড়ে নেবেন। বক্তার কাজ হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করে যাওয়া এবং প্রয়োজনমতো ছবি বা চার্ট নির্দিষ্ট করে দেখিয়ে দেওয়া। উপস্থাপনার সময় শ্রোতার সঙ্গে আই কন্টাক্ট বজায় রাখাও জরুরি। কোনো গল্প বা প্রশ্ন দিয়ে উপস্থাপনা শুরু করা গেলে ভালো। উপস্থাপনার জন্য নির্ধারিত ভাষায় যেন বক্তা ভালো করে কথা বলতে পারেন, সেদিকেও নিশ্চিত হতে হবে। ইংরেজি বা অন্য ভাষায় কথা বলতে না পারলে সুযোগ থাকা সাপেক্ষে বাংলায় উপস্থাপনা করুন। আহ, এহেম, ওয়েল, সো, লাইক, অ্যাহ, হোয়াটএভার–এ ধরনের মুদ্রাদোষ বারবার ব্যবহার করে থাকেন অনেকে কথা বলার সময়। এ ধরনের অভ্যাস বদল করতে হবে। কারণ, কথা বলার সময় এমন আচরণ শ্রোতাকে বিরক্ত করে তোলে। আর উপস্থাপনার সময় নিজের নাক, চোখ খোঁচাখুঁচি করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ফরমাল বা একেবারে ইনফরমাল অবস্থায় উপস্থাপনা করা ভুল। ফরমালভাবে উপস্থাপনার চেষ্টা করুন, তবে কথার ফাঁকে প্রাসঙ্গিক কিছু হাসির বা মজাদার কথাও বলুন, যেন শ্রোতার বিরক্তি না আসে। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে না থেকে মঞ্চ বা ডায়াসে হালকা হাঁটাহাঁটি করুন। মোটকথা, নিজের উপস্থাপনা শ্রোতার জন্য উপভোগ্য করে তুলতে হবে যেন মনোযোগী বা মুগ্ধ হয়ে শোনেন। আর হয়ে উঠুন একজন ভালো উপস্থাপক বা প্রেজেন্টার।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের সব বিষয়ের পরীক্ষায় ৩০ মিনিট করে সময় বাড়ানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে নতুন প্রায় ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়গুলোয় মিড-ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া, বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন চার স্তরে করা, পঞ্চম শ্রেণিতে আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
৯ ঘণ্টা আগে