প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সচেতন শিক্ষক সমাজের ব্যানারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বরাবর দুই দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের ব্যাপারে নেওয়া সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টি হওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিরসন ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার এই দুই দফা দাবি পেশ করা হয়।
পত্রে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৭৬ তম এবং ৮০ তম সিন্ডিকেটে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এমন বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া প্রশাসনের বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও বিভ্রান্তির সূত্রপাত ঘটিয়েছে। যার ফলে, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কৃষ্ণ কুমার সাহা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া ও কাজী এম আনিছুল ইসলাম এবং গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতিকুর রহমান পেশাগতভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
'সচেতন শিক্ষক সমাজ' তাঁদের আবেদনে এসব সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, আমরা মনে করি এই শিক্ষকগণ নোংরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। যা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
উপাচার্যের নিকট পেশ করা লিখিত পত্রে প্রথম দাবিতে উল্লেখিত চারজন শিক্ষকের বিষয়সমূহের সুষ্ঠু সমাধান করে তাঁদেরকে মানসিকভাবে শিক্ষাকার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
ওই পত্রে 'সচেতন শিক্ষক সমাজ' বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের দিকে অভিযোগ তুলে বলেন, সিন্ডিকেটে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে তার বাইরে গিয়ে রেজিস্ট্রার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করেছেন ৷ যার ফলে শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী উপাচার্য হওয়া সত্ত্বেও রেজিস্ট্রার উপাচার্যের মতামতের বাইরে সিদ্ধান্ত নেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কে চালান, রেজিস্ট্রার না উপাচার্য।
পত্রের দ্বিতীয় দাবিতে 'সচেতন শিক্ষক সমাজ' বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশীজনের সংরক্ষিত নথিপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রারের নিকট নিরাপদ নয় উল্লেখ করে রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ আমলে নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।
এই বিষয়ে জানতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া যায়নি। তবে উপাচার্যের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সচেতন শিক্ষক' ব্যানারে দেওয়া এই আবেদনটি উপাচার্য বরাবর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় 'সচেতন শিক্ষক সমাজ' এর ব্যানারে যারা যুক্ত আছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিকী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এন. এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসির হুসেইন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সচেতন শিক্ষক সমাজের ব্যানারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বরাবর দুই দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের ব্যাপারে নেওয়া সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টি হওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিরসন ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার এই দুই দফা দাবি পেশ করা হয়।
পত্রে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৭৬ তম এবং ৮০ তম সিন্ডিকেটে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এমন বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া প্রশাসনের বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও বিভ্রান্তির সূত্রপাত ঘটিয়েছে। যার ফলে, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কৃষ্ণ কুমার সাহা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া ও কাজী এম আনিছুল ইসলাম এবং গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতিকুর রহমান পেশাগতভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
'সচেতন শিক্ষক সমাজ' তাঁদের আবেদনে এসব সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, আমরা মনে করি এই শিক্ষকগণ নোংরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। যা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
উপাচার্যের নিকট পেশ করা লিখিত পত্রে প্রথম দাবিতে উল্লেখিত চারজন শিক্ষকের বিষয়সমূহের সুষ্ঠু সমাধান করে তাঁদেরকে মানসিকভাবে শিক্ষাকার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
ওই পত্রে 'সচেতন শিক্ষক সমাজ' বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের দিকে অভিযোগ তুলে বলেন, সিন্ডিকেটে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে তার বাইরে গিয়ে রেজিস্ট্রার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করেছেন ৷ যার ফলে শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী উপাচার্য হওয়া সত্ত্বেও রেজিস্ট্রার উপাচার্যের মতামতের বাইরে সিদ্ধান্ত নেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কে চালান, রেজিস্ট্রার না উপাচার্য।
পত্রের দ্বিতীয় দাবিতে 'সচেতন শিক্ষক সমাজ' বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশীজনের সংরক্ষিত নথিপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রারের নিকট নিরাপদ নয় উল্লেখ করে রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ আমলে নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।
এই বিষয়ে জানতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া যায়নি। তবে উপাচার্যের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সচেতন শিক্ষক' ব্যানারে দেওয়া এই আবেদনটি উপাচার্য বরাবর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় 'সচেতন শিক্ষক সমাজ' এর ব্যানারে যারা যুক্ত আছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিকী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এন. এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসির হুসেইন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের সব বিষয়ের পরীক্ষায় ৩০ মিনিট করে সময় বাড়ানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেদেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে নতুন প্রায় ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়গুলোয় মিড-ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া, বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন চার স্তরে করা, পঞ্চম শ্রেণিতে আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
৭ ঘণ্টা আগে