তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
১৯৭৮ সাল থেকে স্থানীয় বিভিন্ন জাতের ধান ও ফসলের বীজ সংরক্ষণ করে আসছিলেন কৃষক ইউসুফ মোল্লা। কৃষিকাজে কখনো রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেননি। নিজেই কম্পোস্ট ও জৈব বালাইনাশক তৈরি করে জমিতে প্রয়োগ করতেন। দেশীয় ধানের জাতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য হারিয়ে যাওয়া প্রায় ৩০০ প্রজাতির ধানবীজ সংরক্ষণে রেখেছিলেন।
শুধু সংগ্রহই করেননি, সেই ধান দিয়ে তৈরি করেছেন দেশের একমাত্র ‘ধানবীজ ব্যাংক’ ও ‘ধানবীজ লাইব্রেরি’। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের পাশাপাশি কৃষকদের মধ্যে তিনি সেই বীজ বিতরণ করতেন। ধানবীজ ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষকদের দিতেন সম্মাননা পুরস্কারও। এসব কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি নিজেও পেয়েছিলেন জাতীয় পরিবেশ পদক। তাঁর কাছ থেকে সংগ্রহকৃত বিলুপ্ত জাতের ধান নিয়ে দেশের নামকরা গবেষণা সংস্থা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গবেষণা করছেন।
লুপ্ত ধানের সংরক্ষক এই কৃষক ইউসুফ মোল্লা নীরবে চলে গেলেন আজ। শুক্রবার সকালে রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের ধুবইল গ্রামে নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
ইউসুফ মোল্লার নিকটাত্মীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৭টায় হঠাৎ করেই অসুস্থ বোধ করেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। প্রায় ছয় মাস আগে তাঁর ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়েছিল। কিছুদিন হাসপাতালে থাকার পর বাসায় থেকে চিকিৎসা চলছিল।
আজ বিকেলে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে লুপ্ত ধানের সংরক্ষক কৃষক ইউসুফ মোল্লার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ (ময়না), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম।
তাঁরা শোকবার্তায় বলেন, দেশীয় ধানের জাতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য সংগ্রহশালা ও ধানের জাত উন্নয়নে ইউসুফ মোল্লা অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। তাঁর সংগ্রহের ধানবীজগুলো দেশের সম্পদ। তাঁর মৃত্যু তানোরের বরেন্দ্র অঞ্চল তথা সারা দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
কর্মকর্তারা ইউসুফ মোল্লার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
১৯৭৮ সাল থেকে স্থানীয় বিভিন্ন জাতের ধান ও ফসলের বীজ সংরক্ষণ করে আসছিলেন কৃষক ইউসুফ মোল্লা। কৃষিকাজে কখনো রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেননি। নিজেই কম্পোস্ট ও জৈব বালাইনাশক তৈরি করে জমিতে প্রয়োগ করতেন। দেশীয় ধানের জাতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য হারিয়ে যাওয়া প্রায় ৩০০ প্রজাতির ধানবীজ সংরক্ষণে রেখেছিলেন।
শুধু সংগ্রহই করেননি, সেই ধান দিয়ে তৈরি করেছেন দেশের একমাত্র ‘ধানবীজ ব্যাংক’ ও ‘ধানবীজ লাইব্রেরি’। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের পাশাপাশি কৃষকদের মধ্যে তিনি সেই বীজ বিতরণ করতেন। ধানবীজ ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষকদের দিতেন সম্মাননা পুরস্কারও। এসব কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি নিজেও পেয়েছিলেন জাতীয় পরিবেশ পদক। তাঁর কাছ থেকে সংগ্রহকৃত বিলুপ্ত জাতের ধান নিয়ে দেশের নামকরা গবেষণা সংস্থা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গবেষণা করছেন।
লুপ্ত ধানের সংরক্ষক এই কৃষক ইউসুফ মোল্লা নীরবে চলে গেলেন আজ। শুক্রবার সকালে রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের ধুবইল গ্রামে নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
ইউসুফ মোল্লার নিকটাত্মীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৭টায় হঠাৎ করেই অসুস্থ বোধ করেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। প্রায় ছয় মাস আগে তাঁর ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়েছিল। কিছুদিন হাসপাতালে থাকার পর বাসায় থেকে চিকিৎসা চলছিল।
আজ বিকেলে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে লুপ্ত ধানের সংরক্ষক কৃষক ইউসুফ মোল্লার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ (ময়না), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম।
তাঁরা শোকবার্তায় বলেন, দেশীয় ধানের জাতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য সংগ্রহশালা ও ধানের জাত উন্নয়নে ইউসুফ মোল্লা অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। তাঁর সংগ্রহের ধানবীজগুলো দেশের সম্পদ। তাঁর মৃত্যু তানোরের বরেন্দ্র অঞ্চল তথা সারা দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
কর্মকর্তারা ইউসুফ মোল্লার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আজকে দিনের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে শেষরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামী ৭২ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর...
৮ ঘণ্টা আগেবায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বর ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূ
৮ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১ দিন আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১ দিন আগে