খুবি প্রতিনিধি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাসের আবর্জনা দিয়েই তৈরি হবে কম্পোস্ট সার। এর জন্য ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হচ্ছে আবর্জনা সংগ্রহ নেটওয়ার্ক। আর এই আবর্জনার মধ্য থেকে বাছাই করা জৈব আবর্জনা দিয়ে তৈরি হবে কম্পোস্ট। বাণিজ্যিকভাবে করা হবে এ কাজ। অজৈব আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলতে তৈরি হচ্ছে ৪০ ফুট উচ্চতায় চিমনি। এক বছরের মধ্যে শতভাগ পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাসে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে এসব উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ইউজিসির অর্থায়নে একটি পরিকল্পিত সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য প্ল্যান্টটি আগামী ডিসেম্বরে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুরে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর ফিতা কেটে ও ফলকে কর্নিক দিয়ে সিমেন্ট-বালি মিশ্রণ লাগিয়ে এই প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ইউজিসির অর্থায়নে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্ল্যান্টটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্ল্যান্ট বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও ডিপার্টমেন্টগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। প্রতি শিক্ষাবর্ষের শুরুতে নবাগত শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে ধারণা দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব মনে করে সবাই এগিয়ে এলে এক বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিদ্যমান পরিবেশকে বদলে দেবে এই প্ল্যান্ট। ক্যাম্পাস গ্রিন ক্যাম্পাসে পরিণত হবে।’
আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ধরনের প্ল্যান্ট স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
উদ্বোধনের আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশের শুরু থেকেই আমি এ বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি। এর আগে এমন প্ল্যান্টের চিন্তা-ভাবনা করা হলেও এগোয়নি। উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পর সাজানো-গোছানো পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস বিনির্মাণে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়নে ইউজিসিকে চিঠি দিলে তারাও প্ল্যান্টটিতে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করে। যার ধারাবাহিকতায় আজ এর কাজ শুরু হলো।’ এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। প্ল্যান্টটি সম্পর্কে আনুষঙ্গিক বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য দেন—খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টের কনসালট্যান্ট ও কুয়েটের সহকারী অধ্যাপক এসএম তারিকুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, শাখা প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে খুবির ক্যাম্পাসের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর নির্মাণকাজের সময় ধরা হয়েছে ৬ মাস। প্ল্যান্টটিতে তিনটি স্তরে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করা হবে। যেসব বর্জ্য দাহ্য, সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হবে। যেগুলো সার হিসেবে ব্যবহার উপযোগী, সেগুলো ডি-কম্পোজ করে ব্যবহার করা হবে। আর যেসব বর্জ্য সার কিংবা দাহ্য জাতীয় নয়, সেগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বা সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্ল্যান্টটিতে ৪০ ফুট উচ্চতার চিমনি থাকবে, যাতে বর্জ্য পোড়ানোর ধোঁয়া কিংবা গন্ধ পরিবেশকে নষ্ট করতে না পারে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাসের আবর্জনা দিয়েই তৈরি হবে কম্পোস্ট সার। এর জন্য ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হচ্ছে আবর্জনা সংগ্রহ নেটওয়ার্ক। আর এই আবর্জনার মধ্য থেকে বাছাই করা জৈব আবর্জনা দিয়ে তৈরি হবে কম্পোস্ট। বাণিজ্যিকভাবে করা হবে এ কাজ। অজৈব আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলতে তৈরি হচ্ছে ৪০ ফুট উচ্চতায় চিমনি। এক বছরের মধ্যে শতভাগ পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাসে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে এসব উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ইউজিসির অর্থায়নে একটি পরিকল্পিত সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য প্ল্যান্টটি আগামী ডিসেম্বরে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুরে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর ফিতা কেটে ও ফলকে কর্নিক দিয়ে সিমেন্ট-বালি মিশ্রণ লাগিয়ে এই প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ইউজিসির অর্থায়নে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্ল্যান্টটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্ল্যান্ট বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও ডিপার্টমেন্টগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। প্রতি শিক্ষাবর্ষের শুরুতে নবাগত শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে ধারণা দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব মনে করে সবাই এগিয়ে এলে এক বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিদ্যমান পরিবেশকে বদলে দেবে এই প্ল্যান্ট। ক্যাম্পাস গ্রিন ক্যাম্পাসে পরিণত হবে।’
আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ধরনের প্ল্যান্ট স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
উদ্বোধনের আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশের শুরু থেকেই আমি এ বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি। এর আগে এমন প্ল্যান্টের চিন্তা-ভাবনা করা হলেও এগোয়নি। উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পর সাজানো-গোছানো পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস বিনির্মাণে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়নে ইউজিসিকে চিঠি দিলে তারাও প্ল্যান্টটিতে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করে। যার ধারাবাহিকতায় আজ এর কাজ শুরু হলো।’ এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। প্ল্যান্টটি সম্পর্কে আনুষঙ্গিক বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য দেন—খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টের কনসালট্যান্ট ও কুয়েটের সহকারী অধ্যাপক এসএম তারিকুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, শাখা প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে খুবির ক্যাম্পাসের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর নির্মাণকাজের সময় ধরা হয়েছে ৬ মাস। প্ল্যান্টটিতে তিনটি স্তরে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করা হবে। যেসব বর্জ্য দাহ্য, সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হবে। যেগুলো সার হিসেবে ব্যবহার উপযোগী, সেগুলো ডি-কম্পোজ করে ব্যবহার করা হবে। আর যেসব বর্জ্য সার কিংবা দাহ্য জাতীয় নয়, সেগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বা সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্ল্যান্টটিতে ৪০ ফুট উচ্চতার চিমনি থাকবে, যাতে বর্জ্য পোড়ানোর ধোঁয়া কিংবা গন্ধ পরিবেশকে নষ্ট করতে না পারে।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আজকে দিনের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে শেষরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামী ৭২ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর...
৪ ঘণ্টা আগেবায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বর ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূ
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১৯ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১ দিন আগে