প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের হাইল হাওরে দেখা মিলেছে জল ময়ূরের। হাওরের পদ্ম বনে এদের বংশ বিস্তারের প্রমাণও পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার একটি জল ময়ূর পরিবারের ছবি ধরা পড়েছে শ্রীমঙ্গলের পাখিপ্রেমী খোকন থৌনাউজামের ক্যামেরায়।
এক সময় হাইল হাওরে প্রচুর পরিমাণে জল ময়ূর দেখা যেত। কিন্তু হাওর ও হাওরের অধিকাংশ বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং মানব বসতি ও মৎস্য খামারের বিভিন্ন স্থাপনার কারণে হাইল হাওর এখন নিঃশেষের পথে। দৃষ্টিনন্দন জল ময়ূর এক সময় হাইল হাওরের অন্যতম আকর্ষণ ছিল। কিন্তু মৎস্যজীবী ও পাখিপ্রেমীরা অনেক দিন ধরেই এ পাখির পাচ্ছিলেন না। ধরেই নেওয়া হয়েছিল হাইল হাওর থেকে জল ময়ূর হারিয়ে গেছে।
খোকন থৌনাউজাম জানান, হাওরের পদ্ম বনেই জল ময়ূরেরা বসবাস করে। এখানে একসময় এ পাখি প্রচুর পরিমাণে দেখা মিলতো। তাই আশা নিয়ে কয়েক বছর ধরেই নিজের উপজেলার হাওরে এই পাখির অনুসন্ধান করতে থাকেন তিনি। জল ময়ূরের খোঁজে বর্ষা এবং শুষ্ক মৌসুমে হাওরের এপার ওপার পাড়িও দিয়েছেন বহুবার। কিন্তু দেখা মেলেনি।
হাওরের মৎস্যজীবীদের জল ময়ূরের ছবি দেখিয়ে এ জাতীয় পাখি দেখলেই তাঁকে খবর দেওয়ার অনুরোধ করে রেখেছিলেন। ১৫ দিন আগে হাওরবাসী আলমগীর তাঁকে প্রথম সুসংবাদটি দেন। তিনি ফোনকলে জানান, হাইল হাওরে জল ময়ূরের বাসা ও চারটি ডিম দেখেছে। খোকন আলমগীরকে ডিমগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার আলমগীর খোকন থৌনাউজামকে ফোনকলে জানান, বাসায় ডিম নেই। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন খোকন। হাইল হাওরের বাইক্কা বিলের পাশে যেখানে ডিম পেড়েছিল জল ময়ূরটি তার কিছুটা দূরেই পদ্ম পাতার ওপর আবিষ্কার করেন ছানাদের। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে দেখা পান পুরুষ জল ময়ূরের। আজ শুক্রবার সকালে তিনি আবার হাওরে যান। এ সময় দেখা পান মা জল ময়ূরের।
খোকন জানান, জল ময়ূরের ইংরেজি নাম ফিজেন্ট টেইলড জাকানা। বৈজ্ঞানিক নাম: Hydrophasianus chirurgus। এটিকে এলাকা ভেদে নেউ, নেউপিপি, পদ্মপিপি বা মেওয়া নামেও ডাকা হয়। এ পাখির লেজে তিন থেকে চারটি লম্বা পালক রয়েছে, দেখতে খুবই সুন্দর। এর মাথা, গলা ও ডানার পালক সাদা। ঘাড় সোনালি-হলুদ, পিঠ গাঢ় বাদামি, বুক-পেট কালচে-বাদামি ও লেজ কালচে। এর লম্বা লেজসহ দেহের দৈর্ঘ্য ৩৯ থেকে ৫৮ সেন্টিমিটার। ওজনে পুরুষ পাখি ১১৩ থেকে ১৩৫ গ্রাম। স্ত্রী পাখি ২০৫ থেকে ২৬০ গ্রাম হয়।
জল ময়ূর ভাসমান পাতার ওপর হেঁটে হেঁটে জলজ উদ্ভিদে থাকা পোকা ও অমেরুদণ্ডী প্রাণী, জলজ উদ্ভিদের কচি পাতা, অঙ্কুর ও বীজ খেয়ে জীবন ধারণ করে। জল ময়ূর হাওর, বিল, হ্রদ এবং মিঠাপানির জলাভূমিতে বাস করে। বর্তমানে এটি প্রায় সংকটাপন্ন পাখি প্রজাতি।
শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী প্রেমী সিতেশ রঞ্জন দেব জানান, তিনি হাইল হাওরে বহুবার এ পাখিকে দেখেছেন। প্রজননকালে এর পুরুষ প্রজাতিটি পরিশ্রমী হয় বেশি। এ সময় তারা শাপলা পাতা, হুকল পাতা, কলমি বন ও পদ্মপাতা বা এ জাতীয় ভাসমান উদ্ভিদের পাতার ওপর বাসা বানায়। স্ত্রী এতে ডিম পেড়ে সরে যায়। পুরুষ একাই ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। বাচ্চা বড় হওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখে। হাওরে পাখি শিকারিদের উৎপাত ও পাখির আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে জল ময়ূরসহ অন্যান্য পাখিও অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে।
মৌলভীবাজারের হাইল হাওরে দেখা মিলেছে জল ময়ূরের। হাওরের পদ্ম বনে এদের বংশ বিস্তারের প্রমাণও পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার একটি জল ময়ূর পরিবারের ছবি ধরা পড়েছে শ্রীমঙ্গলের পাখিপ্রেমী খোকন থৌনাউজামের ক্যামেরায়।
এক সময় হাইল হাওরে প্রচুর পরিমাণে জল ময়ূর দেখা যেত। কিন্তু হাওর ও হাওরের অধিকাংশ বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং মানব বসতি ও মৎস্য খামারের বিভিন্ন স্থাপনার কারণে হাইল হাওর এখন নিঃশেষের পথে। দৃষ্টিনন্দন জল ময়ূর এক সময় হাইল হাওরের অন্যতম আকর্ষণ ছিল। কিন্তু মৎস্যজীবী ও পাখিপ্রেমীরা অনেক দিন ধরেই এ পাখির পাচ্ছিলেন না। ধরেই নেওয়া হয়েছিল হাইল হাওর থেকে জল ময়ূর হারিয়ে গেছে।
খোকন থৌনাউজাম জানান, হাওরের পদ্ম বনেই জল ময়ূরেরা বসবাস করে। এখানে একসময় এ পাখি প্রচুর পরিমাণে দেখা মিলতো। তাই আশা নিয়ে কয়েক বছর ধরেই নিজের উপজেলার হাওরে এই পাখির অনুসন্ধান করতে থাকেন তিনি। জল ময়ূরের খোঁজে বর্ষা এবং শুষ্ক মৌসুমে হাওরের এপার ওপার পাড়িও দিয়েছেন বহুবার। কিন্তু দেখা মেলেনি।
হাওরের মৎস্যজীবীদের জল ময়ূরের ছবি দেখিয়ে এ জাতীয় পাখি দেখলেই তাঁকে খবর দেওয়ার অনুরোধ করে রেখেছিলেন। ১৫ দিন আগে হাওরবাসী আলমগীর তাঁকে প্রথম সুসংবাদটি দেন। তিনি ফোনকলে জানান, হাইল হাওরে জল ময়ূরের বাসা ও চারটি ডিম দেখেছে। খোকন আলমগীরকে ডিমগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার আলমগীর খোকন থৌনাউজামকে ফোনকলে জানান, বাসায় ডিম নেই। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন খোকন। হাইল হাওরের বাইক্কা বিলের পাশে যেখানে ডিম পেড়েছিল জল ময়ূরটি তার কিছুটা দূরেই পদ্ম পাতার ওপর আবিষ্কার করেন ছানাদের। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে দেখা পান পুরুষ জল ময়ূরের। আজ শুক্রবার সকালে তিনি আবার হাওরে যান। এ সময় দেখা পান মা জল ময়ূরের।
খোকন জানান, জল ময়ূরের ইংরেজি নাম ফিজেন্ট টেইলড জাকানা। বৈজ্ঞানিক নাম: Hydrophasianus chirurgus। এটিকে এলাকা ভেদে নেউ, নেউপিপি, পদ্মপিপি বা মেওয়া নামেও ডাকা হয়। এ পাখির লেজে তিন থেকে চারটি লম্বা পালক রয়েছে, দেখতে খুবই সুন্দর। এর মাথা, গলা ও ডানার পালক সাদা। ঘাড় সোনালি-হলুদ, পিঠ গাঢ় বাদামি, বুক-পেট কালচে-বাদামি ও লেজ কালচে। এর লম্বা লেজসহ দেহের দৈর্ঘ্য ৩৯ থেকে ৫৮ সেন্টিমিটার। ওজনে পুরুষ পাখি ১১৩ থেকে ১৩৫ গ্রাম। স্ত্রী পাখি ২০৫ থেকে ২৬০ গ্রাম হয়।
জল ময়ূর ভাসমান পাতার ওপর হেঁটে হেঁটে জলজ উদ্ভিদে থাকা পোকা ও অমেরুদণ্ডী প্রাণী, জলজ উদ্ভিদের কচি পাতা, অঙ্কুর ও বীজ খেয়ে জীবন ধারণ করে। জল ময়ূর হাওর, বিল, হ্রদ এবং মিঠাপানির জলাভূমিতে বাস করে। বর্তমানে এটি প্রায় সংকটাপন্ন পাখি প্রজাতি।
শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী প্রেমী সিতেশ রঞ্জন দেব জানান, তিনি হাইল হাওরে বহুবার এ পাখিকে দেখেছেন। প্রজননকালে এর পুরুষ প্রজাতিটি পরিশ্রমী হয় বেশি। এ সময় তারা শাপলা পাতা, হুকল পাতা, কলমি বন ও পদ্মপাতা বা এ জাতীয় ভাসমান উদ্ভিদের পাতার ওপর বাসা বানায়। স্ত্রী এতে ডিম পেড়ে সরে যায়। পুরুষ একাই ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। বাচ্চা বড় হওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখে। হাওরে পাখি শিকারিদের উৎপাত ও পাখির আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে জল ময়ূরসহ অন্যান্য পাখিও অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আজকে দিনের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে শেষরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামী ৭২ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর...
১৯ ঘণ্টা আগেবায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বর ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূ
১৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১ দিন আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
২ দিন আগে