মুসাররাত আবির
আমেরিকান শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাব্যবস্থাগুলোর একটি। বেশির ভাগ কলেজেই দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত কোন সাবজেক্টে ডিগ্রি নেবেন বা মেজর করবেন তা বাছাই করতে হয় না। পছন্দমতো কোর্স নিয়ে পড়ে নিজেকে নির্ধারণ করতে হয় যে কোনটা পড়তে ভালো লাগছে। যেমন আপনি একই সঙ্গে কম্পিউটার সায়েন্স ও হিস্ট্রি পড়তে পারবেন। আমেরিকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২-২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একেকটি ক্লাস পরিচালনা করা হয়। এর ফলে প্রত্যেক শিক্ষার্থী আলাদাভাবে শিক্ষকের মনোযোগ পান। এর পাশাপাশি এখানে হাতেকলমে শিক্ষার ওপর অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থীই এক বা একাধিক ইন্টার্নশিপ বা বিভিন্ন ফিল্ড প্রজেক্টের সুযোগ পান।
বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হলো খরচ বহন করা। এ প্রক্রিয়াটি অনেক ব্যয়বহুল হলেও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ সারা বিশ্বের সীমিতসংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীকে তাঁদের ইউনিভার্সিটিতে পড়ার জন্য নানা রকম বৃত্তি দিয়ে থাকে। মেধা ও প্রয়োজন অনুসারে এ স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে।
বড় সংখ্যার বৃত্তি পেলে প্রায় বিনা মূল্যে বা অনেক কম খরচেই পড়াশোনা করা যায়। তাই মধ্যবিত্তরাও বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখতে পারে।
যেসব ভিত্তিতে বৃত্তি দেয়
সাধারণত স্টেট ও কিছু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ছাড়া বাকি সব ইউনিভার্সিটি নিড বেইজড ও মেরিট বেইজড দুইটি ভিত্তিতে স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।
সাধারণত মেরিট ও নিড (স্টেট ইউনিভার্সিটি ছাড়া) দুই ধরনের এইড মিলিয়ে কলেজগুলো ফুল ফিন্যান্সিয়াল এইড প্যাকেজ প্রদান করে থাকে।
মধ্যবিত্তদের জন্য আমেরিকা
মফস্বল শহর বা মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়তে যাওয়া আমাদের দেশে অনেকে একটি ভুল ধারণা পোষণ করেন যে বিদেশে উচ্চশিক্ষা, তা-ও আবার স্নাতকে—এটা শুধু উচ্চবিত্তদের জন্য সম্ভব। আমি যখন আবেদন করি আমাকে অনেকে বলেছিল স্নাতকে আবার বৃত্তি পাওয়া যায় নাকি!
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা যদি দেশের বাইরে পড়তে চান, তাহলে তাঁদের অনেকে বলে এটা বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়ানোর মতো। কিন্তু এটি পুরোপুরি সঠিক নয়। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান বিদেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কম খরচে পড়তে যেতে পারেন। তবে অনেক সময় মফস্বল বা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা পিছিয়ে পড়েন নিম্নোক্ত কিছু কারণে:
আর্থিক অসচ্ছলতা: বিদেশে পড়ার প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল তাই সাধারণত মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য তা বহন করা সম্ভব হয় না। এ কারণে অনেকে এ বিষয়ে আগ্রহী হন না। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃত্তি পেলে প্রায় বিনা মূল্যেও পড়া যায়।
টাইম ম্যানেজমেন্ট সমস্যা: বিদেশে পড়তে যাওয়ার প্রস্তুতিটা বেশ সময়সাপেক্ষ। তাই অনেকে ধৈর্য সহকারে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য যথাযথ মনোবল ধরে রাখতে পারেন না।
মানসিকতার সমস্যা: পারিপার্শ্বিক এবং সবকিছু মিলিয়ে বিদেশে পড়ার ব্যাপারে একটা বাধা মোকাবিলা করতে করতে অনেকের এ বিষয়টি সম্পর্কে নেতিবাচক ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে। যে বিদেশে শুধু উচ্চবিত্ত ঘরের বা খারাপ ছাত্ররাই টাকা খরচ করে পড়তে যান।
তথ্যের অপ্রতুলতা: আমার কাছে মনে হয় মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা এ ধরনের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে গিয়ে পর্যাপ্ত সহযোগিতা না পেয়ে হাল ছেড়ে দেন। নিজের মনোবলকে শক্ত রেখে এসব বাধা অতিক্রম করার চেষ্টা করলে যে কারও পক্ষেই বিদেশে পড়ার স্বপ্ন দেখা সম্ভব।
মফস্বল শহরের শিক্ষার্থীদের কাছে সাধারণত বিদেশে আবেদনের প্রক্রিয়া ও গাইডলাইনগুলো সহজলভ্য থাকে না এবং বেশির ভাগ সময় এসব বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা থাকে, যা শুরুতে আমার মধ্যেও ছিল।
এ ক্ষেত্রে তাঁদের জন্য আমার প্রথম পরামর্শ হলো গভীরভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে অনুসন্ধান করা এবং প্রস্তুতিটি আগে থেকে শুরু করা। গুগল এবং ইউটিউব অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা টুল। অনুসন্ধানের জন্য একটু সময় দিলে এখানে প্রায় বেশির ভাগ প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যায়। তারপরও এ বিষয়ে দক্ষ পরিচিত কোনো সিনিয়র বা আত্মীয় থাকলে তাঁদের কাছে থেকে সহযোগিতা নেওয়া যায়।
আমেরিকান শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাব্যবস্থাগুলোর একটি। বেশির ভাগ কলেজেই দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত কোন সাবজেক্টে ডিগ্রি নেবেন বা মেজর করবেন তা বাছাই করতে হয় না। পছন্দমতো কোর্স নিয়ে পড়ে নিজেকে নির্ধারণ করতে হয় যে কোনটা পড়তে ভালো লাগছে। যেমন আপনি একই সঙ্গে কম্পিউটার সায়েন্স ও হিস্ট্রি পড়তে পারবেন। আমেরিকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২-২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একেকটি ক্লাস পরিচালনা করা হয়। এর ফলে প্রত্যেক শিক্ষার্থী আলাদাভাবে শিক্ষকের মনোযোগ পান। এর পাশাপাশি এখানে হাতেকলমে শিক্ষার ওপর অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থীই এক বা একাধিক ইন্টার্নশিপ বা বিভিন্ন ফিল্ড প্রজেক্টের সুযোগ পান।
বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হলো খরচ বহন করা। এ প্রক্রিয়াটি অনেক ব্যয়বহুল হলেও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ সারা বিশ্বের সীমিতসংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীকে তাঁদের ইউনিভার্সিটিতে পড়ার জন্য নানা রকম বৃত্তি দিয়ে থাকে। মেধা ও প্রয়োজন অনুসারে এ স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে।
বড় সংখ্যার বৃত্তি পেলে প্রায় বিনা মূল্যে বা অনেক কম খরচেই পড়াশোনা করা যায়। তাই মধ্যবিত্তরাও বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখতে পারে।
যেসব ভিত্তিতে বৃত্তি দেয়
সাধারণত স্টেট ও কিছু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ছাড়া বাকি সব ইউনিভার্সিটি নিড বেইজড ও মেরিট বেইজড দুইটি ভিত্তিতে স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।
সাধারণত মেরিট ও নিড (স্টেট ইউনিভার্সিটি ছাড়া) দুই ধরনের এইড মিলিয়ে কলেজগুলো ফুল ফিন্যান্সিয়াল এইড প্যাকেজ প্রদান করে থাকে।
মধ্যবিত্তদের জন্য আমেরিকা
মফস্বল শহর বা মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়তে যাওয়া আমাদের দেশে অনেকে একটি ভুল ধারণা পোষণ করেন যে বিদেশে উচ্চশিক্ষা, তা-ও আবার স্নাতকে—এটা শুধু উচ্চবিত্তদের জন্য সম্ভব। আমি যখন আবেদন করি আমাকে অনেকে বলেছিল স্নাতকে আবার বৃত্তি পাওয়া যায় নাকি!
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা যদি দেশের বাইরে পড়তে চান, তাহলে তাঁদের অনেকে বলে এটা বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়ানোর মতো। কিন্তু এটি পুরোপুরি সঠিক নয়। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান বিদেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কম খরচে পড়তে যেতে পারেন। তবে অনেক সময় মফস্বল বা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা পিছিয়ে পড়েন নিম্নোক্ত কিছু কারণে:
আর্থিক অসচ্ছলতা: বিদেশে পড়ার প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল তাই সাধারণত মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য তা বহন করা সম্ভব হয় না। এ কারণে অনেকে এ বিষয়ে আগ্রহী হন না। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃত্তি পেলে প্রায় বিনা মূল্যেও পড়া যায়।
টাইম ম্যানেজমেন্ট সমস্যা: বিদেশে পড়তে যাওয়ার প্রস্তুতিটা বেশ সময়সাপেক্ষ। তাই অনেকে ধৈর্য সহকারে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য যথাযথ মনোবল ধরে রাখতে পারেন না।
মানসিকতার সমস্যা: পারিপার্শ্বিক এবং সবকিছু মিলিয়ে বিদেশে পড়ার ব্যাপারে একটা বাধা মোকাবিলা করতে করতে অনেকের এ বিষয়টি সম্পর্কে নেতিবাচক ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে। যে বিদেশে শুধু উচ্চবিত্ত ঘরের বা খারাপ ছাত্ররাই টাকা খরচ করে পড়তে যান।
তথ্যের অপ্রতুলতা: আমার কাছে মনে হয় মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা এ ধরনের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে গিয়ে পর্যাপ্ত সহযোগিতা না পেয়ে হাল ছেড়ে দেন। নিজের মনোবলকে শক্ত রেখে এসব বাধা অতিক্রম করার চেষ্টা করলে যে কারও পক্ষেই বিদেশে পড়ার স্বপ্ন দেখা সম্ভব।
মফস্বল শহরের শিক্ষার্থীদের কাছে সাধারণত বিদেশে আবেদনের প্রক্রিয়া ও গাইডলাইনগুলো সহজলভ্য থাকে না এবং বেশির ভাগ সময় এসব বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা থাকে, যা শুরুতে আমার মধ্যেও ছিল।
এ ক্ষেত্রে তাঁদের জন্য আমার প্রথম পরামর্শ হলো গভীরভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে অনুসন্ধান করা এবং প্রস্তুতিটি আগে থেকে শুরু করা। গুগল এবং ইউটিউব অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা টুল। অনুসন্ধানের জন্য একটু সময় দিলে এখানে প্রায় বেশির ভাগ প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যায়। তারপরও এ বিষয়ে দক্ষ পরিচিত কোনো সিনিয়র বা আত্মীয় থাকলে তাঁদের কাছে থেকে সহযোগিতা নেওয়া যায়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে