১৮৫ সমবায় সমিতির ১৪০টিই অকার্যকর

শিপার আহমেদ, বিয়ানীবাজার
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১২: ১৬
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ৫৮

বিয়ানীবাজার উপজেলায় ১৮৫টি নিবন্ধিত সমবায় সমিতি রয়েছে। এর মধ্যে ১৪০টিই অকার্যকর। এসব সমবায় সমিতি লুটপাট-অনিয়মের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সমিতিগুলো নিবন্ধন নিয়ে সব ধরনের রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করলেও কোনো জবাবদিহি নেই।

এ সমিতিগুলো সমবায় অধিদপ্তর ও পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের আওতাভুক্ত। পাশাপাশি সক্রিয় সমিতিগুলোর বেশির ভাগেরই কার্যক্রম খুবই সীমিত পর্যায়ে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা সমবায় অফিসও সমিতিগুলোর নিষ্ক্রিয় থাকার বিষয় স্বীকার করে জানায়, সদস্যদের লক্ষ্য পূরণসহ নানা কারণেই দিনে দিনে এসব সমবায় সমিতি নিষ্ক্রিয় হয়েছে। তবে সক্রিয় করার ক্ষেত্রে তাঁদের খুব একটা করণীয় নেই। তাঁরা রেগুলেটরি বডি হিসেবে কেবল উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। সমিতির সদস্যদেরই এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

জানা গেছে, বিয়ানীবাজারে মৎস্য, প্রাণী ও কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি সমবায় সমিতির নিবন্ধন রয়েছে। এসব সমবায় সমিতির মোট সদস্য প্রায় ৫ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার এবং নারী সহস্রাধিক। উপজেলায় নিবন্ধিত সমবায় সমিতিগুলোর মূলধন কত, ভৌত সম্পদ কেমন, বিনিয়োগ কত টাকা-তার কোনো হিসাব নেই স্থানীয় সমবায় দপ্তরে।

উপজেলা সমবায় অফিসের এক কর্মচারী বলেন, ‘তাঁরা কেউ হিসাব দেন না, অডিটে সহায়তাও করেন না। এতে আমরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছি।’

বিয়ানীবাজারে কার্যকর সমবায় সমিতির মধ্যে মাত্র ২-১টি বিস্তৃত পরিসরে কাজ করছে। বাকিগুলো কার্যকর তকমা নিয়ে বসে আছে। স্থানীয় সমবায় খাতের সমস্যা হিসেবে নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সংখ্যা অনুযায়ী জনবল স্বল্পতা ও সমিতি ব্যবস্থাপনায় অনাকাঙ্ক্ষিত স্থানীয় প্রভাবের কারণে উপজেলা এই দপ্তরের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ।

জানা গেছে, আশির দশকে কৃষি সমবায় সমিতিগুলো খুবই কার্যকর থাকলেও বর্তমানে সেগুলো প্রায় নিষ্ক্রিয়। এ ছাড়া অন্যান্য সমিতির অবস্থাও একই ধরনের। উপজেলার কৃষি সমবায় সমিতির এক নেতা জানান, আগে তাঁরা সমবায় সমিতির মাধ্যমে কৃষি ঋণসহ নানা ধরনের সুযোগ–সুবিধা পেতেন। কিন্তু এখন সেটা আগের মতো আর দেওয়া হয় না। তা ছাড়া সমিতি সক্রিয় রাখতে হলে নিয়মিত সভা, নির্বাচন ও অডিট করানোসহ নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। এ কারণে সদস্যরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. রুহেল আহমদ জানান, সমবায় সমিতি একটি উদ্দেশ্য নিয়ে গঠন করা হয়। এরপর তারা নিবন্ধন পেয়েই সরকারি সুবিধা নেওয়া শুরু করে। এসব সরকারি সুবিধা নিয়ে ব্যাপক লুটপাট হয়। নিয়মিত অডিট না হওয়ার কারণে এসব সমবায় সমিতি বিলীন হওয়ার পথে।

এ কর্মকর্তা বলেন, সত্যিকার অর্থে নিয়মিত ঋণ নিচ্ছে, পরিশোধ করছে এবং অডিট ও নির্বাচন ঠিকমতো হচ্ছে এমন সক্রিয় সমিতির সংখ্যা ৫-৭টি। সমিতিগুলোকে কার্যকর করার উদ্যোগ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সমবায় সমিতিগুলো সক্রিয় হতে হলে সমিতির সদস্যদেরই করতে হবে। আমরা কেবল তাঁদের উৎসাহ দিতে পারি। এর বাইরে খুব একটা করণীয় নেই।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণে ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত