আয়নাল হোসেন, ঢাকা
চাল আমদানির ওপর শুল্ক কমানো হলেও ভারতে চালের দাম বেড়ে গেছে। এতে দেশের বাজারে দাম তেমন একটা কমবে না বলে মনে করছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। আমদানিকারকেরা বলছেন, সময় বেঁধে দেওয়া এবং ডলারের তেজিভাব থাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি আমদানিকারকেরা চাল আমদানির সাহস পাচ্ছেন না।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী, নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া, পরিবহন খরচসহ আনুষঙ্গিক খরচ হিসাব করে চাল আমদানির সাহস পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র ও মাঝারি আমদানিকারকেরা। বড় কয়েকজন আমদানিকারক চাল আনলেও অনেকেই নিজস্ব ব্রান্ডে বা নামে বাজারজাত করছেন। বাজারে সরবরাহব্যবস্থা পর্যাপ্ত থাকলে দাম কমে আসবে। ঢাকঢোল পিটিয়ে আমদানি করায় রপ্তানিকারক দেশগুলোও সুযোগ নিচ্ছে। চালের আমদানির শুল্ক কমায় দেশের মোকাম, পাইকারি ও আড়তে বিক্রি কিছুটা কমে গেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় টেলিফোনে জানতে চাইলে বগুড়ার চাল আমদানিকারক গোলাম কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চাল আমদানি ওপেন রাখা দরকার ছিল। তাহলে ক্ষুদ্র, মাঝারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা সুবিধা অনুযায়ী আমদানি করতেন। কিন্তু ঘোষণা দিয়ে চাল আমদানি করায় ভারতে দাম কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা বেড়ে গেছে। চাল আমদানির বিষয়টি অবাধ থাকলে ভারতে হঠাৎ করে দাম বাড়াত না। কারণ, ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে চালের চাহিদা ও আমদানির পরিমাণের বিষয়টি এখন জেনে গেছে। এ কারণে সুযোগ বুঝে তাঁরাও দাম বাড়িয়েছেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে ৩৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ২৮ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ৩৮ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। অনুমোদিত চাল ঢুকতে সময় রয়েছে দুই মাস। এই সময়ের মধ্যে চাল কতটুকু ঢুকবে, তা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে প্রতি টন সেদ্ধ চালের দাম রয়েছে ৩৮০-৪১৭ মার্কিন ডলার।
চাল আমদানিকারক পুরান ঢাকার বাবুবাজারের দ্বীন মোহাম্মদ স্বপন বলেন, শুল্ক কমানোয় বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়বে। তবে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় অনেকেই আমদানির সাহস পাচ্ছেন না। কারণ, মন্ত্রণালয়ের দৌড়াদৌড়ি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশে চাল ঢোকানো—সবকিছু মিলিয়ে অনেকেই সাহস পাচ্ছেন না। অবাধ আমদানির সুযোগ থাকলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত দিয়ে অনায়াসেই চাল ঢুকে যেত।
বাদামতলী-বাবুবাজার চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের দাম কমাতে হলে আমদানির বিকল্প নেই। ডলারের বেশি দাম ও নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়ায় অনেকেই আমদানির ঝুঁকি নেবেন না। তিনি আরও বলেন, আমন মৌসুমে ধানের উৎপাদন কেমন হবে, সেটির ওপরও বাজার নির্ভর করবে।
বাজারে চালের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসের ব্যবধানে সরু চালে দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ, মাঝারি চালে ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মোটা চালে ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।
বর্তমানে একজন আমদানিকারককে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ, অগ্রিম ব্যবসায়ী ভ্যাট ৫ শতাংশ, ইনস্যুরেন্স ১ শতাংশ, ল্যান্ডিং চার্জ ১ শতাংশ, ডকুমেন্টারি ফি দশমিক ৫ শতাংশসহ সর্বমোট ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরপরই বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। সরকারের নজরদারি কমায় ব্যবসায়ীরা তাঁদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়ান।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গত বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, জ্বালানির দাম বাড়ানোয় ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন। পরিবহন খরচে চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ পয়সা। আর চালের দাম বাড়ানো হয়েছে চার টাকা। বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে একমাত্র জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ছাড়া অন্য সংস্থাগুলোর তদারকি তেমন নেই।
চাল আমদানির ওপর শুল্ক কমানো হলেও ভারতে চালের দাম বেড়ে গেছে। এতে দেশের বাজারে দাম তেমন একটা কমবে না বলে মনে করছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। আমদানিকারকেরা বলছেন, সময় বেঁধে দেওয়া এবং ডলারের তেজিভাব থাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি আমদানিকারকেরা চাল আমদানির সাহস পাচ্ছেন না।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী, নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া, পরিবহন খরচসহ আনুষঙ্গিক খরচ হিসাব করে চাল আমদানির সাহস পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র ও মাঝারি আমদানিকারকেরা। বড় কয়েকজন আমদানিকারক চাল আনলেও অনেকেই নিজস্ব ব্রান্ডে বা নামে বাজারজাত করছেন। বাজারে সরবরাহব্যবস্থা পর্যাপ্ত থাকলে দাম কমে আসবে। ঢাকঢোল পিটিয়ে আমদানি করায় রপ্তানিকারক দেশগুলোও সুযোগ নিচ্ছে। চালের আমদানির শুল্ক কমায় দেশের মোকাম, পাইকারি ও আড়তে বিক্রি কিছুটা কমে গেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় টেলিফোনে জানতে চাইলে বগুড়ার চাল আমদানিকারক গোলাম কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চাল আমদানি ওপেন রাখা দরকার ছিল। তাহলে ক্ষুদ্র, মাঝারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা সুবিধা অনুযায়ী আমদানি করতেন। কিন্তু ঘোষণা দিয়ে চাল আমদানি করায় ভারতে দাম কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা বেড়ে গেছে। চাল আমদানির বিষয়টি অবাধ থাকলে ভারতে হঠাৎ করে দাম বাড়াত না। কারণ, ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে চালের চাহিদা ও আমদানির পরিমাণের বিষয়টি এখন জেনে গেছে। এ কারণে সুযোগ বুঝে তাঁরাও দাম বাড়িয়েছেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে ৩৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ২৮ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ৩৮ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। অনুমোদিত চাল ঢুকতে সময় রয়েছে দুই মাস। এই সময়ের মধ্যে চাল কতটুকু ঢুকবে, তা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে প্রতি টন সেদ্ধ চালের দাম রয়েছে ৩৮০-৪১৭ মার্কিন ডলার।
চাল আমদানিকারক পুরান ঢাকার বাবুবাজারের দ্বীন মোহাম্মদ স্বপন বলেন, শুল্ক কমানোয় বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়বে। তবে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় অনেকেই আমদানির সাহস পাচ্ছেন না। কারণ, মন্ত্রণালয়ের দৌড়াদৌড়ি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশে চাল ঢোকানো—সবকিছু মিলিয়ে অনেকেই সাহস পাচ্ছেন না। অবাধ আমদানির সুযোগ থাকলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত দিয়ে অনায়াসেই চাল ঢুকে যেত।
বাদামতলী-বাবুবাজার চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের দাম কমাতে হলে আমদানির বিকল্প নেই। ডলারের বেশি দাম ও নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়ায় অনেকেই আমদানির ঝুঁকি নেবেন না। তিনি আরও বলেন, আমন মৌসুমে ধানের উৎপাদন কেমন হবে, সেটির ওপরও বাজার নির্ভর করবে।
বাজারে চালের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসের ব্যবধানে সরু চালে দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ, মাঝারি চালে ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মোটা চালে ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।
বর্তমানে একজন আমদানিকারককে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ, অগ্রিম ব্যবসায়ী ভ্যাট ৫ শতাংশ, ইনস্যুরেন্স ১ শতাংশ, ল্যান্ডিং চার্জ ১ শতাংশ, ডকুমেন্টারি ফি দশমিক ৫ শতাংশসহ সর্বমোট ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরপরই বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। সরকারের নজরদারি কমায় ব্যবসায়ীরা তাঁদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়ান।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গত বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, জ্বালানির দাম বাড়ানোয় ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন। পরিবহন খরচে চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ পয়সা। আর চালের দাম বাড়ানো হয়েছে চার টাকা। বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে একমাত্র জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ছাড়া অন্য সংস্থাগুলোর তদারকি তেমন নেই।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে