যশোর প্রতিনিধি
এক দিন পরেই শুরু নতুন বছর। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী না আসায় জানুয়ারির শুরুতেই এবার নতুন বই পাচ্ছে না যশোরের অনেক শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার পর্যন্ত জেলায় প্রাথমিকের নতুন বই এসেছে চাহিদার ৭৩ শতাংশ। সবচেয়ে কম এসেছে মাধ্যমিক স্তরের, মাত্র ৩১ শতাংশ।
তবে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, জানুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে নতুন বই পৌঁছিয়ে দেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত জেলায় চাহিদার মোট ৭৩ শতাংশ বই এসে পৌঁছেছে। ভারত থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই আসার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ে গেছে। শিগগিরই সেগুলোর চালান হাতে এসেছে পৌঁছাবে। সে ক্ষেত্রে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীর হাতে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
তবে সংশয় রয়েছে মাধ্যমিক, দাখিল ও কারিগরি শাখার এসএসসির বই নিয়ে। এখন পর্যন্ত জেলায় মাধ্যমিকের ৩১ শতাংশ, দাখিলের ২২ শতাংশ বই এলেও এসএসসি (কারিগরি) চাহিদার এক শতাংশ বইও আসেনি। তবে ইবতেদায়ি ৯৫ শতাংশ বই পৌঁছেছে জেলাটিতে।
যশোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম বলেন, ‘এখনো সব বই ছাপা হয়নি। সেগুলো ছাপার কাজ চলছে। চাহিদার বিপরীতে ছাপা হওয়া বই প্রতিনিয়তই আমাদের হাতে আসছে। আমরা সেগুলো বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি শিক্ষার্থীরা জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সব বই পেয়ে যাবে।’
যশোর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৮ উপজেলায় মোট ২৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৭টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে সদরে। এখানে ৯ লাখ ৪ হাজার ৬২০টি বইয়ের চাহিদা আছে। এ ছাড়া মনিরামপুরে ৪ লাখ ৩১৩, শার্শায় ৩ লাখ ৬ হাজার ৫১৭, অভয়নগরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯০, ঝিকরগাছায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৫, কেশবপুরে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯৮, চৌগাছায় ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬৩ এবং বাঘারপাড়ায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬১ বইয়ের চাহিদা রয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত চাহিদার বিপরীতে সদর উপজেলা, বাঘারপাড়া ও শার্শায় ৩৩ শতাংশ, ঝিকরগাছায় ৩২ শতাংশ, অভয়নগরে ৩১ শতাংশ, মনিরামপুরে ২৭ এবং চৌগাছা ও কেশবপুরে ২৬ শতাংশ মাধ্যমিকের বই মিলেছে।
এ কে এম গোলাম আযম জানিয়েছেন, দাখিলের ক্ষেত্রে সদরে ৫১ শতাংশ, শার্শা ও ঝিকরগাছায় ২৮ শতাংশ, বাঘারপাড়ায় ২৫ শতাংশ, অভয়নগরে ২১ শতাংশ, কেশবপুরে ৪, চৌগাছায় ৩ শতাংশ বই এলেও মনিরামপুরে চাহিদার বিপরীতে কোনো বই আসেনি। অন্য দিকে ইবতেদায়ি ক্ষেত্রে শুধু কেশবপুরে চাহিদার ৬৩ শতাংশ বই এসেছে। বাকি ৭ উপজেলার সবগুলোতেই শত ভাগ বই সরবরাহ করা হয়েছে।
এ দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রাথমিকে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪৭ টি।
এর মধ্যে সদর উপজেলাতে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৮৫টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া অভয়নগরে ১ লাখ ১৭ হাজার ১৩৫, কেশবপুরে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৫, চৌগাছায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৪২৪, ঝিকরগাছায় ১ লাখ ৯০ হাজার ২৫০, বাঘারপাড়ায় ৯৯ হাজার ৭৬৬, মনিরামপুরে ২ লাখ ৯ হাজার ৩৭২ ও শার্শায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ২২৯টি বইয়ের চাহিদা আছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘বুধবার পর্যন্ত জেলার অভয়নগর, চৌগাছা ও ঝিকরগাছায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শত ভাগ বই এসে পৌঁছেছে। এ ছাড়া মনিরামপুর ও সদরে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণির শত ভাগ বই মিলেছে। আর বাঘারপাড়া ও কেশবপুরে এসেছে শুধুমাত্র প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই। সব মিলিয়ে জেলায় প্রাথমিকের ৭৩ শতাংশ বই এসে পৌঁছেছে। যা ইতিমধ্যে স্ব-স্ব উপজেলা থেকে বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’
এক দিন পরেই শুরু নতুন বছর। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী না আসায় জানুয়ারির শুরুতেই এবার নতুন বই পাচ্ছে না যশোরের অনেক শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার পর্যন্ত জেলায় প্রাথমিকের নতুন বই এসেছে চাহিদার ৭৩ শতাংশ। সবচেয়ে কম এসেছে মাধ্যমিক স্তরের, মাত্র ৩১ শতাংশ।
তবে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, জানুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে নতুন বই পৌঁছিয়ে দেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত জেলায় চাহিদার মোট ৭৩ শতাংশ বই এসে পৌঁছেছে। ভারত থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই আসার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ে গেছে। শিগগিরই সেগুলোর চালান হাতে এসেছে পৌঁছাবে। সে ক্ষেত্রে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীর হাতে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
তবে সংশয় রয়েছে মাধ্যমিক, দাখিল ও কারিগরি শাখার এসএসসির বই নিয়ে। এখন পর্যন্ত জেলায় মাধ্যমিকের ৩১ শতাংশ, দাখিলের ২২ শতাংশ বই এলেও এসএসসি (কারিগরি) চাহিদার এক শতাংশ বইও আসেনি। তবে ইবতেদায়ি ৯৫ শতাংশ বই পৌঁছেছে জেলাটিতে।
যশোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম বলেন, ‘এখনো সব বই ছাপা হয়নি। সেগুলো ছাপার কাজ চলছে। চাহিদার বিপরীতে ছাপা হওয়া বই প্রতিনিয়তই আমাদের হাতে আসছে। আমরা সেগুলো বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি শিক্ষার্থীরা জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সব বই পেয়ে যাবে।’
যশোর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৮ উপজেলায় মোট ২৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৭টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে সদরে। এখানে ৯ লাখ ৪ হাজার ৬২০টি বইয়ের চাহিদা আছে। এ ছাড়া মনিরামপুরে ৪ লাখ ৩১৩, শার্শায় ৩ লাখ ৬ হাজার ৫১৭, অভয়নগরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯০, ঝিকরগাছায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৫, কেশবপুরে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯৮, চৌগাছায় ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬৩ এবং বাঘারপাড়ায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬১ বইয়ের চাহিদা রয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত চাহিদার বিপরীতে সদর উপজেলা, বাঘারপাড়া ও শার্শায় ৩৩ শতাংশ, ঝিকরগাছায় ৩২ শতাংশ, অভয়নগরে ৩১ শতাংশ, মনিরামপুরে ২৭ এবং চৌগাছা ও কেশবপুরে ২৬ শতাংশ মাধ্যমিকের বই মিলেছে।
এ কে এম গোলাম আযম জানিয়েছেন, দাখিলের ক্ষেত্রে সদরে ৫১ শতাংশ, শার্শা ও ঝিকরগাছায় ২৮ শতাংশ, বাঘারপাড়ায় ২৫ শতাংশ, অভয়নগরে ২১ শতাংশ, কেশবপুরে ৪, চৌগাছায় ৩ শতাংশ বই এলেও মনিরামপুরে চাহিদার বিপরীতে কোনো বই আসেনি। অন্য দিকে ইবতেদায়ি ক্ষেত্রে শুধু কেশবপুরে চাহিদার ৬৩ শতাংশ বই এসেছে। বাকি ৭ উপজেলার সবগুলোতেই শত ভাগ বই সরবরাহ করা হয়েছে।
এ দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রাথমিকে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪৭ টি।
এর মধ্যে সদর উপজেলাতে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৮৫টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া অভয়নগরে ১ লাখ ১৭ হাজার ১৩৫, কেশবপুরে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৫, চৌগাছায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৪২৪, ঝিকরগাছায় ১ লাখ ৯০ হাজার ২৫০, বাঘারপাড়ায় ৯৯ হাজার ৭৬৬, মনিরামপুরে ২ লাখ ৯ হাজার ৩৭২ ও শার্শায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ২২৯টি বইয়ের চাহিদা আছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘বুধবার পর্যন্ত জেলার অভয়নগর, চৌগাছা ও ঝিকরগাছায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শত ভাগ বই এসে পৌঁছেছে। এ ছাড়া মনিরামপুর ও সদরে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণির শত ভাগ বই মিলেছে। আর বাঘারপাড়া ও কেশবপুরে এসেছে শুধুমাত্র প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই। সব মিলিয়ে জেলায় প্রাথমিকের ৭৩ শতাংশ বই এসে পৌঁছেছে। যা ইতিমধ্যে স্ব-স্ব উপজেলা থেকে বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে