রাজশাহীতে ফাঁকা বাড়িতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের লাশ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষকের নাম মায়া রানী ঘোষ (৬৮)। তিনি রাজশাহী নগরীর মন্নুজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। অবসর নিয়েছেন ২০১০ সালে।

মায়া রানী নগরীর কুমারপাড়া ঘোষপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। তাই বাড়িতে একাই থাকতেন। মায়া রানীর গলায় সোনার চেইন, হাতের বালা, কানের দুল এবং মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। এ থেকে পুলিশ ধারণা করছে, শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যার পর এসব নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে বৃদ্ধা গৃহকর্মী হেনা ঘোষ বাড়িতে এসে মায়া রানীকে চা বানিয়ে দিয়ে যান। পরে প্রতিবেশী এক নারী এসে দুধও দিয়ে যান। এরপর বাড়িতে একাই ছিলেন মায়া রানী। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মায়া রানীর পালিত মেয়ে পুতুল ঘোষ বাড়িতে এসে একটি ঘরের মেঝেতে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।

বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ যায়। ওসি জানান, স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি মায়া রানীর মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যায়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে হত্যার পর এসব নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর মায়া রানীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্তের কাজ শুরু করেছে। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা করা হবে বলেও জানান ওসি।