সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে বাঁশখালীতে চাঞ্চল্যকর ৩১ জেলে হত্যাকাণ্ডের মামলায় সিআইডির প্রতিবেদন থেকে বাদ পড়েছিল ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, তাঁর সহযোগী মো. নাসিরের নাম। তবে এই দুজনসহ চল্লিশজনকে আসামি করে সম্প্রতি অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। শিগগিরই অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
২০১৩ সালের ২৪ মার্চ ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের কবলে পড়েন ৩৮ জন মাঝি-মাল্লা। এর মধ্যে ৩১ জেলেকে হত্যা করে দুটি নৌকা এবং মাছ লুট করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। তিনজন প্রাণে রক্ষা পান। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল কুতুবদিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন শাহাব উদ্দিন নামের এক নিহতের স্বজন। এতে অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়। আট দিন পর কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩৮ জনকে আসামি করে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন আরেক নিহতের বাবা হাবিবুর রহমান। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি থানা-পুলিশের পর ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি মামলার তদন্তভার নেয় কক্সবাজার সিআইডি।
ওই ঘটনার আট বছর পর গত ২৬ অক্টোবর কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির কক্সবাজার জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুল আমীন। অভিযোগপত্রে পলাতক ২৬ জনসহ মোট ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছিল। আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় ২৬ জনকে। এ মামলায় মোট সাক্ষী করা হয় ৪০ জনকে। গত ১ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের ওপর শুনানির দিন ছিল। মামলার এজাহারভুক্ত ২৪ ও ২৫ নম্বর আসামি নাসির ও ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত।
কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও শাখার ঝন্টু মজুমদার গতকাল শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা কয়েকজন আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে আদালত বাদ দেওয়া আসামিদের মধ্যে হারুন ও নাসিরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। আগামী ২৬ জানুয়ারি আদালতে মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারিত আছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ইউপি চেয়ারম্যান হারুনসহ ৪০ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটির বিচার শুরু হবে।
অভিযোগপত্রে মামলা থেকে যাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন মো. এনামুল হক, মকসুদ, মো. কালু, আহম্মদ উল্লা, মো. ইয়াছিন, মো. বাবুল, মো. শহীদুল্লাহ, মো. জব্বার, নেজাম উদ্দিন, মো. শাহজাহান, মো. করিম, রহিমা বেগম, রমিজ আহাম্মদ, মো. ইসহাক, মো. ইউনুছ, আব্দুর রহিম ওরফে রইস্যা, মোজাম্মেল হক, ছালেহ আহাম্মদ, আবদুর রহিম, গিয়াস উদ্দিন, মোর্শেদ আলম, রেজাউল করিম, কামাল, শিমুল।
অভিযোগপত্রে থাকা ৪০ আসামি হলেন মো. ওয়াসিম, মো. ফেরদৌস, আহাম্মদ কবির, মঞ্জুর আলম, আব্দুল জব্বার, ওবায়েদ উল্লাহ, লাল মিয়া, আব্দুল হাকিম ওরফে বাইশ্যা, জাকের আহম্মদ, মোজাম্মেল, নুরুল কাদের, আব্দুল গফুর, আক্তার হোসেন, আমিন ওরফে আমিন্যা ডাকাত, জসিম উদ্দিন, মো. রফিক, মমতাজ, কামাল উদ্দিন ওরফে কামাল মাঝি, এরফানুল হক, রবি আলম, মোর্শেদ, আবু বক্কর, মো. ইয়াছিন, সোহাগ, মো. জমির, মামুন, রবিউল আলম, রবি আলম, মো. সেলিম, হোসাইন, আলী আকবর, বশির আহাম্মদ। এদের মধ্যে ২৬ জন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে। এ ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন ও তাঁর সহযোগী নাসিরকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্য ৬ আসামির মধ্যে দিদারুল ইসলাম ওরফে ডাকাত দিদার, আরিফ, আমান উল্ল্যা, আলিম ওরফে আলম ডাকাত, বাহাদুর ওরফে বাহাদুর ইসলাম, বাদশা ওরফে বাদশ্যা মাঝি বন্দুকযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময় মারা যান। এদের মধ্যে গত ১৩ সেপ্টেম্বর র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান আলম ডাকাত।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ২০১৩ সালের ১৬ জুন সাগরে ৩১ মাঝিমাল্লা হত্যার দায় স্বীকার করে বাঁশখালীর ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আসামি মো. ওয়াসিম (৩০) নামে এক জলদস্যু। তিনি জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, তাঁদের (ডাকাতদের) চিনে ফেলায় ৩১ মাঝিমাল্লাদের হত্যা করা হয়। তিনি যে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করেন এর মধ্যে চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ও নাসিরের নাম ছিল।
এ ঘটনায় নিহত আবদুর নুরের বাবা বদিউল আলম বলেন, ‘যাঁদের জন্য আমি ছেলেকে হারিয়েছি তাঁদের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আসামিদের বিচার চাইতে গিয়ে এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে!’
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুল আমীন বলেন, তদন্তে যাঁদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে তাঁদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে বাঁশখালীতে চাঞ্চল্যকর ৩১ জেলে হত্যাকাণ্ডের মামলায় সিআইডির প্রতিবেদন থেকে বাদ পড়েছিল ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, তাঁর সহযোগী মো. নাসিরের নাম। তবে এই দুজনসহ চল্লিশজনকে আসামি করে সম্প্রতি অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। শিগগিরই অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
২০১৩ সালের ২৪ মার্চ ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের কবলে পড়েন ৩৮ জন মাঝি-মাল্লা। এর মধ্যে ৩১ জেলেকে হত্যা করে দুটি নৌকা এবং মাছ লুট করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। তিনজন প্রাণে রক্ষা পান। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল কুতুবদিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন শাহাব উদ্দিন নামের এক নিহতের স্বজন। এতে অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়। আট দিন পর কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩৮ জনকে আসামি করে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন আরেক নিহতের বাবা হাবিবুর রহমান। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি থানা-পুলিশের পর ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি মামলার তদন্তভার নেয় কক্সবাজার সিআইডি।
ওই ঘটনার আট বছর পর গত ২৬ অক্টোবর কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির কক্সবাজার জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুল আমীন। অভিযোগপত্রে পলাতক ২৬ জনসহ মোট ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছিল। আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় ২৬ জনকে। এ মামলায় মোট সাক্ষী করা হয় ৪০ জনকে। গত ১ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের ওপর শুনানির দিন ছিল। মামলার এজাহারভুক্ত ২৪ ও ২৫ নম্বর আসামি নাসির ও ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত।
কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও শাখার ঝন্টু মজুমদার গতকাল শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা কয়েকজন আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে আদালত বাদ দেওয়া আসামিদের মধ্যে হারুন ও নাসিরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। আগামী ২৬ জানুয়ারি আদালতে মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারিত আছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ইউপি চেয়ারম্যান হারুনসহ ৪০ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটির বিচার শুরু হবে।
অভিযোগপত্রে মামলা থেকে যাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন মো. এনামুল হক, মকসুদ, মো. কালু, আহম্মদ উল্লা, মো. ইয়াছিন, মো. বাবুল, মো. শহীদুল্লাহ, মো. জব্বার, নেজাম উদ্দিন, মো. শাহজাহান, মো. করিম, রহিমা বেগম, রমিজ আহাম্মদ, মো. ইসহাক, মো. ইউনুছ, আব্দুর রহিম ওরফে রইস্যা, মোজাম্মেল হক, ছালেহ আহাম্মদ, আবদুর রহিম, গিয়াস উদ্দিন, মোর্শেদ আলম, রেজাউল করিম, কামাল, শিমুল।
অভিযোগপত্রে থাকা ৪০ আসামি হলেন মো. ওয়াসিম, মো. ফেরদৌস, আহাম্মদ কবির, মঞ্জুর আলম, আব্দুল জব্বার, ওবায়েদ উল্লাহ, লাল মিয়া, আব্দুল হাকিম ওরফে বাইশ্যা, জাকের আহম্মদ, মোজাম্মেল, নুরুল কাদের, আব্দুল গফুর, আক্তার হোসেন, আমিন ওরফে আমিন্যা ডাকাত, জসিম উদ্দিন, মো. রফিক, মমতাজ, কামাল উদ্দিন ওরফে কামাল মাঝি, এরফানুল হক, রবি আলম, মোর্শেদ, আবু বক্কর, মো. ইয়াছিন, সোহাগ, মো. জমির, মামুন, রবিউল আলম, রবি আলম, মো. সেলিম, হোসাইন, আলী আকবর, বশির আহাম্মদ। এদের মধ্যে ২৬ জন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে। এ ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন ও তাঁর সহযোগী নাসিরকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্য ৬ আসামির মধ্যে দিদারুল ইসলাম ওরফে ডাকাত দিদার, আরিফ, আমান উল্ল্যা, আলিম ওরফে আলম ডাকাত, বাহাদুর ওরফে বাহাদুর ইসলাম, বাদশা ওরফে বাদশ্যা মাঝি বন্দুকযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময় মারা যান। এদের মধ্যে গত ১৩ সেপ্টেম্বর র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান আলম ডাকাত।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ২০১৩ সালের ১৬ জুন সাগরে ৩১ মাঝিমাল্লা হত্যার দায় স্বীকার করে বাঁশখালীর ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আসামি মো. ওয়াসিম (৩০) নামে এক জলদস্যু। তিনি জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, তাঁদের (ডাকাতদের) চিনে ফেলায় ৩১ মাঝিমাল্লাদের হত্যা করা হয়। তিনি যে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করেন এর মধ্যে চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ও নাসিরের নাম ছিল।
এ ঘটনায় নিহত আবদুর নুরের বাবা বদিউল আলম বলেন, ‘যাঁদের জন্য আমি ছেলেকে হারিয়েছি তাঁদের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আসামিদের বিচার চাইতে গিয়ে এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে!’
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুল আমীন বলেন, তদন্তে যাঁদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে তাঁদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে