নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর নিয়ামতপুরে সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ও সংস্কৃতি। মিশে আছে হাজার বছরের ইতিহাস ও নানা অনুষঙ্গ।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলা সদরের বালাহৈর, টিকরামপুর, ধর্মপুর, অর্জুনপুর গ্রামে আমন ধান ওঠানোর পর আয়োজন করা হয় নবান্ন উৎসব। আর নবান্ন উৎসবের মূল আকর্ষণ থাকে গ্রামীণ যাত্রাপালা নিয়ে। যাত্রাপালা দেখার জন্য আত্মীয়স্বজনেরা বেড়াতে আসেন। সন্ধ্যার পর যাত্রাপালা দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসেন।
সন্ধ্যার পর থেকেই দোকানি হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। যেন মেলায় পরিণত হয় চারপাশ। নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করার জন্য গ্রামের পুরুষ ও নারীরা খেজুর পাতার পাটি, বস্তা বিছিয়ে রাখেন।
যাত্রাপালায় অংশগ্রহণের জন্য গ্রামের তরুণেরা বেশ আগ্রহী। কয়েক দিন মহড়ায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের তৈরি করে নেন। যাত্রাপালার বাদ্য-বাজনা বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সবাই এক জায়গায় জমায়েত হন। গভীর রাত ধরে চলে যাত্রাপালা।
বালাহৈর গ্রামের সম্ভু দাস বলেন, সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন তিনি যাত্রাপালা দেখার জন্য। এখন আগের মতো আর নবান্ন উৎসব ও যাত্রাপালা হয় না। তবে আয়োজন হচ্ছে বলে ভালো লাগছে।
একই গ্রামের হরিদাস বলেন, নবান্নে যাত্রাপালার কথা শুনলেই মন ভরে যেত। আগে যাত্রা দেখার জন্য প্রহর গুনতেন তিনি। কিন্তু আগের মতো যাত্রাদল না থাকায় এলাকার ছেলেরা আয়োজন করছে। কিছু শিল্পী নিয়ে এসে কোনো রকমে আয়জন করা হচ্ছে, যা দেখে মনে প্রশান্তি আসে না।
নিয়ামতপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম বলেন, দিনবদলের পালায় মানুষের কাছে অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে নবান্নের আনন্দ। আগে নতুন ধান গোলায় ওঠার সময় যেভাবে উৎসবের আমেজ বিরাজ করত, তা এখন হারিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য নবান্ন উৎসব ও গ্রামীণ যাত্রাপালা অল্প পরিসরে চলছে।
বজলুর রহমান নঈম আরও বলেন, নবান্ন উৎসবের মতো যাত্রাপালাও হারিয়ে যেতে বসেছে। সংস্কৃতি পাল্টে যাওয়ার কারণে এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ও সংস্কৃতি। মিশে আছে হাজার বছরের ইতিহাস ও নানা অনুষঙ্গ।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলা সদরের বালাহৈর, টিকরামপুর, ধর্মপুর, অর্জুনপুর গ্রামে আমন ধান ওঠানোর পর আয়োজন করা হয় নবান্ন উৎসব। আর নবান্ন উৎসবের মূল আকর্ষণ থাকে গ্রামীণ যাত্রাপালা নিয়ে। যাত্রাপালা দেখার জন্য আত্মীয়স্বজনেরা বেড়াতে আসেন। সন্ধ্যার পর যাত্রাপালা দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসেন।
সন্ধ্যার পর থেকেই দোকানি হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। যেন মেলায় পরিণত হয় চারপাশ। নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করার জন্য গ্রামের পুরুষ ও নারীরা খেজুর পাতার পাটি, বস্তা বিছিয়ে রাখেন।
যাত্রাপালায় অংশগ্রহণের জন্য গ্রামের তরুণেরা বেশ আগ্রহী। কয়েক দিন মহড়ায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের তৈরি করে নেন। যাত্রাপালার বাদ্য-বাজনা বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সবাই এক জায়গায় জমায়েত হন। গভীর রাত ধরে চলে যাত্রাপালা।
বালাহৈর গ্রামের সম্ভু দাস বলেন, সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন তিনি যাত্রাপালা দেখার জন্য। এখন আগের মতো আর নবান্ন উৎসব ও যাত্রাপালা হয় না। তবে আয়োজন হচ্ছে বলে ভালো লাগছে।
একই গ্রামের হরিদাস বলেন, নবান্নে যাত্রাপালার কথা শুনলেই মন ভরে যেত। আগে যাত্রা দেখার জন্য প্রহর গুনতেন তিনি। কিন্তু আগের মতো যাত্রাদল না থাকায় এলাকার ছেলেরা আয়োজন করছে। কিছু শিল্পী নিয়ে এসে কোনো রকমে আয়জন করা হচ্ছে, যা দেখে মনে প্রশান্তি আসে না।
নিয়ামতপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম বলেন, দিনবদলের পালায় মানুষের কাছে অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে নবান্নের আনন্দ। আগে নতুন ধান গোলায় ওঠার সময় যেভাবে উৎসবের আমেজ বিরাজ করত, তা এখন হারিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য নবান্ন উৎসব ও গ্রামীণ যাত্রাপালা অল্প পরিসরে চলছে।
বজলুর রহমান নঈম আরও বলেন, নবান্ন উৎসবের মতো যাত্রাপালাও হারিয়ে যেতে বসেছে। সংস্কৃতি পাল্টে যাওয়ার কারণে এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে