পাবনা সদরের মালিগাছা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ঘোড়াপ্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুনতাজ আলীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উম্মাত আলীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এদিকে নওগাঁর ধামইরহাটের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে হুমকি, ভয়ভীতি ও ক্যাম্প ভাঙচুরের বিষয় নিয়ে স্বতন্ত্র চার চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।

পাবনায় কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুনতাজ আলী।

মুনতাজ আলী লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে তাঁর সমর্থক ও কর্মীরা টেবুনিয়া সিড গোডাউন সংলগ্ন মোড়ে নির্বাচনের পোস্টার সাঁটাতে যান। ওই সময় মালিগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী উম্মাত আলীর সমর্থকেরা তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে তাঁর কর্মী চান মিয়া গুরুতর আহত হন। পরবর্তী সময়ে ঘোষপাড়ায় বহিরাগত সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে হামলায় তাঁর চাচাশ্বশুর আবদুল রহিম শেখ ও তাঁর ছেলে আসাদুজ্জামান রানা আহত হন।

এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী উম্মাত আলী বলেন, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। মালিগাছা ইউপির কোথাও কোনো হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তিনি নৌকার বিজয় নিশ্চিত দেখে অপপ্রচার চালিয়ে ফায়দা লুটতে চাচ্ছেন।

এদিকে নওগাঁর ধামইরহাটের ইউপি নির্বাচনে নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে হুমকি, ভয়ভীতি ও ক্যাম্প ভাঙচুরসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে চার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গিয়ে জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশিদের কাছে তাঁরা অভিযোগপত্র জমা দেন।

প্রার্থীরা হলেন—ধামইরহাট ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউল আলম, জাহানপুর ইউপির ওসমান আলী, ইসবপুর ইউপির কায়েশ বাদল ও উমার ইউপির মাসুদ রানা।

লিখিত অভিযোগে তাঁরা দাবি করেন, এভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকলে আগামী ২৬ ডিসেম্বরের ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।

ধামইরহাট ইউপির আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান বলেন, তাঁদের জনপ্রিয়তা নেই বলেই এমন অভিযোগ তুলে তাঁর ইমেজ নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ জানান, নওগাঁয় বিগত নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়েছে। আগামী নির্বাচনগুলো নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।