এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া
রাজশাহীর পুঠিয়ায় প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে কৃষক। কৃষিযন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকেই মাঝেমধ্যে অভিযোগ নিয়ে আসছেন পুঠিয়ার কৃষি দপ্তরে।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, রাজশাহীর পুঠিয়ায় সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি স্থানীয় চাষি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের টার্গেট করে তাঁদের নম্বর সংগ্রহ করছে। এরপর তাঁদের মোবাইলে ফোন দিয়ে সরকারিভাবে বিভিন্ন কৃষিযন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কৃষিযন্ত্রপাতি পাওয়ার তালিকায় নাম লেখানোর নিশ্চয়তা দিয়ে দাবি করা হচ্ছে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে সেই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই কোনো প্রকার যাচাই না করেই প্রতারকদের দাবি পূরণ করে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
কামাল উদ্দীন নামের একজন ভুক্তভোগী বলেন, গত মাসে তাঁর মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে পরিচয় দেওয়া হয়, তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মচারী। আরও বলা হয়, জমি চাষ করার জন্য তাঁর নামে একটি পাওয়ার টিলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে বিনা মূল্যে তা দেওয়া হবে। যন্ত্রটি নিতে চাইলে এক ঘণ্টার মধ্যে ওই নম্বরে কল করে নিশ্চিত করতে বলা হয়। এক ঘণ্টা পর ওই নম্বরে কল দিয়ে তিনি পাওয়ার টিলারটি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর ফোনের অপর প্রান্তের ওই ব্যক্তি অফিসের সবাইকে মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য ৫ হাজার টাকা চান। এরপর ওই নম্বরে বিকাশে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপরই নম্বরটি বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় কৃষি অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, একজন নারীসহ ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ সদস্য সম্প্রতি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাঁরা বিনা মূল্যে কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিতে চেয়েছিলেন। এরপর প্রতারক চক্রটি তাঁদের কাছ থেকে ৩-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। এ রকম শুধু জনপ্রতিনিধিরা একা হননি; এলাকার অনেক চাষি একই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইন বলেন, সরকার কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের মধ্যে বিভিন্ন কৃষি উপকরণের ওপর অর্ধেক ভর্তুকি দিচ্ছে। যন্ত্রগুলোর মধ্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টর, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, ধান কাটা, ভুট্টা ও গম মাড়াই যন্ত্র রয়েছে। তবে প্রথমে চাষিদের চাহিদা অনুযায়ী একটি তালিকা তৈরি করা হয়। পরে সেই তালিকা মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে উপকরণগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর বরাদ্দকৃত কৃষিযন্ত্রপাতিগুলো তালিকাভুক্ত কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শামসুন্নাহার ভূঁইয়া বলেন, কিছু লোকজন আছেন, যাঁরা লোভে পড়ে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছেন। এমন অভিযোগ মাঝেমধ্যে অফিসে আসে। কিন্তু কৃষি বিভাগের তালিকানুসারে বিভিন্ন কৃষিযন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। সেসব যন্ত্রের মূল্যের অর্ধেক সরকার ভর্তুকি দেয়, আর বাকি অর্ধেক টাকা চাষিরা পরিশোধ করেন। এরপর তাঁদের মধ্যে যন্ত্রগুলো সরবরাহ করা হয়। তবে তার আগে যে চাষিরা যন্ত্র নিতে আগ্রহী, তাঁদের অফিসে আসতে হবে। আর তাঁদের চাহিদার বিষয়টি জানাবেন বা আবেদন করবেন। আবেদনের সে তালিকা অনুমোদন সাপেক্ষে কৃষিযন্ত্রপাতিগুলো বরাদ্দ আসে। এ ক্ষেত্রে অফিস কারও কাছ থেকে কোনো অর্থ নেয় না।
জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, কৃষিযন্ত্রপাতি দেওয়ার নামে প্রতারণার কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত থানায় আসেনি। এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার ভূঁইয়া আরও বলেন, কয়েক হাজার টাকা প্রতারণার শিকার হয়ে কেউ তেমন থানায় অভিযোগ করতে চান না। এর সুযোগ নিচ্ছে প্রতারক চক্রটি। চাষিদের কোনো যন্ত্রের প্রয়োজন হলে তাঁরা যেন কোনো প্রতারক বা ঠকবাজের কথায় কান না দেন। চাষিরা সরাসরি যেন অফিসে এসে যোগাযোগ করেন। আর এ ধরনের প্রতারণার বিষয়ে সবাই যেন সতর্ক থাকেন, এ জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
রাজশাহীর পুঠিয়ায় প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে কৃষক। কৃষিযন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকেই মাঝেমধ্যে অভিযোগ নিয়ে আসছেন পুঠিয়ার কৃষি দপ্তরে।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, রাজশাহীর পুঠিয়ায় সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি স্থানীয় চাষি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের টার্গেট করে তাঁদের নম্বর সংগ্রহ করছে। এরপর তাঁদের মোবাইলে ফোন দিয়ে সরকারিভাবে বিভিন্ন কৃষিযন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কৃষিযন্ত্রপাতি পাওয়ার তালিকায় নাম লেখানোর নিশ্চয়তা দিয়ে দাবি করা হচ্ছে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে সেই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই কোনো প্রকার যাচাই না করেই প্রতারকদের দাবি পূরণ করে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
কামাল উদ্দীন নামের একজন ভুক্তভোগী বলেন, গত মাসে তাঁর মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে পরিচয় দেওয়া হয়, তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মচারী। আরও বলা হয়, জমি চাষ করার জন্য তাঁর নামে একটি পাওয়ার টিলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে বিনা মূল্যে তা দেওয়া হবে। যন্ত্রটি নিতে চাইলে এক ঘণ্টার মধ্যে ওই নম্বরে কল করে নিশ্চিত করতে বলা হয়। এক ঘণ্টা পর ওই নম্বরে কল দিয়ে তিনি পাওয়ার টিলারটি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর ফোনের অপর প্রান্তের ওই ব্যক্তি অফিসের সবাইকে মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য ৫ হাজার টাকা চান। এরপর ওই নম্বরে বিকাশে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপরই নম্বরটি বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় কৃষি অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, একজন নারীসহ ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ সদস্য সম্প্রতি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাঁরা বিনা মূল্যে কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিতে চেয়েছিলেন। এরপর প্রতারক চক্রটি তাঁদের কাছ থেকে ৩-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। এ রকম শুধু জনপ্রতিনিধিরা একা হননি; এলাকার অনেক চাষি একই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইন বলেন, সরকার কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের মধ্যে বিভিন্ন কৃষি উপকরণের ওপর অর্ধেক ভর্তুকি দিচ্ছে। যন্ত্রগুলোর মধ্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টর, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, ধান কাটা, ভুট্টা ও গম মাড়াই যন্ত্র রয়েছে। তবে প্রথমে চাষিদের চাহিদা অনুযায়ী একটি তালিকা তৈরি করা হয়। পরে সেই তালিকা মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে উপকরণগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর বরাদ্দকৃত কৃষিযন্ত্রপাতিগুলো তালিকাভুক্ত কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শামসুন্নাহার ভূঁইয়া বলেন, কিছু লোকজন আছেন, যাঁরা লোভে পড়ে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছেন। এমন অভিযোগ মাঝেমধ্যে অফিসে আসে। কিন্তু কৃষি বিভাগের তালিকানুসারে বিভিন্ন কৃষিযন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। সেসব যন্ত্রের মূল্যের অর্ধেক সরকার ভর্তুকি দেয়, আর বাকি অর্ধেক টাকা চাষিরা পরিশোধ করেন। এরপর তাঁদের মধ্যে যন্ত্রগুলো সরবরাহ করা হয়। তবে তার আগে যে চাষিরা যন্ত্র নিতে আগ্রহী, তাঁদের অফিসে আসতে হবে। আর তাঁদের চাহিদার বিষয়টি জানাবেন বা আবেদন করবেন। আবেদনের সে তালিকা অনুমোদন সাপেক্ষে কৃষিযন্ত্রপাতিগুলো বরাদ্দ আসে। এ ক্ষেত্রে অফিস কারও কাছ থেকে কোনো অর্থ নেয় না।
জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, কৃষিযন্ত্রপাতি দেওয়ার নামে প্রতারণার কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত থানায় আসেনি। এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার ভূঁইয়া আরও বলেন, কয়েক হাজার টাকা প্রতারণার শিকার হয়ে কেউ তেমন থানায় অভিযোগ করতে চান না। এর সুযোগ নিচ্ছে প্রতারক চক্রটি। চাষিদের কোনো যন্ত্রের প্রয়োজন হলে তাঁরা যেন কোনো প্রতারক বা ঠকবাজের কথায় কান না দেন। চাষিরা সরাসরি যেন অফিসে এসে যোগাযোগ করেন। আর এ ধরনের প্রতারণার বিষয়ে সবাই যেন সতর্ক থাকেন, এ জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে