রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ‘রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার’ পুনর্নির্মাণকাজ। কথা ছিল, পুরোনো গ্রন্থাগারের জায়গায় ৫২ ফুট উঁচু পাঁচতলা ভবনের সমান স্থাপনা নির্মাণ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরসিসিএল-আরইএমসি জেভি। এ ছাড়া ৩০০ আসনের একটি উন্নতমানের মিলনায়তনও নির্মাণ করে দেওয়ার কথা ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু পাইলিং শেষে পিলারের অর্ধেক উঠিয়েই শেষ হয়ে গেছে বরাদ্দের টাকা। ইতিমধ্যে খরচ করা হয়েছে ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
এদিকে, ঐতিহ্যবাহী এ গ্রন্থাগার ভেঙে ফেলে কাজ শেষ করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
দিঘাপতিয়ার রাজা প্রমথনাথ রায় রাজশাহীতে একটি গ্রন্থাগার করার জন্য ৪৪ শতাংশ জমি দান করেন। পরে কাসিমপুরের জমিদার কেদার প্রসন্ন লাহিড়ী সেখানে নির্মাণ করেন দোতলা একটি গ্রন্থাগার। তারপর ১৩৩ বছর দাঁড়িয়ে ছিল সেই গ্রন্থাগার। শহরের প্রাণকেন্দ্র ঘোড়ামারা এলাকায় এই গ্রন্থাগারের নাম ছিল ‘রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার’।
গ্রন্থাগারটিতে ছিল ১০টি কক্ষ। কাঠের ঘোরানো সিঁড়িতে ওঠা যেত দোতলায়। এখানে বই ছিল ৩৬ হাজার। নিচতলায় জমিদার কেদার প্রসন্ন লাহিড়ী করেছিলেন একটি মিলনায়তন। বাবার নামে কেদার প্রসন্ন লাহিড়ী এটির নাম রেখেছিলেন ‘গিরিশ চন্দ্র হল’। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৯টি বইয়ে নিজ হাতে স্বাক্ষর করে পাঠিয়েছিলেন এই গ্রন্থাগারে।
মহাত্মা গান্ধী, সরোজিনী নাইডু, সজনী কান্ত দাস, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, মোহিতলাল মজুমদার, জলধর সেন, স্যার আজিজুল হক, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, শরৎচন্দ্র বোসসহ অনেক গুণী ব্যক্তি এই গ্রন্থাগার পরিদর্শন করে অভিভূত হয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ওই গ্রন্থাগার ভবন আর থাকেনি। রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে ভেঙে ফেলা হয় গ্রন্থাগার ভবনটি। তারপর ভারত সরকারের দেওয়া ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা অনুদানে আধুনিক গ্রন্থাগার ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। পাইলিং শেষে কলাম পর্যন্ত উঠেই শেষ হয়ে গেছে বরাদ্দের টাকা। এখন প্রায় দুই বছর কাজ বন্ধ।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ভেঙে ফেলা হয় রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত সরকারের বরাদ্দের ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ছাড়াও সিটি করপোরেশন থেকে ৭০ লাখ টাকাসহ মোট ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে।
অথচ ভারতের দেওয়া টাকাতেই সব কাজ করে দেওয়ার কথা ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরসিসিএল-আরইএমসি জেভি এই নির্মাণকাজে হাত দিয়েছিল। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শেষ হয়ে গেছে প্রকল্পের মেয়াদ।
জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিথিন এন্টারপ্রাইজের মালিক শামসুজ্জামান রতন বলেন, ‘জায়গাটির মাটির অবস্থা ছিল খুব খারাপ। পাইলিং করে বিম তুলতেই টাকা শেষ হয়ে গেছে। তাই আর কাজ এগোয়নি। এখন সিটি করপোরেশন আরেকটা প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ শেষ করতে চায়। আমরা সে জন্য অপেক্ষা করছি।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রাজশাহীর সভাপতি আহম্মেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বর্বর, আমরা অযোগ্য। তাই এ রকম একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ধ্বংস করলাম। যাঁরা এটি গড়েছিলেন, তাঁদের ভাস্কর্য ভেঙে ফেললাম। তাঁদের নাম মুছে ফেললাম।’
রাজশাহীর প্রবীণ সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম বলেন, ‘রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার শুধু প্রাচীন স্থাপনা হিসেবেই ঐতিহ্যবাহী ছিল না, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে ছিল এর সঙ্গে। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাস চন্দ্রসহ অনেক খ্যাতিমান মানুষ এই গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অস্ত্র প্রশিক্ষণের ঐতিহাসিক সাক্ষীও ছিল ওই ভবনটি। সেটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে করতে না পারাটা হতাশাজনক।’
এ বিষয়ে রাসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল শুধু কলামের ওপরেই ভবন নির্মাণ করা যাবে। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু পরে দেখা গেল, জায়গার মাটি খুব খারাপ। সে জন্য পাইলিং করা হয়েছে। এটি করতে গিয়ে প্রকল্পের টাকা শেষ হয়ে যায়। সিটি করপোরেশন থেকেও বাড়তি টাকা খরচ করা হয়।’ তিনি জানান, কাজ শেষ করার জন্য গ্রন্থাগারটিকে রাসিকের তিন হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রকল্পের পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে। নতুন করে নকশা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হবে। তারপর নতুন করে কাজ শুরু হবে।
প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ‘রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার’ পুনর্নির্মাণকাজ। কথা ছিল, পুরোনো গ্রন্থাগারের জায়গায় ৫২ ফুট উঁচু পাঁচতলা ভবনের সমান স্থাপনা নির্মাণ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরসিসিএল-আরইএমসি জেভি। এ ছাড়া ৩০০ আসনের একটি উন্নতমানের মিলনায়তনও নির্মাণ করে দেওয়ার কথা ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু পাইলিং শেষে পিলারের অর্ধেক উঠিয়েই শেষ হয়ে গেছে বরাদ্দের টাকা। ইতিমধ্যে খরচ করা হয়েছে ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
এদিকে, ঐতিহ্যবাহী এ গ্রন্থাগার ভেঙে ফেলে কাজ শেষ করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
দিঘাপতিয়ার রাজা প্রমথনাথ রায় রাজশাহীতে একটি গ্রন্থাগার করার জন্য ৪৪ শতাংশ জমি দান করেন। পরে কাসিমপুরের জমিদার কেদার প্রসন্ন লাহিড়ী সেখানে নির্মাণ করেন দোতলা একটি গ্রন্থাগার। তারপর ১৩৩ বছর দাঁড়িয়ে ছিল সেই গ্রন্থাগার। শহরের প্রাণকেন্দ্র ঘোড়ামারা এলাকায় এই গ্রন্থাগারের নাম ছিল ‘রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার’।
গ্রন্থাগারটিতে ছিল ১০টি কক্ষ। কাঠের ঘোরানো সিঁড়িতে ওঠা যেত দোতলায়। এখানে বই ছিল ৩৬ হাজার। নিচতলায় জমিদার কেদার প্রসন্ন লাহিড়ী করেছিলেন একটি মিলনায়তন। বাবার নামে কেদার প্রসন্ন লাহিড়ী এটির নাম রেখেছিলেন ‘গিরিশ চন্দ্র হল’। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৯টি বইয়ে নিজ হাতে স্বাক্ষর করে পাঠিয়েছিলেন এই গ্রন্থাগারে।
মহাত্মা গান্ধী, সরোজিনী নাইডু, সজনী কান্ত দাস, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, মোহিতলাল মজুমদার, জলধর সেন, স্যার আজিজুল হক, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, শরৎচন্দ্র বোসসহ অনেক গুণী ব্যক্তি এই গ্রন্থাগার পরিদর্শন করে অভিভূত হয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ওই গ্রন্থাগার ভবন আর থাকেনি। রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে ভেঙে ফেলা হয় গ্রন্থাগার ভবনটি। তারপর ভারত সরকারের দেওয়া ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা অনুদানে আধুনিক গ্রন্থাগার ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। পাইলিং শেষে কলাম পর্যন্ত উঠেই শেষ হয়ে গেছে বরাদ্দের টাকা। এখন প্রায় দুই বছর কাজ বন্ধ।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ভেঙে ফেলা হয় রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত সরকারের বরাদ্দের ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ছাড়াও সিটি করপোরেশন থেকে ৭০ লাখ টাকাসহ মোট ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে।
অথচ ভারতের দেওয়া টাকাতেই সব কাজ করে দেওয়ার কথা ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরসিসিএল-আরইএমসি জেভি এই নির্মাণকাজে হাত দিয়েছিল। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শেষ হয়ে গেছে প্রকল্পের মেয়াদ।
জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিথিন এন্টারপ্রাইজের মালিক শামসুজ্জামান রতন বলেন, ‘জায়গাটির মাটির অবস্থা ছিল খুব খারাপ। পাইলিং করে বিম তুলতেই টাকা শেষ হয়ে গেছে। তাই আর কাজ এগোয়নি। এখন সিটি করপোরেশন আরেকটা প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ শেষ করতে চায়। আমরা সে জন্য অপেক্ষা করছি।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রাজশাহীর সভাপতি আহম্মেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বর্বর, আমরা অযোগ্য। তাই এ রকম একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ধ্বংস করলাম। যাঁরা এটি গড়েছিলেন, তাঁদের ভাস্কর্য ভেঙে ফেললাম। তাঁদের নাম মুছে ফেললাম।’
রাজশাহীর প্রবীণ সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম বলেন, ‘রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার শুধু প্রাচীন স্থাপনা হিসেবেই ঐতিহ্যবাহী ছিল না, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে ছিল এর সঙ্গে। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাস চন্দ্রসহ অনেক খ্যাতিমান মানুষ এই গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অস্ত্র প্রশিক্ষণের ঐতিহাসিক সাক্ষীও ছিল ওই ভবনটি। সেটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে করতে না পারাটা হতাশাজনক।’
এ বিষয়ে রাসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল শুধু কলামের ওপরেই ভবন নির্মাণ করা যাবে। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু পরে দেখা গেল, জায়গার মাটি খুব খারাপ। সে জন্য পাইলিং করা হয়েছে। এটি করতে গিয়ে প্রকল্পের টাকা শেষ হয়ে যায়। সিটি করপোরেশন থেকেও বাড়তি টাকা খরচ করা হয়।’ তিনি জানান, কাজ শেষ করার জন্য গ্রন্থাগারটিকে রাসিকের তিন হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রকল্পের পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে। নতুন করে নকশা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হবে। তারপর নতুন করে কাজ শুরু হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে