সেলিম হায়দার, তালা (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ৩ ইউনিয়নের ৬৬ গ্রামের মানুষেরা নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার অভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়নের ৩২ গ্রামের ৬২০০ পরিবার, জালালপুরের ১৩টি গ্রামের ৫৪০০ পরিবার এবং নগরঘাটা ইউনিয়নের ২১টি গ্রামের ৪২০০ পরিবার মিলে মোট ৩ ইউনিয়নের ৬৬ গ্রামের ১৫ হাজার ৮০০ পরিবার এখনো নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা সংকটে।
এসব গ্রামের অধিকাংশ মানুষ অগভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করেন। নলকূপগুলোর অধিকাংশই আয়রনযুক্ত। অধিকাংশ নলকূপের গোঁড়া এখনো পাকা নয়। নলকূপের গোড়ায় ময়লা আবর্জনায় ভরা।
অনেক পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করেন না। ৪-৫টি রিং এবং ১টি স্ল্যাব বসিয়ে তার ওপর বস্তা কিংবা কাপড় দিয়ে ঘিরে সেখানেই মলত্যাগ করেন প্রতিবন্ধী, বয়স্ক নারী, পুরুষ ও শিশুরা। একটি পায়খানা ৩-৪টি পরিবার ব্যবহার করছেন। পায়খানা ব্যবহারের পরে সাবান কিংবা ছাই দিয়ে হাত পরিষ্কার করার ব্যাপারেও সচেতন নন তাঁরা। তবে বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ এসব এলাকায় নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করছে।
জালালপুর ইউনিয়নের কানাইদিয়া গ্রামের অর্চনা দেবনাথ, আটুলিয়ার শাপলা খাতুন, খলিশখালি ইউনিয়নের বয়ারডাঙ্গা গ্রামের তাসলিমা বেগম, ফাহিমা বেগমসহ অনেকেই বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার সমস্যার কথা তুলে ধরে জানান, তাঁদের এলাকায় বর্ষাকালে ৫-৬ মাস জলাবদ্ধতা থাকে এবং লবণাক্ত থাকায় খাবার পানির কোনো ব্যবস্থা থাকেনা। প্রায় ২-৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এক কলস খাবার পানি আনতে হয়।
আবার এক ড্রাম পানি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে কিনে খাওয়া লাগে। বর্ষা মৌসুমে ভিটেবাড়িতে পানি জমে থাকায় পায়খানা করার মতো জায়গাও থাকে না। আর লবণাক্ত পানি ব্যবহারের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, চুলকানি, পাঁচড়া, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তারা। এ ছাড়া আর্সেনিকের কারণে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে।
তারা আরও জানান, বর্ষা মৌসমে জলাবদ্ধতা এবং এলাকায় শত শত মাছের ঘেরের কারণে পানি নিষ্কাশন হতে পারে না। এ সময় তাঁদের সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। ভুক্তভোগীরা নিরাপদ খাবার পানি, স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য উত্তরণের পাশাপাশি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জেঠুয়া জগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তরণের ওয়াশ প্রকল্পের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ে স্কুল ক্যাম্পেইন, শিক্ষকদের সঙ্গে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং এবং পানি, পায়খানা, হাত ধোয়া ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সভা করে থাকে। এ ছাড়া ছাত্রীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তাঁদের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে ন্যাপকিন কর্নার।’
উত্তরণের ওয়াই ওয়াশ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী হাসিনা পারভিন জানান, উপজেলার ৩ ইউনিয়নের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শত শত মানুষ নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা এবং হাইজিন সংকটে ভুগছে। তাঁদের নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন করার জন্য সরকারের পাশাপাশি কাজ করছে উত্তরণ।
এ ব্যাপারে জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু জানান, এলাকায় খাবার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের পাশাপাশি আর্সেনিকের সমস্যাও প্রকট। ভয়াবহ আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে অত্র এলাকার কৃষ্ণকাটী গ্রামের একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যুও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘খাবার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।’
তালা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান জানান, উপজেলার কয়েকটি এলাকায় সুপেয় পানির স্তর না পাওয়ায় ডিপটিউবওয়েল বসানো সম্ভব হয়ে উঠছে না। বিশেষ করে জালালপুর ও খলিশখালি ইউনিয়নে এই সমস্যা বেশি। কিন্তু ২০০ ফুটের মধ্যে কিছু টিউবওয়েল বসলেও তাতে প্রায় ৯৫ ভাগ আর্সেনিক ও আয়রনের সমস্যা থেকে যাচ্ছে। তবে নগরঘাটা এলাকার অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো।
তিনি আরও জানান, নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা আগের চেয়ে বর্তমানে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। খোলা স্থানে মলত্যাগের হারও প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ৩ ইউনিয়নের ৬৬ গ্রামের মানুষেরা নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার অভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়নের ৩২ গ্রামের ৬২০০ পরিবার, জালালপুরের ১৩টি গ্রামের ৫৪০০ পরিবার এবং নগরঘাটা ইউনিয়নের ২১টি গ্রামের ৪২০০ পরিবার মিলে মোট ৩ ইউনিয়নের ৬৬ গ্রামের ১৫ হাজার ৮০০ পরিবার এখনো নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা সংকটে।
এসব গ্রামের অধিকাংশ মানুষ অগভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করেন। নলকূপগুলোর অধিকাংশই আয়রনযুক্ত। অধিকাংশ নলকূপের গোঁড়া এখনো পাকা নয়। নলকূপের গোড়ায় ময়লা আবর্জনায় ভরা।
অনেক পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করেন না। ৪-৫টি রিং এবং ১টি স্ল্যাব বসিয়ে তার ওপর বস্তা কিংবা কাপড় দিয়ে ঘিরে সেখানেই মলত্যাগ করেন প্রতিবন্ধী, বয়স্ক নারী, পুরুষ ও শিশুরা। একটি পায়খানা ৩-৪টি পরিবার ব্যবহার করছেন। পায়খানা ব্যবহারের পরে সাবান কিংবা ছাই দিয়ে হাত পরিষ্কার করার ব্যাপারেও সচেতন নন তাঁরা। তবে বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ এসব এলাকায় নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করছে।
জালালপুর ইউনিয়নের কানাইদিয়া গ্রামের অর্চনা দেবনাথ, আটুলিয়ার শাপলা খাতুন, খলিশখালি ইউনিয়নের বয়ারডাঙ্গা গ্রামের তাসলিমা বেগম, ফাহিমা বেগমসহ অনেকেই বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার সমস্যার কথা তুলে ধরে জানান, তাঁদের এলাকায় বর্ষাকালে ৫-৬ মাস জলাবদ্ধতা থাকে এবং লবণাক্ত থাকায় খাবার পানির কোনো ব্যবস্থা থাকেনা। প্রায় ২-৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এক কলস খাবার পানি আনতে হয়।
আবার এক ড্রাম পানি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে কিনে খাওয়া লাগে। বর্ষা মৌসুমে ভিটেবাড়িতে পানি জমে থাকায় পায়খানা করার মতো জায়গাও থাকে না। আর লবণাক্ত পানি ব্যবহারের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, চুলকানি, পাঁচড়া, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তারা। এ ছাড়া আর্সেনিকের কারণে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে।
তারা আরও জানান, বর্ষা মৌসমে জলাবদ্ধতা এবং এলাকায় শত শত মাছের ঘেরের কারণে পানি নিষ্কাশন হতে পারে না। এ সময় তাঁদের সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। ভুক্তভোগীরা নিরাপদ খাবার পানি, স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য উত্তরণের পাশাপাশি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জেঠুয়া জগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তরণের ওয়াশ প্রকল্পের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ে স্কুল ক্যাম্পেইন, শিক্ষকদের সঙ্গে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং এবং পানি, পায়খানা, হাত ধোয়া ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সভা করে থাকে। এ ছাড়া ছাত্রীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তাঁদের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে ন্যাপকিন কর্নার।’
উত্তরণের ওয়াই ওয়াশ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী হাসিনা পারভিন জানান, উপজেলার ৩ ইউনিয়নের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শত শত মানুষ নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা এবং হাইজিন সংকটে ভুগছে। তাঁদের নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন করার জন্য সরকারের পাশাপাশি কাজ করছে উত্তরণ।
এ ব্যাপারে জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু জানান, এলাকায় খাবার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের পাশাপাশি আর্সেনিকের সমস্যাও প্রকট। ভয়াবহ আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে অত্র এলাকার কৃষ্ণকাটী গ্রামের একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যুও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘খাবার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।’
তালা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান জানান, উপজেলার কয়েকটি এলাকায় সুপেয় পানির স্তর না পাওয়ায় ডিপটিউবওয়েল বসানো সম্ভব হয়ে উঠছে না। বিশেষ করে জালালপুর ও খলিশখালি ইউনিয়নে এই সমস্যা বেশি। কিন্তু ২০০ ফুটের মধ্যে কিছু টিউবওয়েল বসলেও তাতে প্রায় ৯৫ ভাগ আর্সেনিক ও আয়রনের সমস্যা থেকে যাচ্ছে। তবে নগরঘাটা এলাকার অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো।
তিনি আরও জানান, নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা আগের চেয়ে বর্তমানে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। খোলা স্থানে মলত্যাগের হারও প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে