জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
গত বৃহস্পতিবার রাতে অফিস শেষ করে পটিয়ার ধলঘাটে নিজ বাড়িতে বেড়াতে যান বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আরিফ উল্লাহ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নতুন ব্রিজ দিয়ে হেঁটে আসছিলেন তিনি। সঙ্গে তাঁর স্ত্রীসহ এক মেয়ে ও এক ছেলে। এমনিতেই বাস চলাচল বন্ধ, তার ওপর শনিবার সকালে অফিস করতে হবে। তাই আগেভাগে ফেরা তাঁর।
হেঁটে আসার কারণ জানতে চাইলে জানালেন পাহাড় পরিমাণ অভিযোগ। ছোট মেয়েটিকে কাঁধে নিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে স্থানীয় ভাষায় বলেন, ‘দেশ ইয়ান মধ্যবিত্ত ও গরিবল্লাই নোয়াইয়ে। গাড়ি ন চলায় পটিয়ার ধলঘাটততো অনেক কষ্টে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত আইসছি। এহন নিউমার্কেট বাসাত ক্যানে যাইয়ুম?’ যার মানে দাঁড়ায়, ‘দেশটি মধ্যবিত্ত ও গরিবের জন্য নয়। গাড়ি না চলায় ধলঘাট থেকে অনেক কষ্টে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত এসেছি। এখন নিউমার্কেটের বাসায় কীভাবে যাব?’
ডিজেলের দাম বাড়ানোয় বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আরিফ উল্লাহর মতো অসংখ্য মানুষ চট্টগ্রামে গতকাল দিনভর ভোগান্তিতে পড়েন। দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি নগরের ভেতরেও বাস চলেনি। ফলে এই দুর্ভোগে চরম মাত্রায় পৌঁছে।
গতকাল বিকেলে নতুন ব্রিজে দেখা যায়, ওই পাড় থেকে শত শত মানুষ হেঁটে এ পাড়ে আসছেন। বৃহস্পতিবারের অফিস শেষ করে একদিনের জন্য বাড়িতে যাঁরা গেছেন, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন। কারণ শনিবারও বাস চলবে কিনা তা এখনো অনিশ্চিত। তাই যাঁদের ওইদিন অফিস আছে, তাঁরাই শুক্রবার শহরে ফিরছেন।
বাঁশখালী থেকে ফেরা গার্মেন্টসকর্মী সাজেদা বেগম বলেন, জরুরি কাজে বাড়িতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার খবরে আগেভাগে শহরে ফিরছেন। কারণ শনিবার কাজে যেতে হবে। শহরে আসতে ৩০-৪০ টাকার ভাড়া, এখন ভেঙে ভেঙে ২০০ টাকায় আসতে হয় তাঁকে।
সাজেদা বলেন, ‘১০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করি। এই বেতন দিয়ে কোনো রকমে চলি। মাস শেষে সংসারে টান পড়ে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, অথচ বেতন বাড়ছে না। এ রকম হলে পানি খেয়ে বাঁচতে হবে।’
আরেক গার্মেন্টসকর্মী হাজেরা খাতুন বলেন, বাস না চললে কাজে যেতে খুব কষ্ট হয়। রিকশা বা অটোরিকশায় যাওয়ার মতো টাকা নেই। প্রতিদিন হিসেব করে চলতে হয়। একদিন বেশি টাকা খরচ হেয়ে গেলে, অন্যদিন চাপ পড়ে।
নগরীর গরিব উল্লাহ শাহ মাজারের সামনে বিভিন্ন বাসের টিকিট কাউন্টার। গতকাল সকালে সেখানে সব কাউন্টারই বন্ধ দেখা যায়। অনেকেই কাউন্টারে থেকে বাসায় ফেরত যান। টিকিটের জন্য আসা ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা শহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবহন মালিকদের ধর্মঘটেরও যৌক্তিকতা আছে। হঠাৎ করে ডিজেলের দাম বাড়ানো উচিত হয়নি।’
গত বুধবার রাতে ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে দেয় সরকার। এই বৃদ্ধির হার ২৩ শতাংশ। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিচালক-মালিকেরা গাড়ি চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বাসচালক-মালিকেরাও।
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ৭ তারিখের মধ্যে তেলের দাম আগের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। না হলে ৮ তারিখ থেকে সর্বাত্মক ধর্মঘট।’
এক প্রশ্নের জবাবে মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘তেলের দাম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি চলবে না। বাড়তি ভাড়া নিতে গেলে যাত্রীদের সঙ্গে বাসচালকের বাগ্বিতণ্ডা হবে। তাই সরকারের কাছে আহ্বান, তেলের দাম স্বাভাবিক রাখুন।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে অফিস শেষ করে পটিয়ার ধলঘাটে নিজ বাড়িতে বেড়াতে যান বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আরিফ উল্লাহ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নতুন ব্রিজ দিয়ে হেঁটে আসছিলেন তিনি। সঙ্গে তাঁর স্ত্রীসহ এক মেয়ে ও এক ছেলে। এমনিতেই বাস চলাচল বন্ধ, তার ওপর শনিবার সকালে অফিস করতে হবে। তাই আগেভাগে ফেরা তাঁর।
হেঁটে আসার কারণ জানতে চাইলে জানালেন পাহাড় পরিমাণ অভিযোগ। ছোট মেয়েটিকে কাঁধে নিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে স্থানীয় ভাষায় বলেন, ‘দেশ ইয়ান মধ্যবিত্ত ও গরিবল্লাই নোয়াইয়ে। গাড়ি ন চলায় পটিয়ার ধলঘাটততো অনেক কষ্টে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত আইসছি। এহন নিউমার্কেট বাসাত ক্যানে যাইয়ুম?’ যার মানে দাঁড়ায়, ‘দেশটি মধ্যবিত্ত ও গরিবের জন্য নয়। গাড়ি না চলায় ধলঘাট থেকে অনেক কষ্টে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত এসেছি। এখন নিউমার্কেটের বাসায় কীভাবে যাব?’
ডিজেলের দাম বাড়ানোয় বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আরিফ উল্লাহর মতো অসংখ্য মানুষ চট্টগ্রামে গতকাল দিনভর ভোগান্তিতে পড়েন। দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি নগরের ভেতরেও বাস চলেনি। ফলে এই দুর্ভোগে চরম মাত্রায় পৌঁছে।
গতকাল বিকেলে নতুন ব্রিজে দেখা যায়, ওই পাড় থেকে শত শত মানুষ হেঁটে এ পাড়ে আসছেন। বৃহস্পতিবারের অফিস শেষ করে একদিনের জন্য বাড়িতে যাঁরা গেছেন, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন। কারণ শনিবারও বাস চলবে কিনা তা এখনো অনিশ্চিত। তাই যাঁদের ওইদিন অফিস আছে, তাঁরাই শুক্রবার শহরে ফিরছেন।
বাঁশখালী থেকে ফেরা গার্মেন্টসকর্মী সাজেদা বেগম বলেন, জরুরি কাজে বাড়িতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার খবরে আগেভাগে শহরে ফিরছেন। কারণ শনিবার কাজে যেতে হবে। শহরে আসতে ৩০-৪০ টাকার ভাড়া, এখন ভেঙে ভেঙে ২০০ টাকায় আসতে হয় তাঁকে।
সাজেদা বলেন, ‘১০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করি। এই বেতন দিয়ে কোনো রকমে চলি। মাস শেষে সংসারে টান পড়ে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, অথচ বেতন বাড়ছে না। এ রকম হলে পানি খেয়ে বাঁচতে হবে।’
আরেক গার্মেন্টসকর্মী হাজেরা খাতুন বলেন, বাস না চললে কাজে যেতে খুব কষ্ট হয়। রিকশা বা অটোরিকশায় যাওয়ার মতো টাকা নেই। প্রতিদিন হিসেব করে চলতে হয়। একদিন বেশি টাকা খরচ হেয়ে গেলে, অন্যদিন চাপ পড়ে।
নগরীর গরিব উল্লাহ শাহ মাজারের সামনে বিভিন্ন বাসের টিকিট কাউন্টার। গতকাল সকালে সেখানে সব কাউন্টারই বন্ধ দেখা যায়। অনেকেই কাউন্টারে থেকে বাসায় ফেরত যান। টিকিটের জন্য আসা ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা শহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবহন মালিকদের ধর্মঘটেরও যৌক্তিকতা আছে। হঠাৎ করে ডিজেলের দাম বাড়ানো উচিত হয়নি।’
গত বুধবার রাতে ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে দেয় সরকার। এই বৃদ্ধির হার ২৩ শতাংশ। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিচালক-মালিকেরা গাড়ি চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বাসচালক-মালিকেরাও।
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ৭ তারিখের মধ্যে তেলের দাম আগের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। না হলে ৮ তারিখ থেকে সর্বাত্মক ধর্মঘট।’
এক প্রশ্নের জবাবে মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘তেলের দাম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি চলবে না। বাড়তি ভাড়া নিতে গেলে যাত্রীদের সঙ্গে বাসচালকের বাগ্বিতণ্ডা হবে। তাই সরকারের কাছে আহ্বান, তেলের দাম স্বাভাবিক রাখুন।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে