ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ১৫ ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১০ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ায় তাঁদের দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।

তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে ১০টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬১ জন প্রার্থী। প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকেই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে ১৫ জন অংশ নেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার কারণে এই ১৫ জনকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন—মজলিশপুর ইউপিতে মো. শরিফুল ইসলাম (চশমা), বুধল ইউপিতে মো. আবদুল হামিদ (আনারস) ও মনিরুজ্জামান (চশমা), নাটাই উত্তর ইউপিতে মো. হালিম শাহ লিল মিয়া (আনারস), কাজী মো. মোবারক হোসেন (টেলিফোন) ও আমির হোসেন (মোটরসাইকেল), তালশহর পূর্ব ইউপিতে এনামুল হক ওসমান (মোটরসাইকেল) ও আল-আমিন (টেলিফোন), বাসুদেব ইউপিতে নেছার উদ্দিন শেরশাহ (ঘোড়া) ও আবদুল হাকিম মোল্লা (আনারস), সাদেকপুরে সাইদুজ্জামার (আনারস), রামরাইলে মশিউর রহমান সেলিম (আনারস) ও শাহীন ভূইয়া বাবু (ঘোড়া), সুলতানপুর ইউনিয়নে শেখ মোহাম্মদ মহসিন (আনারস) ও সুধীর চন্দ্র ঘোষ (ঘোড়া)।

জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত দলীয় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অনুরোধ করেন। এরপরও তাঁরা তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তাই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশে মঙ্গলবার জেলা আওয়ামী লীগ বিদ্রোহীদের তাঁদের সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারার (১১) উপধারায় বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার গুরুতর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থনকারী স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীদের দল মনোনীত প্রার্থীর (নৌকা) পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তা না হলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ১৫ বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।