আরিফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম
খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্র এখন অনেকটাই নিস্তরঙ্গ। আর এ সুযোগে বালু তুলতে নদের বুকে সড়ক বানাচ্ছেন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। কুড়িগ্রামের যাদুরচর ইউনিয়ন ট্রাক্টর (কাঁকড়া গাড়ি) মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহ ও নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
কুড়িগ্রাম জেলাজুড়েই নেই বৈধ কোনো বালুমহাল। কিন্তু রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী নৌকাঘাটে ব্রহ্মপুত্রের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে ২০০ মিটার সড়ক নির্মাণ করছেন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। চরের ফসল পারাপারের অজুহাত দেখালেও মূলত নদ থেকে বালু উত্তোলনের জন্যই এই সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন।
কর্তিমারী নৌকাঘাটের ইজারাদার ও যাদুরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ করেন, যাদুরচর ইউনিয়ন ট্রাক্টর (কাঁকড়া গাড়ি) মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ ৪০টি ট্রাক্টরের মালিক বালু তুলতেই ব্রহ্মপুত্রের বুকে সড়ক নির্মাণ করছেন। এতে খেয়ার নৌকা চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গত বছরও বালুখেকো চক্রটি ব্রহ্মপুত্রের বুকে সড়ক বানিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেছে। বিষয়টি সে সময় স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।’
কর্তিমারী নৌকাঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে আড়াআড়িভাবে সড়ক নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ট্রাক্টর মালিক ও তাঁদের শ্রমিকেরা। কয়েকটি ট্রাক্টরে চর থেকে বালু এনে নদের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতিবছর নদের তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। গত বছর ভাঙনে শতাধিক পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে। প্রভাবশালী এসব ট্রাক্টর মালিকদের ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে সাহস পান না।
ভাঙনের শিকার কয়েকজন জানান, প্রতিবছর নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় বন্যার সময় এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়।
এতে গত বছর বসতভিটা হারিয়েছে শতাধিক পরিবার। এ ছাড়া নদের ভাঙনে বেড়িবাঁধের (চাক্তাবাড়ি-ধনারচর-রাজিবপুর বেড়িবাঁধ) একাংশ, মসজিদসহ কয়েক শত হেক্টর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু বেপরোয়া বালু ব্যবসায়ীদের কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।
ব্রহ্মপুত্রের বুকে সড়ক নির্মাণের কথা স্বীকার করে যাদুরচর ইউনিয়ন ট্রাক্টর মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দিগলাপাড়ার সব জমি চরে। আমরা যেমন বালু আনব (উত্তোলন) তদ্রূপ আমাদের ফসলাদিও আনা দরকার। এ জন্য রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা নিজেদের অর্থেই নির্মাণ করা হচ্ছে।’ বালু উত্তোলনই মূল উদ্দেশ্য কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, বালু তো কাটবই, এটা আমাদের ব্যবসা।’
উপজেলা রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল মোমেন বলেন, এ উপজেলা অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের স্বর্গরাজ্য। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এরা বেপরোয়া। প্রশাসন সবকিছু জানার পরও বেশির ভাগ সময় নীরব থাকে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের জোর দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে রৌমারীর ইউএনও আল ইমরান বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের তফসিলদারকে পাঠিয়ে সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। এরপরও এমন কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্র এখন অনেকটাই নিস্তরঙ্গ। আর এ সুযোগে বালু তুলতে নদের বুকে সড়ক বানাচ্ছেন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। কুড়িগ্রামের যাদুরচর ইউনিয়ন ট্রাক্টর (কাঁকড়া গাড়ি) মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহ ও নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
কুড়িগ্রাম জেলাজুড়েই নেই বৈধ কোনো বালুমহাল। কিন্তু রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী নৌকাঘাটে ব্রহ্মপুত্রের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে ২০০ মিটার সড়ক নির্মাণ করছেন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। চরের ফসল পারাপারের অজুহাত দেখালেও মূলত নদ থেকে বালু উত্তোলনের জন্যই এই সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন।
কর্তিমারী নৌকাঘাটের ইজারাদার ও যাদুরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ করেন, যাদুরচর ইউনিয়ন ট্রাক্টর (কাঁকড়া গাড়ি) মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ ৪০টি ট্রাক্টরের মালিক বালু তুলতেই ব্রহ্মপুত্রের বুকে সড়ক নির্মাণ করছেন। এতে খেয়ার নৌকা চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গত বছরও বালুখেকো চক্রটি ব্রহ্মপুত্রের বুকে সড়ক বানিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেছে। বিষয়টি সে সময় স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।’
কর্তিমারী নৌকাঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে আড়াআড়িভাবে সড়ক নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ট্রাক্টর মালিক ও তাঁদের শ্রমিকেরা। কয়েকটি ট্রাক্টরে চর থেকে বালু এনে নদের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতিবছর নদের তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। গত বছর ভাঙনে শতাধিক পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে। প্রভাবশালী এসব ট্রাক্টর মালিকদের ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে সাহস পান না।
ভাঙনের শিকার কয়েকজন জানান, প্রতিবছর নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় বন্যার সময় এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়।
এতে গত বছর বসতভিটা হারিয়েছে শতাধিক পরিবার। এ ছাড়া নদের ভাঙনে বেড়িবাঁধের (চাক্তাবাড়ি-ধনারচর-রাজিবপুর বেড়িবাঁধ) একাংশ, মসজিদসহ কয়েক শত হেক্টর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু বেপরোয়া বালু ব্যবসায়ীদের কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।
ব্রহ্মপুত্রের বুকে সড়ক নির্মাণের কথা স্বীকার করে যাদুরচর ইউনিয়ন ট্রাক্টর মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দিগলাপাড়ার সব জমি চরে। আমরা যেমন বালু আনব (উত্তোলন) তদ্রূপ আমাদের ফসলাদিও আনা দরকার। এ জন্য রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা নিজেদের অর্থেই নির্মাণ করা হচ্ছে।’ বালু উত্তোলনই মূল উদ্দেশ্য কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, বালু তো কাটবই, এটা আমাদের ব্যবসা।’
উপজেলা রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল মোমেন বলেন, এ উপজেলা অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের স্বর্গরাজ্য। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এরা বেপরোয়া। প্রশাসন সবকিছু জানার পরও বেশির ভাগ সময় নীরব থাকে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের জোর দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে রৌমারীর ইউএনও আল ইমরান বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের তফসিলদারকে পাঠিয়ে সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। এরপরও এমন কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১০ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
১০ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১০ দিন আগে